কালার ইনসাইড

নায়িকারা যেভাবে শরীরচর্চা করেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:১৮ পিএম, ১১ অক্টোবর, ২০১৮


Thumbnail

২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল, সন্তানসহ টেভি পর্দায় অপু বিশ্বাস যখন হাজির হন, তখন তার ওজন ছিল ৯৫ কেজি। এক বছর পর এখন তার ওজন ৬৫ কেজি। অভিনয়ের জন্য কমাতে হবে আরও ওজন। তাই তো মা হওয়ার পরেই সেই ফিগার ফিরে পেতে কঠোর পরিশ্রম করছেন অপু। কি পরিশ্রম করছেন তা জানালেন,‘ফল খাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছি। ভাত-রুটি এমনিতেই কম খাই। রাতের খাবারে চেষ্টা করি শুধু প্রোটিন।’

অপু আরও জানান, ‘শুধু জিমে সময় দিলেই চলবে না, নিজেকে মানসিক চাপ থেকেও মুক্ত রাখতে হবে। মাঝে অনেকটা সময় মনের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেলেও এখন আর ওসব নিয়ে মোটেও ভাবছি না। পুরোপুরি চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করছি।’ রাজধানীর গুলশান এলাকার নিকেতনে ‘এপিএস লেডিস ফিটনেস ক্লাব’ নামে একটি ব্যায়ামাগার চালু করেছিলেন অপু। তবে একটা সময়ে তা বন্ধ হয়ে যায়। 

আজমেরি হক বাঁধনের বিয়েবিচ্ছেদের চার বছর হলো। মামলা-মোকদ্দমায় নেমে মানসিক অবস্থার বারোটা বেজে গেছে। বিষণ্নতা আঁকড়ে ধরে তাঁকে। বিষণ্নতা কাটাতেই যোগ দিয়েছিলেন জিমে, সঙ্গে খাবারের রুটিনটা বদলালেন। তিন-চার মাসেই মানসিক ও শারীরিক অবস্থার অভাবনীয় উন্নতি। গড়নে-মননে নিজেকে আমূল বদলে ফেলেছেন। ১২ কেজি ওজন কমিয়েছেন মাস আটের মধ্যে। কী করেছিলেন? ‘খুব বেশি কিছু না। খাবারে ডায়েট করলাম। আর নিয়মিত জিমে যাচ্ছিলাম। পরিবর্তনটা নিজে যেমন টের পাচ্ছি। বাইরের মানুষও টের পেল।’

প্রায় দশ বছর ধরে নিয়মিত জিম করেন বিদ্যা সিনহা মিম। লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সময় কিছু ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ শিখেছিলেন। প্রতিযোগিতা শেষে সেগুলো বাসায় প্রাকটিস করতেন। ২০১২ সালে এপিএস লেডিস ক্লাব জিমে ভর্তি হন। সেখানকার ট্রেইনার শাহীনের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে পরে বাসায় একটি ব্যক্তিগত জিম গড়ে তুলেছেন। প্রয়োজনীয় প্রায় সব যন্ত্রপাতিই কিনেছেন।

মিমের শরীর ঠিক রাখার মূল রহস্য দৌড়ানো। দিনে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা দৌড়ান। ঘুম থেকে উঠে হালকা নাশতা সেরেই শুরু করেন দৌড়ানো। দৌড়ানো শেষে সামান্য বিশ্রাম নিয়ে আবার জিমে কসরত করেন। রহস্য বলতে ঢাকার কোন এক পার্কে সকালবেলা তাকে দৌড়াতে দেখা যায়।

খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও খুব সচেতন মিম। আইসক্রিম ও চকোলেট পছন্দের খাবার হলেও এখন এড়িয়ে চলেন। ভারী খাবার একদম খান না। সবুজ শাকসবজি পছন্দ তাঁর। এ ছাড়া গ্রিন টি, গ্রিন আপেল ও সালাদ থাকে প্রতিদিনের রুটিনে। আউটডোরে শুটিং থাকলে নিজেই অনেক সময় রান্না করে নেন। রান্না করতে ভীষণ পছন্দ করেন। সে ক্ষেত্রে তেল ও লবণের ব্যাপারে সচেতন থাকেন। সঙ্গে নিয়ে যান কিছু ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজের যন্ত্রপাতি। সময় বুঝে শরীরচর্চাটা সেরে নেন। সপ্তাহে একবার হলেও ঘন্টাখানেক ধরে সাতার কাটেন। সাতারকেও ভালো ব্যায়াম বলে মনে করেন মিম।

