ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনার ১০ সাহসী সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

বেশ কয়েক বছর ধরে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে যাত্রা করছে বাংলাদেশ। দরিদ্র দেশের তকমা মুছে ফেলে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব দরবারে পরিচিত অনন্ত সম্ভাবনার দেশ হিসেবে। তবে এই অবস্থানে আসার পথটি বাংলাদেশের জন্য সহজ ছিল না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই কঠিন কাজটি সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন সংকটকালীন সময়ে অত্যন্ত নিপুণতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যা বাংলাদেশ ও দেশের জনগণকে নিরাপদে রেখেছে। দেখে নিই বিভিন্ন সময়ে গ্রহণ করা শেখ হাসিনার ১০ সাহসী সিদ্ধান্ত।

১। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং আন্তর্জাতিক আপত্তি সত্ত্বেও যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর করা : শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় সাফল্য মানবতাবিরোধী কার্যক্রম ও গণহত্যা সংগঠনকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা এবং প্রধান অপরাধীদের শাস্তি কার্যকর করা। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীরা পুনর্বাসিত হয়েছিল। রাজনীতি করার অধিকার ছিল জামায়াতে ইসলামীর। এমনকি ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদদের মতো যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে তাঁদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের এমন অনাচারের মধ্যেই শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হলে ২০০৯ সালের ২৯ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস হয় এবং ২০১০ সালের ২৫ মার্চ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, তদন্ত সংস্থা ও আইনজীবী প্যানেল গঠন করা হয়। এই বিচার প্রক্রিয়ায় গত আট বছরে জামাত ও বিএনপির শীর্ষনেতা সহ একাধিক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় ঘোষণা করা হয়েছে এবং কয়েকজনের ফাঁসিও কার্যকর করা হয়েছে। লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আপত্তি জানিয়ে আন্তর্জাতিক পরাশক্তিরাও লবি করেছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসি না দিতে প্রধানমন্ত্রীকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। কিন্তু কোনো চাপই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধে শেখ হাসিনাকে বাধ্য করতে পারেনি। অদম্য সাহসিকতায় শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া চলমান রেখেছেন।

২। প্রচলিত আইনে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে সপরিবারে নিহত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তাঁর খুনিরা রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল বিধায় দীর্ঘদিন ধরে এই হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার হয়নি। বরং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করে রাষ্ট্রযন্ত্র। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশও জারি করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ একুশ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে, ওই বছর ১২ নভেম্বর জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি বাতিল বিল পাস হয়। তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ২১ এপ্রিল নিম্ন আদালতে প্রচলিত আইনে শুরু হয় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ২৩ বছর পর বিচারিক আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার সম্পন্ন হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে আবার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে নানান তালবাহানা শুরু হয়। আবার ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি ঘোষণা করা আদালত। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য কোনো নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়নি, বিচার সম্পন্ন হয়েছে দেশের প্রচলিত আইনেই। দেশের প্রচলিত আইনে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার করা এবং খুনিদের ফাঁসি কার্যকর করা ছিল শেখ হাসিনার আরেকটি সাহসী সিদ্ধান্ত।

৩। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া: রাষ্ট্রীয় নির্যাতনে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশের সীমান্ত অনানুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করে দেন। সারা বিশ্বের ক্ষমতাশালী সব দেশ যখন রোহিঙ্গাদের সাহায্য করতে অপারগতা প্রকাশ করে এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে নীরবতা অবলম্বন করে, তখন শেখ হাসিনার সাহসী ও মানবিক এই সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্ব এক মানবিক সংকট থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পায়। বাংলাদেশ এমনিতেই জনসংখ্যার ভারে জর্জরিত। এমন অবস্থায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া ছিল শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্ত। এই প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার সাহসী উচ্চারণ, ‘যদি আমরা ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারি, তাহলে আরও পাঁচ অথবা সাত লাখ মানুষকেও খাওয়াতে পারব।’

