নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ০৪ অক্টোবর, ২০১৮
মন্ত্রিসভার বৈঠকে গতকাল বুধবার কোটা বাতিলের সুপারিশ অনুমোদন পায়। গতকালই জানা গেছে, শিগগিরই ঘোষণা হবে এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন। ওই ঘটনার পরপরই দেখা গেছে মিশ্র প্রক্রিয়া। রাতের মধ্যে একের এক সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। অনেকে একে স্বাগত জানালেও, কোটা বহাল রাখার দাবিতে রাতেই মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সক্রিয় হয়ে শাহবাগ অবরোধ করেছে। আজ সকালেও অব্যাহত ছিল তাদের শাহবাগে অবরোধ। এর সঙ্গে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলসহ আরও অনেক সংগঠন যুক্ত হচ্ছে। রাজপথ দখল চলে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির হাতে।
আগামী ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হওয়ার কথা। এই মামলার অন্যতম আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। এই রায়কে কেন্দ্র করে ১০ অক্টোবরের আগে ও পরে রাজধানীতে আন্দোলন করতে চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু সড়ক যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে স্বপক্ষের শক্তির হাতে চলে গেল, বিএনপির আন্দোলনের আর কোনো সুযোগই নেই বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তাঁরা বলছেন, এই সময়ে মন্ত্রিসভায় কোটা বাতিলের বিষয়টি অনুমোদন পাওয়া অবশ্যই রাজনৈতিক কৌশল। এর মধ্যে ১০ অক্টোবর কেন্দ্রিক বিএনপির সব পরিকল্পনা মাঠে মারা গেল। বলার অবকাশ রাখে বিএনপির আন্দোলন দমানোর এমন কৌশল আওয়ামী লীগের শুধুমাত্র একজনের কাছ থেকেই আসতে পারে তিনি হলেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশলের কাছে আরেকবার হতভম্ব হতে হলো বিএনপিকে। বিএনপিও এরই মধ্যে নিজেদের পরাজিত অবস্থা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেই ফেলেন, তাঁদের আন্দোলন দমনে এটি সরকারের একটি চাল ছাড়া কিছুই নয়। কিন্তু বুঝলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না তারা। পরাজিত জেনেও কিছু করতে নিরুপায় হওয়াই যে বড় পরাজয়।
এর আগে গণজাগরণ মঞ্চে আন্দোলনের কথাই যদি ধরা হয়, সেখানে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সারাদেশেই যেন একটা আলোড়ন তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এখন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের আন্দোলন থেকে যা কিছু্ হয়, তা সবসময়েই আওয়ামী লীগের পক্ষেই যায়। ইতিহাস অন্তত সেটাই বলে। এবারও সড়ক মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির হাতে থাকলে বিএনপি কোনো আন্দোলনরই গড়তে পারবে না বলেই মত বিশ্লেষকদের।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
বিস্তারিত আসছে....
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।