ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনার জীবনের বিশ্বাসঘাতকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কাণ্ডারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ৭১ বছর পূর্ণ করে ৭২ এ পা দিলেন। এই সুদীর্ঘ জীবনে তিনি অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীর দেখা পেয়েছেন। আবার দেখা পেয়েছেন শুভাকাঙ্ক্ষী সেজে থাকা অনেক বিশ্বাসঘাতকেরও। এই বিশ্বাসঘাতকেরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পেছন থেকে টেনে ধরার চেষ্টা করেছেন বারবার। কিন্তু শেখ হাসিনা সব বাধা ডিঙ্গিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে উন্নতির পথে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৮১ সালে ভারত থেকে দেশে ফিরে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন। সে সময় মহিউদ্দিন আহমদ ও আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সচল ছিল। কিছুদিন এলোমোলো ভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ও আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ কার্যক্রম চলার পর নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠল কোন সংগঠন থাকবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বললেন, শুধু তাঁর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগই থাকবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৮৩ সালে আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে গিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বাকশাল গঠন করেন এবং ১৯৯১ সাল পর্যন্ত বাকশালের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর যখন আওয়ামী লীগের খারাপ সময় যাচ্ছিল তখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পাশে না থেকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আরেকটি দল গঠন করাকে আব্দুর রাজ্জাকের বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবেই অভিহিত করা চলে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ড. কামাল হোসেনকে প্রথমে আইনমন্ত্রী ও পরবর্তীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় রহস্যময় ভাবে দেশ ত্যাগ করে চলে যান ড. কামাল। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন তিনি। স্বৈরশাসকের অধীনে ১৯৮৬ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে শেখ হাসিনা অংশগ্রহণ করেছিলেন ড. কামালের প্ররোচনায়। এরপর ৯১’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়। এ ঘটনায় ড. কামাল হোসেন মনে করলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের আর ভবিষ্যত নেই। তাই তিনি দলের দুর্দিনে দল ত্যাগ করে গণফোরাম গঠন করেন। বর্তমানে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন আওয়ামী লীগ বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া গঠন করেছেন এবং তিনি আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় সমালোচকদের একজন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামী লীগের ইতিহাসে ড. কামালের মতো এত বড় বিশ্বাসঘাতক আর একটিও পায়নি আওয়ামী লীগ।

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় বারের মতো ক্ষমতায় আসে ২০০৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে। ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে মনোনীত করে। কিন্তু প্রথম থেকেই যেন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কাজ করতে মাঠে নামেন সিনহা। যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমের আপিল শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা প্রসিকিউশানের কঠোর সমালোচনা করেন, তিরস্কার করেন অ্যাটর্নি জেনারেলকে। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ডের যে রায় দিয়েছিল, সেই রায় ফাঁস হয়ে যায় সিনহার আমলেই। এমনকি ২০১৭ সালে এস কে সিনহার মাধ্যমে সরকার পতনের জন্য জুডিশিয়াল ক্যু করার ষড়যন্ত্র করা হয়। বর্তমানে দেশান্তরী সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা সরকারের তীব্র সমালোচনা করে ‘অ্যা ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ শিরোনামে একটি বই লিখেছেন যার ফলে বহির্বিশ্বে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের অন্যতম বড় বিশ্বাসঘাতক যে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা সে কথা বলাই বাহুল্য।

১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর শ্রদ্ধা দেখিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তৎকালীন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদকে রাষ্ট্রপতি বানিয়েছিলেন। একথা সত্যি যে, শাহাবুদ্দিন আহমেদের সৎ, নির্লোভ ব্যক্তি হিসেবে খ্যাতি আছে। কিন্তু তাঁর মতো একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগের নীতি-আদর্শের সঙ্গ খাপ খায়নি। আওয়ামী লীগের অনেকের কাছে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন এখন একজন বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই পরিচিত। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে শাহাবুদ্দিন আহমেদকে নবগঠিত জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতৃত্বে আসার প্রস্তাব দিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। আওয়ামী লীগের হাত ধরে রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হয়ে পরবর্তীতে আওয়ামী বিরোধীদের প্রিয়পাত্রে পরিণত হওয়ার বিষয়টির দিকে লক্ষ্য করলেই শাহাবুদ্দিন আহমেদের আওয়ামী লীগ সম্পর্কিত মনোভাব পরিষ্কার হয়ে যায়।

ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে যখন সাংসদদের হাতে প্রধান বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় তখন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম এবং ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ এর বিরোধিতা করেন। ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম বলেন, কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয়, তবে জুডিশিয়ারির তদন্ত হবে এবং সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবে। তাই ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম এবং ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদকেও শেখ হাসিনার জীবনের আরও দুজন বিশ্বাসঘাতক বললে কোনো ভুল হয় না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের রাজনৈতিক জীবনে অনেক বিশ্বাসঘাতকের সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু কোনো কিছুই তাঁর অটল মনোবলে ফাঁটল সৃষ্টি করতে পারেনি। সকল ষড়যন্ত্র পায়ে ঠেলে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গড়ার পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।


বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপির লিফলেট বিতরণ: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। 

বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।

বিস্তারিত আসছে....


