নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ এএম, ১৯ অক্টোবর, ২০১৮
[ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মহা সমারোহে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু এই বিএনপি এবং জিয়াউর রহমান সম্পর্কে তাঁর যে ধারণা বা মনোভাব তাঁরই গ্রন্থ ‘আমার জীবন আমার স্বাধীনতা’ থেকেই প্রতীয়মান হয়। তাঁর সেই গ্রন্থের বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যগুলো যদি সত্যি হয়, তাহলে তাঁর আজকের এই অবস্থান হবে রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় ডিগবাজিগুলোর মধ্যে একটা।]
মইনুল হোসেন রচিত `আমার জীবন আমার স্বাধীনতা’ বইয়ের ১৩৫ থেকে ১৩৬ পৃষ্ঠায় তাঁরই কিছু কথা এখানে তুলে ধরা হলো:
‘দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করার পূর্ব ঘোষণা থেকে জেনারেল জিয়া সরে গেলেন। জনাব আতাউর খান, জেনারেল ওসমানী ও অন্যান্যরা মিলে প্রতিবাদ করতে যে যুক্ত বিবতি দেন তাতে আমার ভূমিকা ছিল। বস্তুত এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই আমি সরকারের জন্য সমস্যা হলাম। প্রেসিডেন্ট জিয়া আমাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার করে তিন মাসের মতো জেলে রেখেছিলেন। গ্রেফতার সম্পর্কে বিচারপতি সায়েম আমাকে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ওরা তোমাকে সন্দেহ করছেন। আমার ব্যাপারে তার দুশ্চিন্তা ছিল বলেই তিনি বঙ্গভবনের বারান্দায় হাঁটতে হাঁটতে আমাকে সাবধানে থাকতে বললেন। আমি বললাম, আমি তো কারও বিরুদ্ধে গোপনে কিছু করছি না। মায়ার ব্যাপারে সন্দেহ করার মতো কিছু তো থাকতে পারে না। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হোক আমি তো তাই চাচ্ছি।
সামরিক শাসন বলবৎ রেখে নির্বাচনের বিপক্ষে তো অন্যেরাও বলছেন, আমিও বলছি। সামরিক শাসন উঠিয়ে নির্বাচন দিলেও জেনারেল জিয়া সে নির্বাচনে বিপুল ভোটেই জয়ী হবেন, সে সম্পর্কে আমার কোনো সন্দেহ ছিল না। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাকে সরালে সরকারই টিকবে না। নির্বাচনে জয়লাভ করার মতো বড়মাপের নেতৃত্ব আওয়ামী লীগে ছিল না। আমরা চেয়েছিলাম নির্বাচন সবদিক দিয়ে স্বচ্ছ এবং সবার কাছে গ্রহণীয় হোক।
জেনারেল জিয়া আমাকে তিন মাস ঢাকা জেলে আটক রাখলেন। সাথে ছিলেন খন্দকার মোশতাক, কেএম ওবায়দুর রহমান। প্রথম রাতে আমাদের মেঝেতে ঘুমাতে হলো। আবদ্ধ থাকার কষ্ট যা হবার তা হচ্ছিল। কিন্তু বাইরে থেকে সাজু আমাদের জন্য টিনজাত খাদ্য ও স্যুপ ইত্যাদি পাঠালো। জেল কর্তৃপক্ষ খুব সদয় ছিলেন। কোনোরূপ বাধা দেয়নি। বেশি বিরক্ত করেছি জেলের লাইব্রেরিয়ানকে। বই পড়ে সময় কাটানো ছাড়া আমার অন্য কোনো পথ ছিল না। আমি তাস খেলতে পারি না। তিনি মাস পরে ছাড়া পেলাম।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
বিস্তারিত আসছে....
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।