নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৭ অক্টোবর, ২০১৮
জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বিশ্বজুড়ে চলা `হ্যাশট্যাগ মিটু’তে মান্নার যৌন হয়রানির ঘটনাগুলো তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছেন দেশি কিছু প্রাক্তন জাসদ-বাসদ কর্মী। একজন প্রাক্তন নারী জাসদ কর্মী বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, ‘মান্না ভাই এত লম্বা লম্বা নীতি বাক্য দিচ্ছেন। তিনি কি এটা একবার আয়নায় দেখেছেন। এই মিষ্টি কথার আড়ালে যে লুকিয়ে আছে একজন হিংস্র দানব, তা কি নতুন প্রজন্ম জানে?’
ঐ নারী কর্মীর বক্তব্যের সূত্র ধরে বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জাসদ থেকে বেরিয়ে আ. ফ. ম মাহাবুবুল হকের নেতৃত্বে গঠিত হয় বাসদ। মাহমুদুর রহমান মান্না, আখতারুজ্জামান, জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, আলী রিয়াজের মতো তুখোড় ছাত্রনেতারা জাসদ ছেড়ে বাসদে চলে যান। বলা হয়েছিল, ‘ জাসদ সমাজতান্ত্রিক শ্রেণি চরিত্র হারিয়েছে।’ প্রাক্তন বাসদের অনেক নেতাই মনে করেন, জাসদ থেকে বাসদের জন্ম ছিল আদর্শিক। সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব প্রশ্নে তাঁদের মতপার্থক্য হয়েছিল। কিন্তু মার্কসবাদী সংগঠন হিসেবে আবির্ভাবের কিছুদিনের মধ্যে ভাঙন ধরে বাসদের ( বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল)।
বাসদের প্রাক্তন এবং বর্তমান একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাসদ কোনো আদর্শিক কারণে নয়, স্রেফ মান্নার পরকীয়া এবং লাম্পট্যের কারণে ভেঙেছে। বাসদের আহ্বায়ক প্রয়াত আ.ফ.ম মাহাবুবুল হকের স্ত্রী কামরুন্নাহার বেবীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মান্না। এই সম্পর্কে হাতেনাতে ধরাও পড়েন তিনি। এ সময় নীতি নৈতিকতার প্রশ্নটি সামনে আসে। কমরেডের স্ত্রীর সঙ্গে যে অনৈতিক সম্পর্কে জড়াতে পারে, সে কীভাবে শোষণহীন আদর্শিক রাজনীতি নিয়ে মানুষের সামনে দাঁড়াবে? – এই প্রশ্ন নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয় বাসদের পলিট ব্যুরোতে (সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী সংস্থা) । দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টার নীতি নির্ধারণী সভায় বেরিয়ে আসে মান্নার বিরুদ্ধে একাধিক যৌন নিপীড়নের অভিযোগ , তাঁর লাম্পট্য। এ সময় মান্নার ‘অরাজনৈতিক সুলভ’ আচরণের জন্য বাসদ ভেঙে বেরিয়ে যান কমরেড খালেকুজ্জামান। ঐ ১৮ ঘণ্টার বৈঠকের বিবরণীতে পাওয়া যায়, মান্নার বিরুদ্ধে ৮ জন নারী ‘অশোভন’ এবং ‘অশ্লীল’ আচরণের অভিযোগে বাসদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তাঁদের অধিকাংশই এখন দেশের বাইরে। এমনকি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আ. ফ. ম. মাহাবুবুল হকের স্ত্রীও এখন ফ্রান্সে বসবাস করেন। এদের একজন সামাজিক যোগাযোগে সরব হয়েছেন। বলেছেন, ‘ভাগ্যিস সে যুগে ‘ হ্যাশট্যাগ মিটু’ ক্যাম্পেইন ছিল না, থাকলে আমাদের মান্না ভাইয়ের কি হতো?’ তিনি বলেছেন, ‘আজ মান্না ভাই গণতন্ত্রের ছবক দিচ্ছেন। সুন্দর কথা বলছেন। কিন্তু একজন যৌন নিপীড়কের কি দেশ-রাষ্ট্র নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার আছে? ভারতেও এখন মি টু নিয়ে হৈ চৈ চলছে, যৌন হয়রানির অভিযোগে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর এরই মধ্যে পদত্যাগ করেছেন। বাংলাদেশেও আসুন না আমরা মান্না ভাইয়ের মতো ভণ্ডদের মুখোশ উন্মোচন করে দেই।’
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।