নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৯ অক্টোবর, ২০১৮
বাংলাদেশের আলোচিত দুই আইনজীবী কাম রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। রাজনীতিতে বিভিন্ন কারণেই বহুদিন ধরে আলোচনার খোরাক জোগানে প্রবীণ দুই ব্যক্তির দ্বৈরথটাও বেশ পুরোনো। সারাজীবনই বিপরীত মেরুতে অবস্থান দুজনার। কিন্তু আজ তাঁরা মিলিত হয়েছেন একই বিন্দুতে। আর দুই মেরুর দুজনাকে এক বিন্দুতে এনেছে ক্ষমতার মোহ। আসলেই ক্ষমতার কতই না শক্তি। সারাজীবনের শত্রুও মুহূর্তে হয়ে যায় বন্ধু।
দল থেকে অন্যদলে, সেখান থেকে আবার পুরোনো দলে এভাবে অনেক ডিগবাজি শেষে বর্তমানে বিএনপিতে থিতু দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। আর আওয়ামী লীগ বেরিয়ে গিয়ে গণফোরাম গঠন করা ড. কামাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরেই ভোটের রাজনীতিতে মূল্যহীন। এই ড. কামাল হোসেনই গড়েছেন জাতীয় ঐক্য। আর ক্ষমতার জন্য সেই ঐক্যেই ডাকেই এক টেবিলে পাশাপাশি ড. কামাল ও ব্যারিস্টার মওদুদ।
অথচ, বেশিদিন আগে নয় যখন আদালতে ড. কামাল ও মওদুদকে একে অপরকে গালাগাল করতে দেখা গেছে। স্বৈরাচারের পতনের পর ড. কামালকে আদালতে প্রকাশ্যে গালাগাল করেছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। এমনকি ব্যারিস্টার মওদুদ নিজের লেখা বই ‘কারাগারে কেমন ছিলাম ২০০৭-২০০৮’ এ ড. কামালকে বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবে অসৎও বলেছেন। ওই বইয়ের একটি অংশে ব্যারিস্টার মওদুদ লিখেছেন:
‘মনে হচ্ছে ড. কামাল হোসেন তার সুর পরিবর্তন করেছেন। এতদিন যাবৎ তিনি এই বলে সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছিলেন যে, জরুরি অবস্থা অনির্দিষ্টকাল যাবৎ বহাল রাখা যেতে পারে। কিন্তু এখন তিনি বলছেন যে, অবিলম্বে এই জরুরি আইন প্রত্যাহার করা উচিত। আশা করি এটা বুদ্ধিবৃত্তিক কোনো অসততার দৃষ্টান্ত নয়।’
[মওদুদ আহমেদের লেখা ‘কারাগারে কেমন ছিলাম ২০০৭-২০০৮’ বইয়ের ৮৫ পৃষ্ঠা]
অথচ ক্ষমতার মোহের মানুষ কি না হতে পারে। ক্ষমতার জন্য কিছু মানুষের ক্ষেত্রে যেন সবই সম্ভব। এই প্রকৃত উদাহরণ হতে পারেন ড. কামাল ও মওদুদ আহমেদ।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।