নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৪ পিএম, ১৬ অক্টোবর, ২০১৮
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২নং সেক্টরে সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ ও সেক্টর কমান্ডার হায়দারের নেতৃত্বে ডা. মোবিন চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডা. মেজর আখতার আহমেদ বীর প্রতীক, ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম বীর প্রতীক, ডা. সুলতানা কামালসহ অনেক ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে আগরতলার মেলাঘরের বিশ্রামগঞ্জে হাবুল ব্যানার্জির বাগানে যুদ্ধে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য গড়ে উঠে বাংলাদেশ হাসপাতাল। মুক্তিযুদ্ধের পরে হাসপাতালটি সাভারে স্থানান্তর করা হয়। পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাসহ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল হাসপাতালটি। বিশ্ববিখ্যাত ডাক্তার গাস্টসহ অনেক ডাক্তার বাংলাদেশে এসে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেন। ডা. মোবিন চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাসহ মেলাঘরের সে সময়ের ডাক্তারদের সমন্বয়ে একটি ট্রাস্ট `যেটি পরবর্তিতে গণস্বাস্থ্য সংস্থা` করে পরিচালিত হচ্ছিল। বঙ্গবন্ধু সরকার এই চিকিৎসা কেন্দ্রের জন্য উদারভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পরে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন। হত্যা করা হয় ২নং সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ ও হায়দারকে, যাঁদের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ হাসপাতাল। মনে হয় খালেদ ও হায়দার হত্যার পাপবোধ থেকে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে খালেদ মোশাররফ ও হায়দারের শিষ্য অনুসারীদের ক্ষমতার নানারকম উচ্ছিষ্টের ভাগ দিতে তৎপর হলেন। সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ ও হায়দারের রক্ত মাড়িয়ে ডা. জাফরুল্লাহ এগিয়ে গেলেন। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান থেকে খালেদ মোশারফ ও হায়দারের হত্যার উপঢৌকন হিসেবে স্বাধীনতা পদকসহ গণস্বাস্থ্যের নামে গ্রহণ করলেন নানাবিধও সুবিধা। ধীরে ধীরে নামকা ওয়াস্তে ট্রাস্ট রেখে নিজে দখল করলেন `গণস্বাস্থ্য সংস্থা`। এই ট্রাস্টকে সামনে রেখে সামরিক শাসক এরশাদের দালালিসহ (উপদেষ্টা) নানারকম অপকর্মের সঙ্গেও জড়িয়েছেন। সর্বশেষ যুদ্ধাপরাধের বিচারের সময়ে ডা. কামালের জামাই ডেভিড বার্গম্যানসহ যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে দাঁড়ালেন। বর্তমানে যুদ্ধাপরাধীদের দালাল এই অধঃপতিত জাফরুল্লাহর হাত থেকে গণস্বাস্থ্য ট্রাস্ট উদ্ধার করে মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্যে অটল থাকার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।