৪। আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণ: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর নেতৃত্বশূন্য আওয়ামী লীগের সামনে চরম দুর্দিন নেমে আসে। এমন সময় ১৯৮১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বহুধা বিভক্ত আওয়ামী লীগকে রক্ষায় হোটেল ইডেনে দলের কাউন্সিলে সর্বসম্মতভাবে শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি নির্বাচন করা হয়। তখনো শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসতে পারেননি। কিন্তু রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ হওয়া সত্ত্বেও শেখ হাসিনা দেশ ও দলের মঙ্গলের জন্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বভার গ্রহণে সম্মত হন। পরবর্তীতে ১৯৮১ সালের ১৭ মে, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা যখন অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায়, তখন সেই সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশে ফিরেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। নিজের প্রাণের ভয় উপেক্ষা করে দেশে ফিরে আসার এবং দলের নেতৃত্বভার গ্রহণ করার সেই সিদ্ধান্ত ছিল অত্যন্ত সাহসী একটি সিদ্ধান্ত।

৫। পদ্মা সেতু: নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত ছিল শেখ হাসিনার অন্যতম সাহসী সিদ্ধান্ত। প্রথমে কথা ছিল বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করা হবে। কিন্তু সরকারের দুর্নীতির অভিযোগ এনে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ায় বিশ্বব্যাংক।  প্রধানমন্ত্রী তখন বেশ জোর দিয়েই বলেছিলেন, দুর্নীতি প্রমাণ করুন; ব্যবস্থা নেব। কিন্তু কোথাও দুর্নীতির প্রমাণ দিতে পারেনি বিশ্বব্যাংক। কিন্তু তারপরও প্রকল্প থেকে সাহায্যের হাত গুটিয়ে নেয় সংস্থাটি। কিন্তু স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ কিন্তু তাতে বন্ধ হয়ে যায়নি। অসীম সাহসী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিলেন নিজেদের অর্থেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করবেন। নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা নির্মাণব্যয়ে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্ভব হচ্ছে শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্তের কারণেই।

৬। রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প: রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার রামপালে অবস্থিত একটি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ২০১০ সালে জমি অধিগ্রহণ করে বালু ভরাটের মাধ্যমে নির্মানের কাজ শুরু হয় এই প্রকল্পের। সুন্দরবনের মাত্র ১৪ কি. মি. দূরে অবস্থিত হওয়ায় সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে দাবি করে প্রথম থেকেই এর তীব্র বিরোধিতা করে আসছে পরিবেশবাদীরা। বাম দলগুলো এই ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনও করেছে। কিন্তু দেশের বিদ্যুৎ খাতকে এগিয়ে নিতে সব ধরনের অপপ্রচারের সমুচিত জবাবা দিয়ে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শেখ হাসিনা। নির্মানাধীন বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের কাজ ২০২০ সালে এবং তার ছয় মাস পর দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

৭। খালেদা জিয়াকে বিচারের মুখোমুখি করা: সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিচারের সম্মুখীন করা একটি কঠিন কাজ। কিন্তু খালেদা জিয়াকে সুনির্দিষ্ট অপরাধে বিচারের সম্মুখীন করে এই কঠিন কাজটিই করেছেন শেখ হাসিনা। বিচারে গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। সেদিন থেকে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরানো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন বেগম জিয়া। এছাড়া খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা, কুমিল্লায় নাশকতা মামলার মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা বিচারাধীন অবস্থায় আছে।

