নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৫ নভেম্বর, ২০১৮
নির্বাচনকালীন সরকারে সংসদের বাইরে থেকে ৪ জন মন্ত্রী রাখার প্রস্তাব দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। ৭ নভেম্বর জাতির উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দেওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে শেখ হাসিনার। ঐদিন সকাল ১১টায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠক হওয়ার কথা আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, ঐ বৈঠকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে সর্বোচ্চ দুজনকে নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রী হওয়ার আমন্ত্রণ জানাতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রথম বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী এরকম ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, আসুন সবাই মিলে একটি সুষ্ঠু এবং সুন্দর নির্বাচন করি। এর আগে ২০১৩ সালেও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সময় একটি ‘জাতীয় সরকার’ এর প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট রাজি হলে নির্বাচনকালীন সময়ে সংসদের বাইরে থাকা দলগুলোর মধ্যে ৪জনকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া হতে পারে। এর মধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে দুজন, বিকল্পধারার নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট থেকে একজন এবং বামমোর্চা থেকে একজনকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হবে। বিকল্পধারার নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনকালীন সরকারে যুক্ত হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সেক্ষেত্রে মাহী বি. চৌধুরীর নাম হয়তো মন্ত্রী হিসেবে প্রস্তাব করা হতে পারে। তবে বামমোর্চা মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে এখন পর্যন্ত আগ্রহী নয়। কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, ‘আমরা একটা অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। আমরা হালুয়া রুটির ভাগ চাই না।’ তবে আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, ‘অন্যরা মন্ত্রিসভায় এলে বামরাও আসবে।’
সরকারের সূত্রগুলো বলছে, ‘নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের শেষ অবস্থান হলো, তফসিল ঘোষণার আগে থেকে নির্বাচন পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় সংসদের বাইরের প্রধান প্রধান দল জোটগুলোর অন্তর্ভুক্তি। আগামী ৭ নভেম্বরের বৈঠকে ড. কামাল হোসেনকে মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে। একাধিক সূত্র বলছে, ড. কামাল হোসেন হয়তো এই পর্যায়ে মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে রাজি হবেন না। এক্ষেত্রে আ. স. ম আবদুর রব এবং বিএনপি থেকে একজনকে মন্ত্রিসভায় চাইবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলবেন, ‘আপনারা সকলে সরকারে থাকুন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করুন। সরকারে থাকলেই তো বুঝবেন নির্বাচনে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করছে কিনা। আপনারা সরকারে থাকলে তো নির্বাচন কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
একাধিক সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগে উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী প্রধানমন্ত্রীর এই অভিপ্রায় নিয়ে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরাও এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন। যদিও প্রকাশ্যে বিএনপি এই প্রস্তাবের ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব দেখালেও, ভেতরে তাদের একটি বড় অংশই এই প্রস্তাবে রাজি। এ রকম মন্ত্রিসভায় থাকলে অনেক কিছুই করা সম্ভব মনে করছেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।