নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৭ অক্টোবর, ২০১৮
যাত্রার শুরুতেই দিবস উদযাপন নিয়ে বিভ্রাটে পড়েছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ড. কামাল হোসেনের দল গণফোরাম, ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিবছরই গণফোরাম জেল হত্যা দিবস পালন করে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যেহেতু ঐক্য গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে এক দলের নিজস্ব কর্মসূচিতে অন্য দল অংশ নেবে। সেই বিবেচনা থেকেই ঐক্যফ্রন্টের অন্য দলগুলোকে ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু গণফোরাম নেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টু এবং অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী নিজেদের মধ্যে আলাপ করেন, বিএনপিকে জেলহত্যা দিবসে ডাকা হবে কীভাবে? তারা তো জেলহত্যা দিবস পালনই করে না, তাছাড়া জেলহত্যার বিচার বন্ধ করেছিল বিএনপিই। এখন বিএনপি জেলহত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে এসে কি বলবে? দুই নেতাই এ ব্যাপারে ড. কামালের পরামর্শ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
বিভ্রাটের শেষ এখানেই নয়। বিএনপি নির্বাচনকে সামনে রেখে বেশ ঘটা করে ৭ নভেম্বর জাতীয় সংহতি দিবস উদযাপন করতে চায়। এ নিয়ে তারা প্রস্তুতিও শুরু করেছে। বিএনপি মনে করে ৭ নভেম্বরই তাদের ‘প্রাণ ভোমরা’। এটাই তাদের উদযাপনের সবচেয়ে বড় দিন। কিন্তু জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক জেএসডি মনে করে, ৭ নভেম্বর ‘সিপাহী জনতার বিপ্লব দিবস’। প্রতিবছর শুধু আ. স. ম. আবদুর রবই নন, জাসদের সব ভগ্নাংশই এই দিনটি এভাবেই পালন করে। বিএনপি মনে করে, ৭ নভেম্বরের মূল নেতা জিয়াউর রহমান। আ. স. ম. আবদুর রব মনে করেন কর্নেল (অব.) তাহের। বিএনপি মনে করে এর মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের ধারা পুন:প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অন্যদিকে জেএসডি মনে করে এই দিনের ‘বিপ্লব’ কে জিয়া হাইজ্যাক করেছে। অন্যদিকে, ড. কামাল হোসেনরা ৭ নভেম্বরকে আওয়ামী লীগের মতোই সৈনিক হত্যা দিবস মনে করে।
গণফোরাম অবশ্য প্রতিষ্ঠার পর কখনো ৭ নভেম্বর উদযাপন করেনি। এখন ড. কামাল হোসেন কি করবেন, তিনি কি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক হিসেবে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে জিয়ার কবর জিয়ারত করবেন? বিএনপির অনুষ্ঠানে গিয়ে বলবেন, ‘জিয়াই বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক।’ জেএসডির নেতা আ. স. ম. আবদুর রবই বা কী করবেন? অন্যদিকে, বিএনপির জন্যও ৩ নভেম্বরের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া অস্বস্তিকর।
ঐক্যফ্রন্ট, তাই যাত্রার শুরুতেই একসঙ্গে চলতে গিয়ে বিভ্রাটে পড়েছে। যদিও ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেছেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আদর্শিক ঐক্যের কোনো জোট নয়, নির্বাচন, সুশাসন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নূন্যতম ঐক্যের জোট।’ তিনি বলেন, ‘এইসব দিবসগুলো যে যার অবস্থান থেকে, রাজনৈতিক বিশ্বাস থেকেই করবে। আমাদের মূল লড়াইয়ের জায়গা হলো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা।’
মোস্তোফা মোহসীন মন্টু এমন দাবি করলেও, দলের কর্মীরা বিভ্রান্তিতে। বিশেষ করে বিএনপির নেতা কর্মীরা একটু ‘বিব্রত’। তারা বলছেন, ‘একদিকে তারা আমাদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগ-ভাটোয়ারার চুক্তি করছে। অন্যদিকে, তারা আবার আমাদের বিরুদ্ধে অন্য ফোরামে কথা বলবে। এটা কীভাবে সম্ভব? বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে দুই মেরুর রাজনীতি আছে। আমরা যদি একসঙ্গে নির্বাচন, আর একসঙ্গে সরকার গঠন করতে চাই, তাহলে আমাদের রাজনীতিতেও কিছু ঐক্য লাগবে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
বিস্তারিত আসছে....
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।