৮। ২০১৪ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা: ২০১১ সালের ৩০শে জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে জাতীয় সংসদে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাশ করলে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তার শরিক জোটগুলো নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা পুনরায় চালু করার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবিধান মোতাবেক বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তখন বিরোধী দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না বলে ঘোষণা দেন এবং আন্দোলনের নামে সহিংসতা শুরু করেন। বিএনপির বোমা সন্ত্রাসে ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত ৪১ দিনে মারা গেছেন ১২৩ জন। নির্বাচনের দিন সহিংসতায় নিহত হন আরও ১৯ জন। নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি-জামাতের সহিংস আন্দোলন তো ছিলই, সঙ্গে ছিল তথাকথিত সুশীল সমাজের সমালোচনা। ফলে অনেকেই মনে করেছিল, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন শেখ হাসিনা। কিন্তু আরেকবার অটল ব্যক্তিত্বের পরিচয় দিয়ে সংবিধান অনুযায়ীই দশম জাতীয় সংসদ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

৯। বিডিআর বিদ্রোহের পরদিন বিডিআরদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নেওয়া: ২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ রাইফেলস এর সদস্যরা রাজধানীর পিলখানা এলাকায় অবস্থিত বিডিআর সদরদপ্তরে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এই ঘটনায় দেশে এক উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন সন্ধ্যা ছয়টার দিকে প্রধানমন্ত্রী বিদ্রোহীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন এবং অস্ত্র জমা দিয়ে ব্যারাকে ফেরার নির্দেশ দেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্রোহীদের অস্ত্র সমর্পণ করে ব্যারাকে ফিরে যেতে হবে। এরপর বিদ্রোহীরা অস্ত্র সমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে বিদ্রোহীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট অস্ত্র সমর্পণ শুরু করেন। এমন একটি হত্যাকাণ্ডের পরদিনই ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে বিডিআর বিদ্রোহীদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নেওয়ার সিদ্ধান্তটিকে শেখ হাসিনার অন্যতম সাহসী সিদ্ধান্ত হিসেবে গণ্য করা যায়।

১০। নূর হোসেনের মৃত্যুর সময় সেই মিছিলেই ছিলেন শেখ হাসিনা: ১৯৮৭ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন তখন তুঙ্গে। সেই আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন সাহসী শেখ হাসিনা। ’৮৭ সালের ১০ নভেম্বর যেদিন নূর হোসেন মারা যায় সেদিন সেই মিছিলে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও ছিলেন। নূর হোসেন শেখ হাসিনাকে একথাও বলেছিলেন যে, `আপা আপনি আমাকে দোয়া করুন, আমি গণতন্ত্র রক্ষায় আমার জীবন দিতে প্রস্তুত।` শত নিপীড়ণ-নির্যাতনের পরও গণতন্ত্রের জন্য স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছিল শেখ হাসিনার আরেকটি সাহসী সিদ্ধান্ত।


বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ  



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

অবশেষে ১৪ দলের বৈঠক

প্রকাশ: ০৮:০৬ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের বৈঠক ডাকা হয়েছে আগামী বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন জোটের প্রধান শেখ হাসিনা।


নির্বাচনের প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পরে প্রধানমন্ত্রী জোটসঙ্গীদের নিয়ে বসতে যাচ্ছেন। তবে এবারের বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে সে বিষয়ে জানেন না বলে দাবি করেছেন শরিক দলগুলোর নেতারা।  

এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসন বণ্টন প্রশ্নে গত ৪ ডিসেম্বর বৈঠকে বসেছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে। 





১৪ দল   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরের হ্যাটট্রিক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইতোমধ্যে তিনি একটি হ্যাটট্রিক করেছেন। টানা তিন তিনবার আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই একমাত্র যিনি আওয়ামী লীগের তিনবার বা তার বেশি সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এখন ওবায়দুল কাদেরও আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। এবার তিনি আরেক রকম হ্যাটট্রিক করলেন। 

