নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১২ নভেম্বর, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী এবং স্পিকারের আসনে কোনো প্রার্থী না দেওয়ার প্রস্তাব করবেন ড. কামাল হোসেন। এছাড়াও সুশাসন, সুস্থ গণতান্ত্রিক চর্চা এবং জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার জন্য গণফোরামের পক্ষ থেকে ১১ দফা প্রস্তাব নির্বাচনী ইশতেহারে থাকবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে এই প্রস্তাবগুলো তাদের ইশতেহারে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা হবে বলে জানিয়েছেন গণফোরাম নেতারা। এই ১১ দফা প্রস্তাবই হবে গণফোরামের নির্বাচনী ইশতেহারের মূল বক্তব্য। এই ১১ দফা প্রস্তাবে যা বলা হয়েছে সেগুলো হলো:
১. বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী এবং স্পিকারের আসনে কোনো রাজনৈতিক দল প্রার্থী দেবে না। তাঁরা সর্বসম্মতভাবে নির্বাচিত হবেন।
২. প্রধানমন্ত্রী পরপর দুবারের বেশি দায়িত্বে থাকতে পারবেন না।
৩. প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে দলীয় পদ ছাড়বেন।
৪. রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা হবে।
৫. প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের দায়িত্বগ্রহণের পরপরই প্রকাশ্যে সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করতে হবে।
৬. সংসদে যারাই বিরোধীদলে থাকবে, তারা ছায়া-মন্ত্রিসভা গঠন করবে। মন্ত্রী এবং ছায়া-মন্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত আলাপ-আলোচনার রীতি চালু করতে হবে।
৭. সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করতে হবে।
৮. প্রয়াত রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার, কুৎসা প্রচারণা বাতিল করতে হবে।
৯. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব বিতর্কিত আইন বাতিল করতে হবে।
১০. প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। বিরোধী পক্ষের ওপর যেকোনো নিপীড়ন ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
১১. সংবিধানের ৭৭ অনুচ্ছেদের আলোকে ন্যায়পাল নিয়োগ করা হবে।
গণফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, এছাড়াও তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে কালো টাকার দৌরাত্ম্য বন্ধ, ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম বন্ধ, বৈষম্য মুক্ত অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি বন্ধে সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা থাকবে। তিনি বলেন, ‘গণফোরাম চায়, তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের মূল বিষয়গুলো নিয়ে ঐক্যফ্রন্টে আলোচনা করতে। অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে আমরা একটা অভিন্ন নির্বাচনী ঘোষণা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, ‘বিএনপি থেকে আমরা আলাদা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবো। আবার ঐক্য ফ্রন্টের পক্ষ থেকেও আমরা নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ঘোষণা করবো।’ তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য যা করা দরকার, তাঁর সবকিছুই আমাদের করতে হবে।’
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।