বনানীর রুসলান স্টুডিও জিমের সদস্য নুসরাত ফারিয়া। প্রায় তিন বছর ধরে নিয়মিত জিম করেন সেখানে। যত কাজই থাকুক প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ফারিয়ার জিম টাইম। শুটিং থাকলেও সময়মতো জিমে থাকার চেষ্টা করেন। অপু  ও রুসলান ফারিয়ার ট্রেনার। ফারিয়া বলেন,‘প্রথম যেদিন জিমে গেলাম, সেদিন ২ কেজির একটা ডাম্বল ওঠাতে কষ্ট হয়ে গেছে। এখন অনায়াসে ৫৪ কেজি ওজনের ডাম্বল তুলে ফেলি।’

খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও খুব সচেতন। লবণ এবং কার্বোহাইড্রেডযুক্ত খাবার মুখে দেন না। সপ্তাহে দুই দিন তৈলাক্ত খাবার খান। আইসক্রিম, পিৎজা, বার্গারসহ নানা ধরনের ফ্যাটি খাবারের আশপাশ দিয়ে যান না অনেকদিন। সকালের খাবার তিনটি ডিম ও এক বাটি স্যুপ। দুপুরে ফ্রেশ সালাদ। সন্ধ্যায় সবুজ ফল ও স্ন্যাক্স। রাতে তেমন কিছু খাওয়া হয় না বললেই চলে। তবে ফারিয়া নিয়মিত ডাক্তারের কাছে গিয়ে শরীর চেকআপ করান। দুর্বল লাগলে ব্যবস্থা নেন।

শরীর চর্চা, পার্লার, জিম নিয়ে কতটুকু সচেতন মাহিয়া মাহী? ‘আমি কখনো জিম করি না। আর শুটিং ছাড়া পার্লার যাওয়া বা মেকআপ নেওয়া হয় না। তবে পরিমিত পরিমানে পানি খেলে নাকি স্কিন ভালো থাকে। তাই এ বিষয়টা খুব মেনে চলি। আগে একদমই পানি খেতাম না।’ ফিটনেস ঠিক রাখার জন্যে তার প্রস্তুতি নিয়ে বলেন,‘কোন ছবির শুটিং শুরু হওয়ার দেড় মাস আগ থেকেই, আমি রুটিন করে তিনবেলা জুস খাই। এতে করে আমার শারীরিক ফিটনেস ও ডায়েট দুই’ই ঠিক থাকে। তবে যখন ছবির শুটিং শুরু হয়ে যায়, তখন তেহেরি, কালো ভুনা, গুরুর মাংস পেট পুরে খাই। কারণ এ খাবারগুলো আমার ভীষণ পছন্দ। যদিও খাবারগুলো খেলে মোটা হয়ে যাই। তারপরও নিজেকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করি।’

অভিনয় শুরু থেকেই আকর্ষণীয় গড়ন রয়েছে ববির। র‌্যাম্প করার সময় থেকেই নিয়মিত জিম করেন তিনি। গুলশানের একটি লেডিস জিমে ভর্তি হলেও সময়ের অভাবে সেটা নিয়মিত করতে পারেননি। বেশ কিছু যন্ত্রপাতি কিনে বাসাতেই করছেন শরীরচর্চা। ট্রেইনার হিসেবে রেখেছেন রোহানকে। তাঁর পরামর্শেই সব করেন।

ঘুম থেকে উঠে এক ঘণ্টা এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক ঘণ্টা জিম করেন। এই এক ঘণ্টার মধ্যে বেশির ভাগ সময়ই তিনি দৌড়ান। ফিটনেস ধরে রাখার প্রধান কৌশল দৌড়ানো বলে মনে করেন তিনি।

তৈলাক্ত খাবার যতটা পারেন এড়িয়ে চলেন। প্রথমদিকে শুটিংয়ের মানুষজন তা বুঝতো না। এখন জানে ববি কি চায়। শুটিংয়ে থাকলে শুধু সবজি আর ফল খান। সকালে জিমের পর ফ্রুট সালাদ, দুপুরে হালকা সবজি কিংবা চিকেন। সন্ধ্যায় স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার। তবে রাতে ভারী খাবার একদমই খান না। তবে তার ফিটনেসের রহস্য বলতে তিনি জানান পারিবারিকভাবেই অনেকটা এমন স্লিম। পরিবারের প্রায় সবাই এমন স্লিম।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় করতে চাইলেন নাসিরুদ্দিন শাহ