ওবায়দুল কাদের গত এক মাসে তার তিনটি নীতি নির্ধারণী বক্তব্য ধরে রাখতে পারলেন না। তার এই বক্তব্যগুলোর উল্টো ফল হল। এবং হিতে বিপরীত ফলাফলের দিক থেকে তার বক্তব্যগুলো হ্যাটট্রিক করেছে। ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচনের আগে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের কোনো আত্মীয় স্বজন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। উপজেলা নির্বাচনে যদি কেউ প্রার্থী হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ রকম বক্তব্য তিনি তিনবার দিয়েছিলেন। কিন্তু তার বক্তব্যে সাড়া দিয়ে কেউই উপজেলা নির্বাচনে তাদের আত্মীয়স্বজনকে প্রার্থিতা থেকে সরিয়ে দেয়নি। একমাত্র প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার শ্যালককে উপজেলা নির্বাচন থেকে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সমর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু নোয়াখালীর একরামুল করিম চৌধুরী, ড. রাজ্জাক কিংবা শাহজাহান খান কেউই তাদের পুত্রদেরকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে আনেননি। 

এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আত্মীয় স্বজনদের ব্যাপারে তার ভিন্ন রকম অবস্থা ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, পরিবার বলতে শুধুমাত্র স্ত্রী, পুত্র এবং স্বামী বোঝাবে। তিনি এটাও বলেন যে, যারা দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছে, আগে থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান আছে, তারা কেন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবে? এর ফলে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য আর ধোপে টেকেনি। পরবর্তী পর্যায়ে কেউই ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য আমলে নেননি। ওবায়দুল কাদেরও আত্মীয় স্বজনদের ব্যাপারে যে রুদ্রমূর্তি অবস্থানে ছিলেন সেখান থেকে সরে আসেন। 

দ্বিতীয় হিতে বিপরীত ঘটনা ঘটে মেট্রোরেলে ভ্যাট না দেওয়ার ঘটনা। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ যখন এনবিআর-এর কাছে আবারও ভ্যাট প্রত্যাহারের জন্য সুপারিশ করেছিল, তখন এনবিআর তা নাকচ করে দেয় এবং ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন এবং এই ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্তকে তিনি অযৌক্তিক বলে মনে করেন। এর পরপরই আসন্ন অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে এনবিআর মেট্রোরেলের ওপর ১৫ শতাংশ প্রস্তাবের সুপারিশ করেছে। 

গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে আবারও একই রকম বক্তব্য রেখেছেন। তিনি ভ্যাট আরোপের বিরোধিতা করে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু ওবায়দুল কাদের এক মাস আগে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন সেই বক্তব্য এনবিআর আমলে নেয়নি। 

সর্বশেষ ঘটনা ঘটল ঢাকায় অটোরিকশা নিয়ে। ওবায়দুল কাদের আকস্মিকভাবে ঘোষণা করেছিলেন যে, ঢাকায় অটোরিকশা চলবে না। গতকাল থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী অটোরিকশা ঢাকায় চলাচল বন্ধ হয়েছিল। এ নিয়ে অটোরিকশা চালকরা রাজপথে নেমেছিল। গতকাল বিভিন্ন স্থানে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। কোথাও কোথাও সহিংসতার ঘটনাও ঘটে। আজ মন্ত্রিপরিষদ সভায় অনির্ধারিত ভাবে বিষয়টি আলোচিত হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সরাসরি এর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন। তিনি বলেন যে, বিকল্প ব্যবস্থা না করে কেন অটোরিকশা প্রত্যাহার করা হবে। দরিদ্র মানুষেরা তারা কী করে খাবে। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে নির্দেশনা দেন। মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক থেকে বেরিয়ে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদেরকে জানান, ঢাকায় অটোরিকশা থাকবে, এটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা। তার কথার হিতে বিপরীতের ঘটনা এটি ঘটল তৃতীয়বার।

ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কেজরিওয়ালে উজ্জীবিত বিএনপি?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।

