নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৮ পিএম, ১৭ নভেম্বর, ২০১৮
আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। কিন্তু পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ছেড়ে নতুন একটি দল প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। বিপুল জনপ্রিয় থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেননি তিনি। একদিকে তিনি আওয়ামী লীগের কট্টর সমালোচক ছিলেন, অন্যদিকে প্রয়োজনে আওয়ামী লীগের পাশেও ছিলেন তিনি। একদিকে তিনি ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিবিদ ছিলেন, আবার কখনো কখনো ধর্মচর্চাকে রাজনীতির সঙ্গে মিলিয়ে ফেলতেন।
রাজনীতির মূল অংশই হচ্ছে জনগণ। আর সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সম্পৃক্ততা ছিল অনেক। শোষণ ও বঞ্চনাহীন এবং প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে আজীবন সংগ্রাম করেছেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বের ভিত্তি ছিল সমাজের খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ, কৃষক-শ্রমিক-সাধারণ জনগণ। কৃষক-শ্রমিক ও সাধারণ জনগণের অধিকার তেভাগা ও ‘লাঙ্গল যার জমি তার’ আন্দোলন, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি এবং বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নির্ভীক অবস্থানের কারণে তিনি মজলুম জননেতা হিসেবে আখ্যা পান। কিন্তু তাঁর রাজনীতির এই ধারা তাঁর রাজনৈতিক উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বিস্তৃত হয়নি। এদের মধ্যে অধিকাংশই বিভ্রান্ত হয়ে পথহারা রাজনীতির চর্চা করছে। তারা অনেকেই উগ্র বাম, বিএনপি, অনেকেই আবার দক্ষিণপন্থী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। কেউ কেউ আবার যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সঙ্গেও।
মওলানা ভাসানীর উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন মওলানা ভাসানী। বঙ্গবন্ধুও তাঁকে পিতার মতো শ্রদ্ধা করতেন। ঐ সমসাময়িক সময়ে জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ছিল তাঁর। ভুল রাজনীতির দর্শন যে মানুষকে ভবিষ্যৎ অমরত্ব থেকে বঞ্চিত করে তার নিদর্শনই হচ্ছেন ভাসানী। এত জনপ্রিয়তা থাকার সত্ত্বেও আজ তাঁর মতাদর্শের রাজনীতির চর্চা অদৃশ্যমান। এজন্যই হয়তো আজ এই মজলুম জননেতার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী হওয়া শর্তেও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের কর্মসূচি একেবারেই কম।
রাজনীতিতে শুধুমাত্র জনগণের হাততালিই যথেষ্ট নয়, পাশাপাশি সঠিক আদর্শও জরুরি। আমৃত্যু সেই আদর্শকে লালন করতে হয়। সেই সঙ্গে রেখে জেতে হয় সঠিক উত্তরাধিকার। যদি কোনো রাজনীতিবিদ এটাতে ব্যর্থ হয়, তবে কালের অতল গর্ভে হারিয়ে যাবেন তিনি, এটাই স্বাভাবিক।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
বিস্তারিত আসছে....
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।