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ এর ৭৭তম আসরে হাজির হয়েছেন বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। উৎসবে চতুর্থ দিনে নাসিরুদ্দিন শাহ’র ‘মন্থন’ সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছে ‘কান ক্লাসিকে’।

চার যুগ আগে ‘মন্থন’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন এই তারকা। যেটি ছিল অভিনেতার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। গুজরাটের দুগ্ধখামারীদের ওপর কর্পোরেট আগ্রাসন ঘিরে বর্ষীয়ান নির্মাতা শ্যাম বেনেগালের ধ্রুপদি এই সিনেমাকে সম্মান জানিয়ে এই বিভাগে ঠাই দিয়েছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।

এই শ্যাম বেনেগালই নির্মাণ করেছেন বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’। যেখানে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা আরিফিন শুভ। এই অভিনেতার অভিনয় বেশ মনে ধরেছে বলিউডের বিখ্যাত এই তারকার।

নাসিরুদ্দিন শাহ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক সিনেমাটি আমি দেখেছি। খুবই ভালো সিনেমা। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বলতে হয়, শ্যাম বেনেগালের সিনেমাটি ব্যাপকভাবে প্রদর্শিত হয়নি। কিন্তু আমি মনে করি, মূল চরিত্রে যিনি (শুভ) অভিনয় করেছেন তিনি দারুণ করেছেন। আমি সিনেমাটি উপভোগ করেছি। সিনেমাটি দারুণ ইনফরমেটিভ, ইন্টারেস্টিং এবং নাটকীয়।’

এ সময় বাংলাদেশে অভিনয়ের আগ্রহও প্রকাশ করেন এই অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘আমি কখনো বাংলাদেশে সিনেমা করার অফার পাইনি। পেলে খুব খুশি হতাম। যদিও আমি দুইবার গিয়েছি সেখানে থিয়েটারে পারফর্ম করতে। কিন্তু সিনেমাটা করা হয়নি। বাংলাদেশের নির্মাতাদের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা।’


ঢাকা   সিনেমা   অভিনয়   নাসিরুদ্দিন শাহ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পারিশ্রমিক নেই না: শাহরুখ খান

প্রকাশ: ০৭:৫১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডের সুপারস্টার শাহরুখ খান। সিনেমায় অভিনয়ের ক্ষেত্রে এক পয়সাও নেন না বলিউডের এই বাদশাহ। ভারতের সাংবাদিক রজত শর্মার ‘আপ কি আদালত’ অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। যেই ভিডিও ইতোমধ্যেই ভাইরাল।

ভিডিওটিতে শাহরুখের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, ‘সিনেমায় অভিনয়ের জন্য আপনার পারিশ্রমিক কেমন?’। উত্তরে শাহরুখ বলেন, ‘আমি বিভিন্ন শো’র জন্য পারিশ্রমিক নেই, এন্ডোর্সমেন্টের জন্য নেই, লাইভ শো’র জন্য নেই। কিন্তু কখনোই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পারিশ্রমিক নেই না। গেল ২০ বছরে কোনো নির্মাতা এই কথা বলতে পারবে না যে, আমি সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তাদের কাছে অর্থ চেয়েছি। আমি নির্মাতাদের বলি- আপনারা সিনেমায় আমাকে নিন। যদি লাভ হয় আমাকে দিয়েন। না হলে আমাকে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’

এমন উত্তরের পর তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘তাহলে তার আয়ের উৎস কী?’। এ সময় অভিনেতা আরও বলেন, ‘সিনেমায় অভিনয়ের জন্য আমি পারিশ্রমিক না নিলেও আমি সিনেমার বাইরে এত কাজ করি যে, তা দিয়েই আমার সংসার চলে যায়। কারণ সিনেমায় অভিনয় আমার কাছে পূজা করার মতো। এই কাজ করে আমি কখনোই পারিশ্রমিক নেই না।’


সিনেমা   অভিনয়   পারিশ্রমিক   শাহরুখ খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মারা গেছেন ডা. খোদেজা বেগম মৃধা

প্রকাশ: ০৫:৩৭ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশিষ্ট ডা. খোদেজা বেগম মৃধা মৃত্যুবরণ করেছেন। গত রবিবার (১২ মে) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

প্রয়াত ডা. খোদেজা বেগম মৃধা কবি, সাহ্যিতিক ও গীতিকার জোবেদা খাতুনের জেষ্ঠ্য কন্যা ছিলেন। মৃতকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। 

মরহুমার ভাই তবলা বাদক জাহাঙ্গীর মির্জা বাবুলের মহাখালীর নিজ বাড়িতে তার কুলখানি গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। কুলখানিতে দেশের বহু ব্যক্তিত্বদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মরহুমার ভাগনি আঁখি আলমগীর, কবি খোশনূর আলমগীর, ফটো সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


ডা. খোদেজা বেগম মৃধা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ফারিণের সঙ্গে নতুন গান গাইতে আগ্রহী তাহসান

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমবারের মতো হানিফ সংকেতের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ সংগীতশিল্পী তাহসান খান গান গেয়েছিলেন। পেশাদার সংগীতশিল্পী না হয়েও তাহসানের সঙ্গে খুব চমৎকারভাবেই গানটি গেয়েছিলেন ফারিণ। এরপর তা ভক্তদের কাছে ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

ফারিণের সঙ্গে নতুন করে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাহসান খান। শুক্রবার (১৭ মে) গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে তাহসান জানান, ভালোবাসার জন্য বছরের পর বছর ধরে গান করেন তিনি।

সংগীতশিল্পী তাহসান বলেন, আমাকে এবং তাসনিয়া ফারিণকে একসঙ্গে গান করার জন্য বলা হয়েছিল এবং কবির বকুল ভাইকে ধন্যবাদ জানাই তিনি সুযোগটা করে দিয়েছিলেন। আমরা ভেবেছি নতুন গান নিয়ে আরও কাজ করবো তবে এখন না। আমাদের যখন মনে হবে গানটা প্রকাশ করার সময় হয়ে গিয়েছে ঠিক তখন আমরা কাজ করবো।

রঙে রঙে রঙিন হব গানের বিষয়ে তাহসান বলেন, মানুষ যে গান ভালোবাসে এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। কারণ আমাকে অনেকদিন পর এবার অনেকে বলেছে, ভাই গানটা খুব ভালো লেগেছে। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে সামনে ব্যস্ততা রয়েছে আমার নতুন গান আসবে।


ফারিণ   তাহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মায়ের পৃথিবীর মঞ্চ ছাড়ার সময়ে ঢাকার মঞ্চে মোনালি

প্রকাশ: ০৩:০৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় সংগীতশিল্পী অভিনেত্রী মোনালি ঠাকুর। জীবন থেকে কঠিন এক শিক্ষা পেলেন তিনি। ঢাকার মঞ্চে তিনি যখন গান গাইছেন। তখন পৃথিবীর মঞ্চ ছেড়ে তার মা মিনতি ঠাকুর না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরেও গান থামান নি এই শিল্পী। শ্রোতাদের গেয়ে শুনিয়েছেন মায়ের প্রিয় গানতুমি রবে নীরবে

চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শেষে মোনালির মাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার দুটো কিডনিই কাজ করছিল না, ডায়ালাইসিস চলছিল। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মায়ের একটি ছবি শেয়ার করে ইনস্টাগ্রামে মোনালি লিখেছেন, ‘শেকল ছিঁড়ে গেছে, অবশেষে কষ্টের অবসান।

বলিউডের অনেক সিনেমার গানে প্লেব্যাক করেছেন মোনালি। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো— ‘জারা জারা টাচ মি’ (রেস), ‘গুডনাইট’ (দিল কাবাডি), ‘খুদায়া খায়ের’ (বিল্লু), ‘গোলামাল’ (গোলমাল থ্রি) প্রভৃতি। শুধু গান নয়, বলিউডের বেশকিছু সিনেমাতে অভিনয়ও করেছেন এই গায়িকা।

এর আগে একটি কনসার্টে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাংলাদেশে এসেছিলেন মোনালি। রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বিষয়টি অনেক আগেই ঠিক হয়ে ছিল।


মা   পৃথিবী   মোনালি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন