নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ০৯ নভেম্বর, ২০১৮
বেগম খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বিএনপি ৭ ধারা বিলোপ করে নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি হাইকোর্টের আদেশে বিএনপির যে সংসদীয় গঠনতন্ত্র তা গ্রহণ না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। ফলে বিএনপিতে এখন বেগম খালেদা জিয়া চেয়ারপারসন এবং তারেক জিয়া ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে বিএনপিতে এখন ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ করবে কে?
কারণ নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী, দলের প্রতীক বরাদ্দের ক্ষমতা থাকবে চেয়ারপারসনের কাছে। অথবা দলের চেয়ারপারসন যদি অন্য কাউকে অনুমোদন করেন। তাহলে তিনি চেয়ারপারসনের পক্ষে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া প্রতীক বরাদ্দের জন্য তৎকালীন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে লিখিতভাবে দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন। কিন্তু এবার যেহেতু দলের চেয়ারপারসন এবং ভাইস চেয়ারম্যান নেই। সে কারণে নির্বাচনে যাওয়ার আগে বিএনপিকে অবশ্যই একজন নেতা নির্বাচন করতে হবে। নেতা নির্বাচন না করলে বিএনপি প্রতীক বরাদ্দের অধিকার হারাবে এবং ধানের শীষ প্রতীকও পাবে না। এ বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির মিটিং অনুষ্ঠিত হবে বলে সূত্রগুলো জানাচ্ছে।
এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘যেহেতু বেগম খালেদা জিয়া এখন কারাগারে ও তারেক রহমান দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। সেহেতু দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই এখন দল পরিচালনা করছেন। দলের আনুষ্ঠানিক নেতা। তাই তার স্বাক্ষরেই হবে। নির্বাচন কমিশনের যদি কোন দূরভিসন্ধি থাকে। তাহলে তারা প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে ঝামেলা করতে পারে। এটা যদি করে তাহলে সেটা হবে নির্বাচন কমিশনের অনেকগুলো নমুনার মতো আরেকটি।’
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।