নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৪ নভেম্বর, ২০১৮
বিভিন্ন ইস্যুতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে এর প্রধান শরিক বিএনপির দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এই দ্বন্দ্বের জের হিসেবেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাল ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্রের দায়িত্ব নিজেই তুলে নেন। বিএনপি ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ তুলেছেন। এগুলো হলো:
১. ড. কামাল হোসেন কথায় কথায় বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা বলেন। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের প্রধান দল হলো বিএনপি। প্রকাশ্য জনসভায় এ ধরনের মন্তব্যে দলের নেতা-কর্মীরা বিব্রত হন।
২. ড. কামাল হোসেন একবারও বিএনপির ভাষায় ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম উচ্চারণ করেন নি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দুই নেতাকেই সম্মান দেখানোর পক্ষে।
৩. বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে ড. কামাল নিঃস্পৃহ। আজ পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠকে তিনি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গটি উত্থাপনই করেননি। এমনকি ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকেও তিনি এনিয়ে আলোচনায় অনাগ্রহী।
৪. ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের হয়রানি, গ্রেপ্তার এবং মামলা নিয়েও ড. কামাল হোসেন উদ্বিগ্ন নন। এ নিয়ে আইনি পরামর্শ তো নয়ই, বক্তৃতা বিবৃতিতেও উৎসাহী নন ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন গ্রেপ্তার হবার পর কোনো বিবৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানান ড. কামাল হোসেন। ডা. জাফরুল্লাহ’র ওপর সাম্প্রতিক মামলা এবং গণস্বাস্থ্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থার ব্যাপারেও কোনো প্রতিবাদ জানাননি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক।
৫. জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে তিনি ‘স্বৈরাচারী’ কায়দায় নেতৃত্ব দিতে চান। অন্যের মতামতের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল নন। ভিন্নমত গ্রহণের কোনো মানসিকতা নেই। মতপার্থক্য হলেই রেগে যান।
প্রথম দফা সংলাপের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নিজেদের বৈঠকে ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো উত্থাপন করেন। বিভিন্ন সূত্রের খবরে জানা গেছে যে মির্জা ফখরুল ড. কামাল হোসেনেকে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে আগ্রহী ছিলেন, তিনিই এখন ড. কামালের সমালোচনায় মুখর। গতকালের বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব ড. কামাল হোসেনকে বলেন, ‘আপনি কারও মতামত না নিয়ে কথা বলেন কীভাবে?’ ড. কামাল হোসেন জানতে চান, কখন? উত্তরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংলাপ থেকে বেরিয়ে আপনি কীভাবে বললেন, ‘আলোচনা ভালো হয়েছে।’ কালকেও আপনি বললেন, ‘সংলাপের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।’ এ পর্যায়ে ড. কামাল হোসেন ক্ষেপে যান। তিনি বলেন, ‘তাহলে আপনারা আমাকে বাদ দেন।’ এরপর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, এখন থেকে ফ্রন্টের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিএনপি মহাসচিব।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।