নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১০ অক্টোবর, ২০১৮
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে পুরোপুরি খুশি নয় আওয়ামী লীগ। এই রায় আওয়ামী লীগকে অস্বস্তি দিয়েছে। অন্যদিকে প্রকাশ্যে রায়ের সমালোচনা করলেও এই রায়ে বিএনপির চাপা উল্লাস লুকানো যায়নি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে, এই রায় বিএনপিকে পয়েন্ট অব নো রিটার্নের দিকে নিয়ে যাবে না। এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি তেমন কোনো কর্মসূচিও দেয়নি।
নির্বাচনের আগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগ এই মামলায় তারেক জিয়ার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিল। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা মনে করেছিলেন, এই রায়ে তারেক জিয়ার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিলে, দলটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ভাবে অস্তিত্বের সংকটে পড়তো। এর ফলে, তারেক জিয়াকে বিএনপির নেতৃত্বে রাখা কঠিন হয়ে পড়তো। আন্তর্জাতিক ভাবেও চাপে পড়তো বিএনপি। একটি দলের অন্যতম প্রধান নেতার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ঐ দলটিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করতো। বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে তুলে ধরতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে সহজ হতো। যদিও তারেক জিয়ার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। কিন্তু এতে তারেক জিয়াকে বিএনপির নেতৃত্ব থেকে সরানো সম্ভব নাও হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। কারণ, তারেক ইতিমধ্যে দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন। নতুন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড তারেক জিয়ার ব্যাপারে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপি যা বলার চেষ্টা করছে যে এই রায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফসল- ‘যাবজ্জীবন’ কারাদণ্ড দেওয়ার ফলে এটা বলা তাদের জন্য আরও সহজ হলো। বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা মৃত্যুদণ্ডের আদেশ নিয়েই শঙ্কায় ছিলেন। বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, এরকম একটি রায় হলে আমাদের আন্দোলনে যেতেই হতো। সেই আন্দোলনে অন্যান্যরা নীতিগত কারণেই হয়তো দূরে থাকতো। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, এই রায়ে তারেক জিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলে নেতা-কর্মীদের মনোবল ভেঙে পড়তো। আন্দোলন বা নির্বাচনে এর স্পষ্ট প্রভাব পড়তো। কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়তো। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ায় বিএনপি কর্মীরা বরং চাঙা। এর ঠিক বিপরীত চিত্র আওয়ামী লীগের কর্মীদের। এই মামলায় তারেক জিয়ার মৃত্যুদণ্ড হলে তুঙ্গ মনোবল নিয়েই আওয়ামী লীগের কর্মীরা নির্বাচনের মাঠে নামতো। আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা বলছিলেন, ‘উজ্জীবিত কর্মীদের চেয়ে আর বড় শক্তি নেই। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক জিয়ার ফাঁসির আদেশ হলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা উজ্জীবিত হতো। এটা নির্বাচনে টনিকের মতো কাজ করতো।’
আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই মনে করছেন, মেয়াদের শেষ প্রান্তে এই রায় হিতে বিপরীত যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বিচার হয়েছে এটিই বড় অর্জন। এটাকেই সামনে নিতে হবে। আর বিএনপি নেতৃবৃন্দ উল্লাস চেপে সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
তবে কোনো কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন, নির্বাচনের আগে এই রায় বিএনপিকে নির্বাচনমুখী করবে। এই রায় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি কাউকেই পুরোপুরি সন্তুষ্ট বা পুরো অসন্তুষ্ট করেনি।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।