অরবিন্দ কেজরিওয়াল আসলে সমালোচনার তীর ছুড়েছেন নরেন্দ্র মোদীর দিকে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে অনুসরণ করে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান বলেও আম আদমি পার্টির এই নেতা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। আর এই বক্তব্য নিয়েই বিএনপির মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপির নেতারা শুধু ইউটিউবেই এটি রিপোস্ট করেনি, তারা তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারেও এই বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপির মধ্যে এক ধরনের ভারত বিরোধী প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ভারতের সমালোচনা করা এবং ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে এমন বক্তব্য বিএনপি নেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছিল। যদিও ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন এবং সম্পর্ক আরও গভীর করার বার্তা দিয়েছেন। ভারতের অন্য একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসও আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান সরকারের সমর্থক। বিজেপি গত এক দশকে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। এরকম অবস্থায় ভারতের নির্বাচনে যে ফলাফলই হোক না কেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমন কোন ব্যত্যয় হবে না বলেই কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

এর মধ্যে আম আদমি পার্টির বক্তব্য নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস নিয়ে অনেকেই নানারকম টীকা-টিপ্পনি কেটেছেন। কেউ কেউ মনে করেন যে, এর আগে যখন কংগ্রেসকে হারিয়ে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিলেন তখনও বিএনপির মধ্যে উৎসব উৎসব ভাব সৃষ্টি হয়েছিল। বিএনপি নেতারা মিষ্টিমুখ করিয়েছিলেন। তাদের ধারণা ছিল যে, কংগ্রেস চলে গেলেই আওয়ামী লীগের উপর চাপ সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, বিজেপির সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। এখন কেজরিওয়ালের নির্বাচনের মাঠের বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপি আশায় বুক বেঁধে আছে। মুখে মুখে ভারত বিরোধীতা করলেও ভারতের অনুগত এবং ভারতের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য বিএনপি কম চেষ্টা করেনি।

আর এখনও বিএনপি যে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে চায় তার প্রমাণ পাওয়া গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্যকে নিজেদের দলের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে। কিন্তু বিএনপি নেতারা ভুলে গেলেন যে, একজন রাজনৈতিক নেতার রাজনৈতিক বক্তব্য, আর ক্ষমতায় এসে তার প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড- দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেউলিয়া রাজনীতির কারণে বিএনপি সবসময় অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকে আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করার জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে কেজরিওয়ালের বক্তব্য বিএনপির ইউটিউবে ছাড়ার মধ্য দিয়ে সেই দেউলিয়াত্ব আরেকবার প্রকাশিত হল বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


বিএনপি   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   অরবিন্দ কেজরিওয়াল   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

চীনে প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের ৫০ সদস্যের দল

প্রকাশ: ০৩:২৩ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে দেশটিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। চলতি মাসের শেষের দিকে ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চীনে যাবে। 

গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। এই সফর কর্মসূচির লক্ষ্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন এবং মতবিনিময়।

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত ১৪ এপ্রিল এক চিঠিতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কাছে ৫০ সদস্যের একটি তালিকা পাঠিয়েছেন। এতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ মহিলা শ্রমিক লীগ এবং আওয়ামী লীগের ডেটাবেজ টিমের সদস্যরা রয়েছেন।

দলীয় একাধিক সূত্র মতে, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলটিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সংগঠন গড়ে তোলা, সুশাসন, ইতিহাসসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে।

৫০ সদস্যের প্রতিনিধি টিমে রয়েছেন:

আওয়ামী যুব লীগ:

সহ সভাপতি মৃনাল কান্তি জোয়ারদার তাজউদ্দীন আহমদ; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলম; সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, মো জহির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, উপ আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো সাফেড আসফাক আকন্দ।

আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ:

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান, সহ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক, তানভীর শাকিল জয় এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, একেএম আজিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ফজল মো নাফিউল করিম, আবদুল্লাহ আল সায়েম৷

 বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ:

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিরিন রোকসানা, মিনা মালেক, সুলতানা রেজা, মিসেস রোজিনা নাসরিন, নীলিমা আক্তার লিলি, সাংগঠনিক সম্পাদক ঝর্না বাড়ুই, মরিয়ম বিনতে হোসেন, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক মেহেনিগার হোসেন।

বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ:

সভাপতি আলেয়া সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা, সহ সভাপতি বিনা চৌধুরী, রাফিয়া আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিউটি কানিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন।

মহিলা শ্রমিক লীগ:

সভাপতি সুরাইয়া আক্তার, সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার, কার্যকরী সভাপতি শামসুর নাহার, সহ সভাপতি মেহেরুন নেসা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিনাত রেহেনা নাসরিন।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ:

সহ সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান, কুহিনূর আক্তার, খাদেমুল বাশার জয়, খন্দকার মো আহসান হাবিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো হোসাইন আহমেদ, মো আবদুল্লাহ হিল বারী, এসডিজি বিষয়ক সম্পাদক রাইসা নাহার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আখি।

ডেটাবেজ টিম মেম্বার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ:

মো নুরুল আলম প্রধান, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, কাজী নাসিম আল মমিন, জাফরুল শাহরিয়ার জুয়েল, অদিত্য নন্দী, মো. সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সাব্বির আহমেদ।


চীন   প্রশিক্ষণ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।

সাম্প্রিতক সময়ে আবারও মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এবং বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। যদিও এটিই তাদের প্রথম নয়। এর আগে এই দুই নেতার মধ্যে মার্কেট, অনিয়ম-দুর্নীতি ও সিটি করপোরেশনের টাকা রাখা নিয়ে বাকযুদ্ধ হয়েছিল। এবার তারা মুখোমুখি হয়েছেন ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে। গত বুধবার মেয়র তাপস দাবি করেন, ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী কমেছে। এর পাল্টা প্রতিউত্তরে শনিবার মিট দ্য প্রেসে সাংবাদিকদের ডেকে খোকন বলেন, বর্তমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০১৯ এর তুলনায় ২০২৩ সালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪১ হাজার কম। আমি ভদ্রতার জন্য কারো নাম উল্লেখ করছি না। তবে এ ধরনের অপপ্রচার করা হলে আমি কষ্ট পাই, ব্যথিত হই। আমি এই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, আমি আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য, আমার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পাবলিকলি আমি যে কোন বক্তব্য দিতে পারি না, আমার জবাবদিহিতা রয়েছে। সাবেক এবং বর্তমান মেয়রের এই বাকযুদ্ধ সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, আওয়ামী লীগ এখন ফ্রি স্টাইলে চলছে। দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে।

তৃণমূলের কোন্দল আরও ভয়ঙ্কর। এই মুহূর্তে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্যদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী না হতে নির্দেশনা দেওয়া হলেও প্রথম ধাপের মতোই এবার এই নির্দেশনা উপেক্ষিত। সামনে উপজেলা নির্বাচনের পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

বিভিন্ন স্থানে যেখানে জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন সেখানে তাদের মাইম্যানদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করছেন। আবার যারা স্বতন্ত্রদের কাছে পরাজিত হয়েছেন তারা তাদের প্রভাবপত্তি ধরে রাখার জন্য তাদের মাইম্যানদের প্রার্থী করছেন। এলাকায় নিজেদের হারানো অবস্থান পুনরুদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাচনকে বেছে নিয়েছেন। এটা করতে গিয়ে লাগামহীন ভাবে একে অন্যের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো থেকে শুরু করে সহিংসতার ঘটনাও ঘটাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে একটি লেজেগোবরে অবস্থা তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো যে, আওয়ামী লীগের যে অঙ্গ সহযোগী সংগঠন আছে তারাও এখন ক্রমশ বিভক্ত হয়ে পড়ছে। সবকিছু মিলিয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের কোন্দল। আওয়ামী লীগ সরকারের অর্জন এখন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন আওয়ামী লীগেরই নেতাকর্মীদের দিয়ে। এ অবস্থা পরিত্রাণ পেতে আওয়ামী লীগ কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আওয়ামী লীগ   মোহাম্মদ সাঈদ খোকন   ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন