নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৫ অক্টোবর, ২০১৮
বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিকদের জন্য ৫০ আসন ছেড়ে দেবে। নির্বাচনে বিএনপি ২০ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট উভয়কে একসঙ্গে নিয়েই নির্বাচন করবে। ২০ দলীয় জোটকে ৩০ টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ২০ টি আসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া, ঐক্যের আসন ভাগাভাগি এবং ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে তাঁর লিখিত মতামত দিয়েছেন। আজ ২০ দলের বৈঠকে এই প্রস্তাব নিয়ে সমালোচনা হবে। তারেক জিয়া নির্বাচন এবং নির্বাচন পরবর্তী সরকার গঠন নিয়ে যে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছেন তার মূল বিষয়বস্তু এরকম:
১. বিএনপি ২০ দল এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে একসঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করবে। ২০ দলের শরিকরা পাবেন ৩০ টি আসন। তবে তাদের সবাইকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে হবে। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ছেড়ে দেওয়া হবে ২০টি আসন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা চাইলে ধানের শীষ অথবা তাদের দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও ঐ আসনে ধানের শীষের কোনো প্রার্থী থাকবে না।
২. নির্বাচনে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে যুক্তি দাঁড় করানো হবে তা হলো গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্রের মায়ের মুক্তি। তারেক জিয়া এই অভিন্ন শ্লোগানে ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনের প্রস্তাবনা দিয়েছেন। তাঁর প্রস্তাব অনুযায়ী, কোনো দাবি সরকার না মানার পরও আন্দোলনের অংশ হিসেবেই এই নির্বাচন। গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতেই এই নির্বাচন বলে তারেক প্রস্তাব রেখেছেন।
৩. নির্বাচনের পর বিএনপি একক বা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও প্রধানমন্ত্রী পদ বিএনপি নেবে না। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য কাউকে প্রধানমন্ত্রী করা হবে।
৪. নির্বাচনে জয়ী হলে এবং দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন পেলে; জোট সরকার বর্তমান সংবিধান বাতিল করে, সকল দলের মতামতের ভিত্তিতে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।
৫. নতুন সংবিধানে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা হবে।
৬. বিএনপি এবং জোট ক্ষমতায় গেলে, কোনো প্রতিহিংসার নীতি ও কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে না।
এই ৬ দফার ভিত্তিতে নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তারেক জিয়া। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, তারেক জিয়ার এই প্রস্তাবের ব্যাপারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট রাজি হয়েছে। ২০ দলের বৈঠকে এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ১৭ মে দেশের বিভিন্ন এতিমখানায় খাবার বিতরণ
করবে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি।
বুধবার (১৫ মে) আওয়ামী লীগের ত্রাণ
ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি
ঘোষণা করা হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার
(১৬ মে) দুপুর ১টায় তেজগাঁও ‘রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানা’য় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে
সুষম খাবার বিতরণ করা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এছাড়াও এদিন রাজধানী ঢাকায় আজিমপুর
সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা, মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোডস্থ এতিমখানা, সোবহানবাগ মসজিদ
সংলগ্ন এতিমখানা, বাড্ডা বেরাইদ রহিম উল্লাহ এতিমখানায় এতিম অসহায়দের মাঝে খাবার সামগ্রী
বিতরণ করা হবে।
একই সঙ্গে সিলেট হযরত শাহজালালের (র.)
মাজার সংলগ্ন এতিমখানা এবং চট্টগ্রাম হযরত শাহ আমানতের (রহ) মাজার সংলগ্ন এতিমখানা
ও গরীব উল্লাহ শাহের (রহ) মাজার সংলগ্ন এতিমখানাতেও খাবার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত
হবে।
এছাড়াও ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির
সদস্যদের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে অবস্থিত এতিমখানাগুলোতে সুষম খাবার পরিবেশন
করা হবে।
পরের দিন শনিবার দুপুর ১টায় চট্টগ্রামের
কদম মোবারক এতিমখানায় সুষম খাবার বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে
উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এতিমখানা আওয়ামী লীগ উপ-কমিটি
মন্তব্য করুন
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ২৯ মে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৫২ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী
তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে ১৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ২৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান
প্রার্থী ও ৯ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। গতকাল বুধবার বিএনপির পাঠানো এক সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, রংপুর বিভাগের ১২ জন, রাজশাহী বিভাগের চারজন, বরিশাল বিভাগের পাঁচজন, ঢাকা বিভাগের চারজন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৯ জন, সিলেট বিভাগের সাতজন, চট্টগ্রাম বিভাগের একজন, কুমিল্লা বিভাগের ছয়জন ও খুলনা বিভাগের চারজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডোনাল্ড লু বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চীন সফর ভারত যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, দলের ভেতর সুবিধাবাদী, লুটেরা এবং দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না। কিন্তু ২৩ জুনের পর আওয়ামী লীগের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ক্র্যাকডাউন হবে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং দলের সুনাম নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি অনুসরণ করবে। আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগ এবং তার আদর্শিক জোট ১৪ দলের নেতাদের চীন সফরে হিড়িক পড়েছে। আওয়ামী লীগ এবং তার সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর এই চীন সফরকে ঘিরে কূটনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানামুখী আলাপ আলোচনা। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই ১৪ দল এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের চীন সফরের ব্যাপারে দৃষ্টি রাখছেন। তবে তারা এই বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হচ্ছেন না। বিষয়টি তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় হিসেবেই মনে করছেন।