নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের কাছে বিএনপির আরেকটি পরাজয়। আন্তর্জাতিক মহলে বিএনপি চেষ্টা করেছিল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক মেরুকরণ ঘটাতে। এর মাধ্যমে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল যেন আওয়ামী লীগের উপর চাপ সৃষ্টি করে। চাপের ফলে আওয়ামী লীগ যেন নির্দলীয় সহায়ক সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ট নির্বাচনের আয়োজন করে। সেই চাপটা বিএনপি আন্তর্জাতিক মহলকে দিয়ে দেয়াতে পারলো না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির জন্য এটা কূটনৈতিক বিপর্যয়।
সহায়ক সরকারের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে যেন বাধ্য হয়। বিএনপি সেজন্য ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট, যুক্তরাজ্য এবং জাতিসংঘ পর্যন্ত লবিং করেছিল। বিপুল অর্থ দিয়ে দুইটা লবিষ্ট ফার্মকে এর জন্য নিয়োজিতও করেছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ফলাফল শূন্য। শেখ হাসিনার জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাস বিরোধী কূটনীতি এবং সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বিদেশীরা ব্যাপক সন্তুষ্ঠ। তারা শেখ হাসিনা কিংবা আওয়ামী লীগকে কোন চাপ দিতে রাজি না। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন যে নিউইয়র্কে আছেন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহনের জন্য। তিনি সেখানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কূটনৈতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দ তখন শেখ হাসিনাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আগাম অভিনন্দন জানিয়েছেন। নেতারা বলেছেন, তাদের ধারনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনা একটা অপরিহার্য নাম। আগামী নির্বাচনে তিনিই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিবেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতিসংঘে গিয়ে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মিরোস্লাভ জেনকার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোন দেশের অভ্যন্তরীন ব্যাপারে তারা এমন ভুমিকা নিতে পারে না।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন। সে বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু এবং বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় ভুমিকার জন্য প্রশংসা করেন মহাসচিব। তিনি মনে করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এটা স্পষ্ট সংকেত। শেখ হাসিনার বিকল্প কিছু ভাবতে জাতিসংঘও রাজি নন।
এছাড়াও ভারতের মন গলাতে আব্দুল আউয়াল মিন্টুর নেতৃত্বে বিএনপির নেতৃবৃন্দ একাধিক উদ্যোগ নিয়েছিল। ভারত স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে, জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার যে দৃঢ় অবস্থান। সেই অবস্থানের প্রেক্ষিতে তারা এখন শেখ হাসিনার বিকল্প ভাবছে না। বাংলাদেশের নির্বাচন কি পদ্ধতিতে হবে, সেটা বাংলাদেশের জনগনের নিজস্ব বিষয়।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের এই স্পষ্ট বার্তা বলে প্রচ্ছন্ন সমর্থন আছে আওয়ামী লীগের প্রতি। প্রত্যেকবারই অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ভুমিকা থাকে। এবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট রোহিজ্ঞা ইস্যুতে বাংলাদেশের সরকার প্রধানের যে ভুমিকা, তা অতি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছে। তারা বাংলাদেশে কোন চাপ প্রয়োগ করবে না এমন নীতি গ্রহণ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অবাধ এবং সুষ্ঠ নির্বাচনের ব্যাপারে মোটামুটি স্পষ্ট অবস্থানই ঘোষণা করেছিল। বিশেষ করে বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের পরে বলেছিলেন, মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। একাধিক সূ্ত্র নিশ্চিত করেছে যে, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার যে গঠন তার পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি এবং অবস্থানে সাম্প্রতিক সময়ে পরিবর্তন হয়েছে। কারণ তারা মনে করছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঐক্য প্রক্রিয়া বা অন্য কিছু হবে। তারাও মৌলবাদ সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার মতো দৃঢ়ভাবে দাড়াতে পারবে কিনা তা নিয়ে তাদের সন্দেহ রয়েছে। এই জোটের মূল সংগঠন বিএনপি। তাদের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ রয়েছে সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদের। এ বিষয়টিও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা তাদের পরারাষ্ট্র দপ্তরকে অবহিত করেছে বলে জানা গেছে। ফলশ্রুতিতে দেখা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে আগে যে উদ্যোমি ছিল। সেটা নষ্ট হয়ে গেছে। তারা বাংলাদেশের ব্যাপারে ধীরে চল নীতি এবং পর্যবেক্ষনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে আরেকটি ক্রিয়াশীল রাষ্ট্র চীন। সাম্প্রতিক মালদ্বীপের নির্বাচনে তারা স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছিল। একাধিক কূটনৈতিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশের ব্যাপারে বর্তমান সরকারের সঙ্গে বানিজ্যিক সম্প্রসারনের যে দিগন্ত উম্মোচিত হয়েছে। সেটা তারা অব্যাহত রাখতে চায়। সেখানে বিঘ্ন ঘটাতে চায় না।
আন্তর্জাতিক মহলের উদ্যোগে বিএনপি সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করে নির্বাচনের যে কৌশল নিয়েছিল, শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক কৌশলের কাছে তা পরাজিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সরকারকে অব্যাহত রাখার ব্যাপারেই জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সবুজ সংকেত দিয়েছে। ফলে নির্বাচনের আগেই বিএনপির আরেকটি পরাজয় ঘটলো।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
ডোনাল্ড লু বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চীন সফর ভারত যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল বিএনপির আশা ভরসার কেন্দ্রস্থল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করবে; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করবে; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কারণ সরকার শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করতে পারবে না- এমন বক্তব্যগুলো বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগে বহুল প্রচারিত ছিল। বিএনপির সব নেতারা প্রকাশ্যেই এ কথা বলত।
বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন র্যাবের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, বাংলাদেশকে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায় না তখন বিএনপি নেতারা উল্লাসে ফেটে পড়েছিলেন। তারা দলীয় কার্যালয়ে মিষ্টিমুখের ব্যবস্থাও করেছিলেন।
আবার ডোনাল্ড লু নির্বাচনের আগে যখন বাংলাদেশ সফর করেছিলেন এবং ভিসা নীতি প্রয়োগ করেছিলেন তখন বিএনপি নেতাদের প্রকাশ্যে মার্কিন বন্দনা করতে দেখা গেছে। ২৮ অক্টোবরের আগ পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই মার্কিন দূতাবাসে বা মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের বাসভবনে বিএনপির নেতাদের আনাগোনা ছিল। তারা সেখানে চা চক্রে মিলিত হয়েছেন, নৈশভোজে মিলিত হয়েছেন এবং বিভিন্ন রকমের শলাপরামর্শ করেছেন।
পিটার ডি হাস গত বছরের ১০ অক্টোবর বিএনপি যখন সমাবেশ করতে পারেনি তখনও একতরফা বিবৃতি দিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি বিতর্কিত সংগঠন মায়ের ডাকের এক নেতার বাসায় গিয়েছিলেন এবং সেখানে তিনি বিএনপির প্রতি এক ধরনের সহানুভূতি জানিয়েছিলেন। এভাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির উপর এক ধরনের প্রচ্ছন্ন সমর্থন এবং সহানুভূতি দেখিয়েছিল।
অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সহানুভূতি এবং পরোক্ষ সমর্থনের কারণেই বিএনপির আন্দোলনের পালে হাওয়া লেগেছিল। নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি চাঙ্গা ভাব তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ২৮ অক্টোবরের পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে শুরু করে। যদিও ২৮ অক্টোবরের পর এই ডোনাল্ড লু শর্তহীন সংলাপের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং এই আহ্বানের চিঠি নিয়ে পিটার ডি হাস তিনটি দলের নেতাদের কাছে গিয়েছিলেন এবং একটি সংলাপ আয়োজনের শেষ চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই সংলাপ আয়োজনে বিএনপি বা আওয়ামী লীগ কেউই সাড়া দেয়নি।
এখন নির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে এবং ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ১১ জানুয়ারি নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলার পরও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া এবং নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছেন। ডোনাল্ড লু’র আগে আফরিন আক্তার নির্বাচনের পরে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন এবং সেই সময় তিনি হোটেল ওয়েস্টিনে বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। তখন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং শামা ওবায়েদ আফরিন আক্তারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। যদিও সেই সাক্ষাতের পর তারা কোনও কিছুই সাংবাদিকদেরকে জানাননি। কিন্তু এবার ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। আর এটি বিএনপির মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে।
বিএনপি মনে করছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদেরকে আর আগের মতো গুরুত্ব দিচ্ছেন না, পাত্তা দিচ্ছে না। বরং সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে বিএনপিকে এড়িয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। বিএনপি নেতারা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ, শামা ওবায়েদ, তাবিথ আউয়ালসহ যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এবং মার্কিন দূতাবাসে যাদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে তাদেরকে দুষছেন। তারা মনে করছেন যে, বিএনপির মধ্যেই সমস্যা রয়েছে। বিএনপির নেতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পারেননি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিএনপির বক্তব্যগুলো তারা সঠিকভাবে ও যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে পারেননি। আর একারণেই ডোনাল্ড লু’র সফরের পর বিএনপির মধ্যে চলছে এক ধরনের হতাশা।
ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ রাজনীতি বিএনপি
মন্তব্য করুন
আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, দলের ভেতর সুবিধাবাদী, লুটেরা এবং দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না। কিন্তু ২৩ জুনের পর আওয়ামী লীগের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ক্র্যাকডাউন হবে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং দলের সুনাম নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি অনুসরণ করবে। আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগ এবং তার আদর্শিক জোট ১৪ দলের নেতাদের চীন সফরে হিড়িক পড়েছে। আওয়ামী লীগ এবং তার সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর এই চীন সফরকে ঘিরে কূটনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানামুখী আলাপ আলোচনা। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই ১৪ দল এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের চীন সফরের ব্যাপারে দৃষ্টি রাখছেন। তবে তারা এই বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হচ্ছেন না। বিষয়টি তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় হিসেবেই মনে করছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল বিএনপির আশা ভরসার কেন্দ্রস্থল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করবে; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করবে; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কারণ সরকার শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করতে পারবে না- এমন বক্তব্যগুলো বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগে বহুল প্রচারিত ছিল। বিএনপির সব নেতারা প্রকাশ্যেই এ কথা বলত।