বিএনপি   লিফলেট   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। 

বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেছেন, দল এখন আন্দোলনে ব্যস্ত, তবে আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে সংগঠনের বিষয়টিও সম্পৃক্ত। আন্দোলন এবং সংগ্রাম একসাথেই চলবে। এই অংশ হিসেবেই আমরা দলের নেতৃত্বের পুনর্গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করছি। 

বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক জিয়া যখন বলবেন তখনই কাউন্সিল করার জন্য তাদের প্রস্তুতি আছে। তবে বিএনপির একাধিক নেতা আভাস দিয়েছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ তারা একটি সংক্ষিপ্ত কাউন্সিল করতে পারেন এবং সংক্ষিপ্ত কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব পুনর্গঠন করা হতে পারে। 

বিএনপিতে এখন নীতি নির্ধারণী সংস্থা স্থায়ী কমিটিতে পাঁচ সদস্য পদ শূন্য রয়েছে। আবার যারা স্থায়ী কমিটিতে আছেন এ রকম বেশ কয়েক জন এখন গুরুতর অসুস্থ এবং জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অনেকে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলামের মতো নেতারা এখন এতই অসুস্থ যে তারা কোন রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনের মতো অবস্থায় নেই। 

বিএনপির একজন নেতা স্বীকার করেছেন, তারা দলকে সার্ভিস দিতে পারছেন না। কিন্তু বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর বলে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, অসুস্থ অবস্থায় তাদেরকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে অমানবিক। তবে বিএনপির তরুণ নেতারা মনে করেন, এটি মোটেও অমানবিক নয়। একজন পদে থাকা ব্যক্তি যদি দায়িত্ব পালন না করতে পারেন তাহলে তাকে কোন আলঙ্কারিক পদ দিয়ে ওই শূন্যপদ পূরণ করা উচিত। বিএনপির মধ্যে একটি চাপ আছে যে, যারা মাঠের আন্দোলনে সক্রিয়, অপেক্ষাকৃত তরুণ তাদেরকে নেতৃত্বের সামনে আনা হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে তারেক জিয়া এবং বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। 

তারেক জিয়া বিএনপিতে তরুণদেরকে সামনে আনতে চান। তবে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন এ ধরনের ব্যক্তিদেরকে খালেদা জিয়া এখনই দল থেকে বাদ দিতে রাজি নন বলেই বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। এ প্রসঙ্গে বলা যায় যে, রফিকুল ইসলাম মিয়া বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বিভিন্ন সংকটে তিনি বেগম জিয়ার পাশে ছিলেন। এ কারণেই দীর্ঘদিন রোগশয্যা থাকার পরও তাকে স্থায়ী কমিটিতে রাখা হয়েছে। যদিও তারেক জিয়া তাকে স্থায়ী কমিটি থেকে সরিয়ে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে দেওয়ার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার আপত্তির কারণে তিনি সেটি করতে পারেননি। 

একইভাবে ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকারকেও স্থায়ী কমিটিতে না রাখার ব্যাপারে তারেক জিয়ার আগ্রহ আছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার অত্যন্ত আস্থাভাজন হওয়ার কারণ তারেক জিয়ার সেই চেষ্টা সফল হয়নি। আর এ কারণেই তারেক জিয়া কাউন্সিল করছেন না বলে অনেকে মনে করেন। কারণ এখন কাউন্সিল হলে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাকে সমঝোতা করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার পছন্দের অনেক ব্যক্তিকে দলের নেতৃত্ব রাখতে হবে। সেটি তারেক জিয়া চান। খালেদা জিয়ার হাত থেকে বিএনপির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিলেও এখন তারেক বিএনপিকে খালেদা জিয়ার প্রভাব মুক্ত করতে পারেনি। তাই কাউন্সিলের জন্য তার অপেক্ষা। তবে একাধিক সূত্র বলছে, দলের নেতাকর্মী মধ্যে কাউন্সিল করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য একটি বড় ধরনের চাপ আছে।


কাউন্সিল   বিএনপি   তারেক জিয়া   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বেগম খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামিনে কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

এ সময় কারাফটকে তাকে স্বাগত জানাতে শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাবিবুর রশিদ হাবিব বলেন, পুরো দেশটাকে কারাগারে পরিণত করেছে এই জালিম সরকার।

তারা শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়, দেশের জনগণের অধিকার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সবকিছুকে ধ্বংস করেছে। এই মাফিয়া আর পুতুল সরকার থেকে মুক্তি পেতে আন্দোলনের বিকল্প নাই। সেই আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান হাবিব।

উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে হাবিবুর রশীদ হাবিবকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তাকে তিন মামলায় ৬ বছর নয় মাসের সাজা দেন আদালত।

এছাড়া দুটি মামলা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও ছিলো। সব মামলায় জামিন শেষে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

হাবিবুর রশিদ হাবিব   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনের আগে ও পরে একই কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র: মঈন খান

প্রকাশ: ০৭:১৫ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র যে কথা বলেছিল, নির্বাচনের পরেও একই কথাই বলেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

