নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০১ অক্টোবর, ২০১৮
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্যোগ থেমে গেছে। ঐক্যের ব্যাপারে বিএনপিও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। আর ঐক্যের অন্যতম উদ্যোক্তা ড. কামাল হোসেন বিদেশে উড়াল দিয়েছেন। মাঝখানে বিপাকে পড়েছেন ঐক্য প্রক্রিয়ায় যোগ দেওয়া ছোট দলের বড় নেতারা। জানা গেছে, বিএনপিকে নিয়ে একটি বৃহত্তর জোট করার মাধ্যমে ক্ষমতা দখল ছিল ছোট দলগুলোর ‘বড় নেতা’দের পরিকল্পনা। এই ছোট দলের বড় নেতারা হলেন, জেএসডির আ. স. ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না এবং সাবেক ডাকসুর ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। এই ত্রয়ীর ভাবনা জুড়ে ছিল নির্বাচন। মাহমুদুর রহমান মান্না তো, দুই বছর সরকার চালানোর ঘোষণাও দিয়েছিলেন। কিন্তু ড. কামাল হোসেন এবং অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর পিছু হটায় তাঁরা এখন রাজনৈতিক শরণার্থীতে পরিণত হয়েছেন। এই তিন নেতাই এখন বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করে ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নেওয়ার জন্য তদবির করছে। আর তাঁদের পক্ষে ওকালতি করছেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ। কিন্তু এই তিনজনকে নিতে বিএনপিরও তেমন কোনো আগ্রহ নেই। কারণ এঁদের তিনজনের আসনেই বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থী আছে।
ড. কামাল হোসেনের হঠাৎ হুংকারে বিএনপি উৎসাহিত হয়েছিল। বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা খোলামেলা ভাবেই স্বীকার করেছেন যে, ‘আমরা মনে করেছিলাম এই উদ্যোগে হয়তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা আছে।’ এরকম ভাবনা থেকেই বিএনপি ঐক্য প্রক্রিয়ায় যেতে আগ্রহ দেখায়। ড. কামাল হোসেন এবং অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর যৌথ বৈঠক রাজনীতির মাঠে মৃদুকম্পন তোলে। কিন্তু ঐক্যের শুরুতেই ড. কামাল আর বি. চৌধুরীর মধ্যে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব সামনে চলে আসে। অন্যদিকে, অধ্যাপক চৌধুরীর ব্যাপারে বিএনপিতে সন্দেহ দানা বাঁধে। বিশেষ করে, মাহী বি. চৌধুরীর একের পর এক শর্তে বিএনপি বিরক্ত হয়। এই প্রেক্ষাপটে বিএনপি জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারে ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করে।
বিশেষ করে ‘জামাত ছাড়ার’ আনুষ্ঠানিক ঘোষণার দাবিকে বিএনপি নেতারা ‘অপমানজনক’ হিসেবে মনে করেন। বিএনপি অবশ্য শর্তহীন ঐক্যের ব্যাপারে ড. কামাল হোসেনকে ম্যানেজ করে ফেলেছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই কাউকে না জানিয়ে ড. কামাল সিঙ্গাপুর চলে যান। বিএনপির নেতারা বুঝে ফেলেন, ড. কামালের উদ্যোগ ভেঙ্গে গেছে। ফলে, বিএনপি ২০ দলেই মনোযোগী হয়। অধ্যাপক বি. চৌধুরীও সরকারের সঙ্গে একটা আপোষ সমঝোতায় কিছু আসনের গ্যারান্টি চায় আগামী নির্বাচনে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিকল্প ধারার একটা সমঝোতার চেষ্টাও চলছে বলে জানা গেছে। এজন্য বি. চৌধুরী এবং তাঁর ছেলে জাতীয় ঐক্য তো নয়ই এমনকি যুক্তফ্রন্টেও আগ্রহী নন। এতেই বিপাকে পড়েছেন, রব-মান্না-সুলতান। ক’দিন আগেও তাঁদের বেশ কদর ছিল। তাঁদের জন্য গণমাধ্যমেরও আগ্রহ ছিল। কিন্তু আচমকাই ছন্দপতনে তাঁরা আবার এতিম হয়েছেন। এরা এখন নির্বাচনের জন্য বিএনপির কাঁধে সওয়ার হতে চাইছেন। কিন্তু ‘এত বড় নেতাদের’ ব্যাপারে বিএনপির আগ্রহ নেই। ফলে জাতীয় রাজনীতিতে এতিম অথবা শরণার্থীতে পরিণত হয়েছেন তাঁরা।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক কারাগা
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন ও চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।
দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। এ নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবে ‘ওএসডি’ করা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। এ নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।
এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। এ দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।
জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।
মন্তব্য করুন