নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২০ অক্টোবর, ২০১৮
ওমরাহ পালনসহ চারদিনের সৌদি আরব সফর শেষে গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতের পর দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে ফিরেই ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রধানমন্ত্রী। আর আগামীকাল রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেই প্রধানমন্ত্রী বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন বলে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানাচ্ছে। শুধু আগামীকালই নয় তফসিল ঘোষণার আগের সময়কালের মধ্যে চলতি সপ্তাহকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এই সপ্তাহেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ও সিদ্ধান্ত আসতে পারে। আর এই পরিবর্তনগুলো নির্বাচনকে সামনে রেখেই। অন্তত পাঁচটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ও সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
১. চলতি সপ্তাহের মধ্যেই প্রশাসনে ব্যাপক রদবদলের ঘোষণা আসতে পারে। তফসিল ঘোষণার আগেই প্রশাসনে এই রদবদল হবে। নির্বাচনের সময় যে মন্ত্রণালয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ সেই মন্ত্রণালয়গুলোর সচিব পর্যায়ে বড় ধরনের রদবদলের আভাস পাওয়া গেছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমের চাকরির মেয়াদ চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হতে চলেছে। তাই এই সময়ের মধ্যে সেখানে কাউকে নিয়োগ নির্বাচনী বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে। এ কারণে চলতি সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে স্থানীয় সরকার সচিব জাফর আহমেদ খানের নিয়োগ মোটামুটি নিশ্চিত বলেই একটি সূত্র আভাস দিয়েছে। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলাসহ নানা বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চলতি সপ্তাহেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ সুরক্ষা সেবা ও জননিরাপত্তা- দুটোতেই বড় ধরনের রদবদলের আভাস পাওয়া গেছে। । এছাড়া আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে রদবদলের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন যদি তফসিল ঘোষণা করে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে, তাহলে তফসিল ঘোষণা হতে পারে ১ নভেম্বর অথবা ৪ নভেম্বর। তখন প্রশাসনের সব রদবদলই বন্ধ হয়ে যাবে। তাই প্রশাসনের সব রদবদলই চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্রগুলো বলছে, শুধু প্রশাসনের উচ্চপদেই নয়, ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় কমিশনার পদেও রদবদল হতে পারে।
২. আগামীকাল রোববার দশম জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশন বসছে। সংসদ রেখেই নির্বাচন করা হলে, সেক্ষেত্রে করণীয়, নির্বাচনকালীন সময়ে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা কী হবে তা নিয়েও জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। এই সময়ে সংসদের কার্যক্রম, স্পিকারের ভূমিকা ইত্যাদি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। সংসদের এই অধিবেশন খুব সংক্ষেপ হলেও অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ আইন পাশ হতে পারে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। আগামীকাল সকালেই সংসদের কার্যপ্রণালী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীও অংশ নেবেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
৩. চলতি সপ্তাহের মধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দেবেন। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের এমপিদের নিয়ে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক হবে সংসদীয় কমিটিরও। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটি, উপদেষ্টা কমিটি, কার্যনির্বাহী কমিটি, সভাপতিমণ্ডলী, মনোনয়ন কমিটিসহ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণী কমিটিগুলোর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকগুলোতে আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনের কৌশল, প্রার্থিতা এবং দলের নির্বাচনী ইশতেহার চূড়ান্ত করবে বলে ধারণা পাওয়া গেছে।
৪. চলতি সপ্তাহের আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ১৪ দলগত ভাবে কাকে কত আসন দেওয়া হবে, কোন আসনে কী অবস্থা, কে কোন আসনে নির্বাচন করবে ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হবে। এই আলোচনা ১৪ দলের মধ্যে হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আলোচনায় নিজেকে যুক্ত করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আসন ভাগাভাগি নিয়ে যেন কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয় সেজন্যই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ১৪ দলের প্রধান নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসবেন। তাই রাজনৈতিক ভাবে এই সময়টা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার শরিক ও সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়।
৫. চলতি সপ্তাহের মধ্যেই মন্ত্রিসভার একটি পরিবর্তন হবে। মন্ত্রিসভা কতটুকু ছোট হবে, কতটুকু বড় হবে তারচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সেখানে কিছু নতুন মুখ আসতে পারে। মন্ত্রিসভা হবে নির্বাচনকালীন সরকারের আদলে, যেখানে আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্যান্য দলের অন্তর্ভুক্তি হতে পারে। বর্তমান মন্ত্রিসভারও অবয়বের একটি পরিবর্তন আসতে পারে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী নিজে।
কর্মসূচির নিরিখে এটা বোঝাই যাচ্ছে, চলতি সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করবেন। আর এই সপ্তাহের ওপর ভিত্তি করেই চলবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী সরকার গঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সময়।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
বিস্তারিত আসছে....
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।