শুক্রবার (১৭ মে) কারামুক্ত বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবীর বাসায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মঈন খান বলেন, সরকার যদি ভাবে মার্কিন প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে এসে কথা বলেছে আর সব সমস্যার সমাধান হয়েছে, তাহলে সরকারের ধারণা ভুল। নির্বাচনে আগে যুক্তরাষ্ট্র যে কথা বলেছিল, নির্বাচনের পরেও সেই কথা বলেছে।

তিনি বলেন, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও আটকের একমাত্র উদ্দেশ্য এ দেশের মানুষকে কথা বলতে দেবে না। মানুষকে ভিন্নমত পোষণ করতে দেওয়া হবে না। গণতন্ত্র দেওয়া হবে না। সরকার জানে সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।

এই সরকার সব অধিকার হরণ করেছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের (সরকার) কোনো ভিত্তি নেই। এদেশের ৯৭ শতাংশ জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। এ জন্য সরকার ভীতু। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

মঈন খান বলেন, সরকার এদেশের রাজনীতি অনেক আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে আর সুস্থ ধরার রাজনীতি নেই। এখন আছে পরহিংসার রাজনীতি। সংঘাতের রাজনীতি।

তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ বলে দেবে এ সরকারের পরিণতি কি হবে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্বৈরাচারী সরকারের কি পরিণতি হয়ে ছিল। এ দেশের সরকারের বেলায় যে ভিন্ন কিছু হবে এটা কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় না।

বিএনপি   ড. আব্দুল মঈন খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কেন জোট করতে চায় না বিএনপি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না। 

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে একটি বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যারা বিএনপির সঙ্গে এতদিন ছিল এবং আন্দোলন করেছে, তারা এখন নতুন করে আন্দোলনের আগে একটি লিয়াজোঁ কমিটি করতে চায়। আর আন্দোলনের লক্ষ্য এবং পথ পরিক্রমা চূড়ান্ত করতে চায়। লিয়াঁজো কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হোক, সেটিও তারা চায়। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয়নি। নানা বাস্তবতার কারণে বিএনপির জোটবদ্ধ আন্দোলন করতে চায় না। লিয়াঁজো কমিটিও করতে চায় না। 

বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার সাথে আলাপ করে দেখা গেছে, তারা যে সমস্ত শরিক দলগুলো এখন বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে আগ্রহী, তাদের সঙ্গে কোন আনুষ্ঠানিক ঐক্যে যেতে চায় না। এমনকি লিয়াঁজো কমিটির করতে চায় না। এর কারণ হিসেবে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য বলছেন, যে সমস্ত শরিক রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করতে চায়, আন্দোলনের মাধ্যমে তারা অনেকেই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরকারের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করা বা রাজনৈতিক ডিগবাজি দেওয়ার মাধ্যমে তারা আন্দোলনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। এটি শুধু এই স্থায়ী কমিটির সদস্য নয়, বিএনপি অনেকের ধারণা।

গত বছরের আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে আন্দোলন করার কারণে যারা পরিচিতি পেয়েছিল তারাই সরকারের সঙ্গে প্রকাশ্যে এবং গোপনে যোগাযোগ করেছেন। এদের মধ্যে জেনারেল ইব্রাহিমের কথা বিএনপির অনেক নেতাই বলছেন। তারা বলছেন, তিনি রাজনৈতিকভাবে একেবারে এতিম ছিলেন। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করার কারণেই তাঁর রাজনৈতিক পরিচিতি হয়েছিল। আর সেই পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে তিনি সরকারের সাথে গোপনে আঁতাত করেছেন। 

এর আগেও অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে বিকল্পধারা প্রসঙ্গটিও বিএনপির অনেক নেতা বলে থাকেন। তাছাড়া ২৮ অক্টোবরের পর আকস্মিকভাবে মাহমুদুর রহমান মান্নার নীরবতাকেও বিএনপির নেতারা সন্দেহ করছেন। 

বিএনপির কাছে এরকম তথ্য আছে যে, আন্দোলন বানচালের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনেকগুলো দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল এবং তাদেরকে নানা রকম টোপ দেওয়া হয়েছিল। ভবিষ্যতেও আন্দোলন যদি বেগবান হয় তাহলে আবার টোপ দেওয়া হবে। এই সমস্ত লোভ পরিত্যাগ করে শরিকরা কতটুকু আন্দোলনের ব্যাপারে অটল থাকতে পারবে এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। আর কারণেই বিএনপি এখন আনুষ্ঠানিক ভাবে জোটে যেতে চায় না।

বিএনপি মনে করে তারা আন্দোলন করবে। তাদের কর্মসূচির সঙ্গে যদি কেউ একমত পোষণ করে তাহলে তারা যুগপৎ আন্দোলন করবে। তবে আন্দোলন তাদের নিজেদেরই করতে হবে এমনটি মনে করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। আর এ কারণে বিএনপি কোন রকম জোট বা লিয়াঁজো কমিটির পক্ষে নয়।

বিএনপি   যুগপৎ আন্দোলন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন