নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১০ পিএম, ১৭ নভেম্বর, ২০১৮
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি বিএনপি। তবে এবারের আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিএনপি অনেক নাটক, নানা তালবাহানা এবং অজুহাতের পর অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন দুটি জোট নিয়ে তাঁরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আগামীকাল থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে। তবে বিএনপির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে বিএনপির কে কোথায় মনোনয়ন পাবেন, তা ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শুধুই আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি এবারের নির্বাচনে যে কোনো মূল্যে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে চায়। কারণ বিএনপি এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন দুই জোট মনে করছে , দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারলে, তাহলে তাঁদের পক্ষে সংবিধান সংশোধনসহ আরও অন্যান্য যে কাজগুলো তাঁরা করতে চায়, সে কাজগুলো করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হবে না।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র মনে করছে, এবারের নির্বাচনের কৌশল হিসেবে বিএনপি তাঁর দুই জোটের শরিকদের জন্য ১০০টি আসন ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এরমধ্যে ২০ দলীয় জোটের জন্য বিএনপি ৪০ থেকে ৫০টি আসন এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জন্য ৫০ টি আসন দেওয়া হবে বলে বিভিন্ন সূত্রে আভাস পাওয়া গেছে। তবে বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য যিনি বিএনপির নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত তিনি বলেছেন, ‘শরিকদের জন্য বিএনপি সর্বোচ্চ ৬০ টি আসন হয়তো ছেড়ে দেওয়া হবে।’ তবে বিএনপির অন্যে একজন নেতা বলেছেন, ‘এবার আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। শরিকদের মধ্যে যে কোনো ধরণের মতবিরোধ না হয় সে জন্য আমরা শরিকদের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন ছেড়ে দিব।’
শরিকদের জন্য বিএনপি বেশি সংখ্যক আসন ছেড়ে দেওয়ার আরও একটি অন্যতম প্রধান কারণ হলো বিএনপির সম্ভাব্য অনেক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। বিএনপির অনেক নেতা এখন কারাগারে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির অনেক নেতা বিভিন্ন মামলায় পলাতক রয়েছেন, অনেক নেতা আবার নানা মামলায় জর্জরিত। এসব কারণে বিএনপির অনেক নেতা অংশগ্রহণের অযোগ্য হয়ে পড়েছেন। তারা নির্বাচনে খুব বেশি সুবিধা করতে পারবে না। এ কারণে বিএনপি চাইছে শরিকদের মধ্যে যারা মামলা ও নির্বাচনের অযোগ্যতা এড়িয়ে যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন, তাঁদেরকেই ধানের শীষ প্রতীক দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাতে। বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘যেহেতু শরিকদের সবাই ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন, তাই কে কত আসন পেল, সেটা কোনো বিষয় না। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ধানের শীষ মানেই হলো বিএনপি। যেখানে যাকে বিজয়ী করা যায় সেই অনুযায়ী আমরা ধানের শীষের প্রার্থী চূড়ান্ত করবো।’
বিএনপি তাঁর মনোনয়ন কৌশলে যে আসনগুলো তারা কখনোই পাবে না এমন ৫০ থেকে ৫৫টি আসন চিহ্নিত করেছে। এই আসনগুলো হলো রংপুরের অঞ্চলের ৬ টি আসন, বৃহত্তর রংপুরের ১২ টি আসন তাঁদের পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই বিএনপি বিবেচনা করছে। গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, বাগেরহাট এবং নড়াইল এই অঞ্চলগুলোতে বিএনপি অনেক দুর্বল। এইসব অঞ্চলে বিএনপির জয়ের সম্ভাবনা অনেক কম বলেই বিএনপি মনে করছে। এই ৩০ থেকে ৩২ টি আসন বাদ রেখে বাকি আসনগুলোতে বিএনপি মনযোগী হচ্ছে।
বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, যে আসনগুলো তাঁরা পাবেন না। যেমন গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, বাগেরহাট এবং নড়াইল এই আসনগুলোতে তাঁরা খুব বেশি গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাবেন না। এইসব আসনে প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁরা খুব বেশি গুরুত্ব প্রদান করবে না। বরং এই অঞ্চলের প্রার্থীদের উপরেই ছেড়ে দেওয়া হবে, তাঁরা যদি কোনও কিছু করে জয়ী হয়ে আসতে পারে, সেটা তাঁদের বিষয়। বৃহত্তর রংপুরে বিএনপির অবস্থান হলো তৃতীয়। এখানে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে। এই আসনগুলোতে বিএনপি তাঁর অন্য শরিকদের মধ্যে বিলি করতে চায়, যেমন জামায়াত বা ঐক্যফ্রন্টের অন্য যারা আছে তাঁদেরকে রংপুরের আসনগুলো দেওয়ার কৌশল গ্রহণ করেছে বিএনপি।
বিএনপির সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে যে, ৩২ টা থেকে ৪০ টা আসনে তাঁদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনও সম্ভাবনা নেই। এই আসনগুলো বিএনপি শরিকদের দিয়ে দিতে চায়। যে আসনগুলোতে তাঁদের জয়ের সম্ভাবনা বেশি আছে যেমন, বগুড়া, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীর আসনগুলো তাঁরা ঐক্যফ্রন্ট বা ২০ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে কমই দিতে চায়।
বিএনপির মনোনয়নের দ্বিতীয় কৌশল হলো, শহরাঞ্চলের আসনগুলোতে বেশি প্রধান দিতে চান তাঁরা। যেমন ঢাকা মহানগরী, চট্টগ্রাম মহানগরী, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল এইসব অঞ্চলে তাঁরা নির্বাচনের জোরালো প্রচারণা চালাতে চান। বিএনপির নেতৃত্ববৃন্দ মনে করছেন শহরাঞ্চলে যদি জোয়ার তোলা যায়, তাহলে গ্রামাঞ্চলের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও নির্বাচনে ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে বিএনপি এবং তাদের জোটের জন্য। তবে এই নির্বাচনে বিএনপি মনে করছে, তাঁদের জন্য সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হচ্ছে, এই নির্বাচনে তারা ড. কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকিসহ ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্যদের অভিন্ন প্রতীক ধানের শীষ দিতে পেরেছে। এবারের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লারও নিবন্ধন নাই নির্বাচন করার। তাই জামাতকেও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে হবে। তাই বিএনপি এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন দুই জোট একটি অভিন্ন প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে। বিএনপি মনে করছে তাঁরা যদি শহরাঞ্চলে ভালো ফলাফল করতে পারে, তাহলে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে তারা চমকে দেওয়ার মত অপ্রত্যাশিত ফলাফল করবে।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
দীর্ঘদিন ধরে চলছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সরকারবিরোধী আন্দোলন। এই আন্দোলনকে ঘিরে নানা কারণে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। এদের মধ্যে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতারাও রয়েছেন। বহিষ্কার হওয়া এসব নেতারা এবার ভুল স্বীকার করে দলে ফিরতে চান।
এরই মধ্যে ক্ষমা চেয়ে অন্তত তিনশজন আবেদন করেছে দলীয় হাই কমান্ডের কাছে। আবেদনের পর এখন পর্যন্ত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে মাত্র ২০ জনের। বাকিদের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্তে অনড় হাইকমান্ড।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্ষমা না পেয়ে কেউ কেউ একাধিকবার আবেদনও করেছেন। ঘুরছেন বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কাছে।
তবে কোনো সংকেত না মিললেও বিএনপির কর্মসূচিতে বহিষ্কৃত ও অব্যাহতি পাওয়া নেতাদের অনেকেই অংশ নিচ্ছেন।
ক্ষমা না করার কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, বেশ কয়েকজন একাধিকবার আবেদন করলেও স্থানীয় গ্রুপিং-দ্বন্দ্বের কারণে দলে ফেরানোর সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। আবার ঢালাওভাবে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করলে দলে চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়তে পারে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বহিষ্কৃত নেতাদের আবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে।
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের ১৪ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি। এর মধ্যে দুজন ছাড়া কেউ বিজয়ী হতে পারেননি। ফলে বাকিদের কেউ কেউ বিএনপিতে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ছাড়া ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত বহিষ্কার করা হয়েছে ২০৪ নেতাকে।
মন্তব্য করুন
প্রায় ১০ হাজারের বেশি অবৈধভাবে বসবাস করা বাঙালিকে যুক্তরাজ্য ফেরত পাঠিয়েছে। তাদের সেখানে থাকার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের দৈনিক টেলিগ্রাফ এবং স্ট্যান্ডার্ডের খবরে বলা হয়েছে, ১১ হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী, ভ্রমণ কিংবা অন্য কোন কাজের পেশায় যুক্তরাজ্যে যান। সেখানে তারা বসবাসের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। বাকি ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। আবেদন খারিজ হওয়া এসব বাংলাদেশীকে এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন’ চুক্তির আওতায় এসব বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানানো গেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ‘ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন’ চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এই চুক্তি অনুযায়ী যারা যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে বসবাস করবেন তাদেরকে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, তারেককে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার কৌশল হিসেবেই যুক্তরাজ্যের সাথে ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। এই চুক্তির আওতায় শুধুমাত্র অবৈধ ব্যক্তিদেরকেই দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে না, বাংলাদেশে দন্ডিত, অপরাধী এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদেশে বসে অপপ্রচারকারীদেরও ফিরিয়ে নানার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই চুক্তিতে বলা হয়েছে, যারা বাংলাদেশে অপরাধ করে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যাবে তাদেরকে যুক্তরাজ্য ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করবে এবং তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল করার জন্য প্রক্রিয়া করবে। সেই বিবেচনায় তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের একটি অন্যতম রাজনৈতিক কৌশল হল, তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে দন্ড কার্যকর করা। ইতোমধ্যে তারেক জিয়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেননি এবং আপিল করার সময়সীমাও পেরিয়ে গেছে। এছাড়াও অর্থপাচারের একটি মামলায় হাইকোর্ট তাকে ৭ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করেছেন। তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ সরকার নানা রকম দেন দরবার করে আসছেন। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে তারেক জিয়াকে দেশে আনা সম্ভব হয়নি।
তারেক এখন যুক্তরাজ্যে আছে রাজনৈতিক আশ্রয়ে এবং রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করা ব্যক্তিকে যে সমস্ত শর্ত এবং নিয়ম মানতে হয় তা মানছেন না বলেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একাধিকবার অধিকার করা হয়েছে। যেমন- লন্ডনে বসে তারেক বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্র এবং সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম বিষেদাগার করছেন, সরকার পতনের জন্য ষড়যন্ত্র করছেন।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর অন্তত ৩টি সফরে তারেক জিয়া লন্ডনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন এবং তার নির্দেশে সেখানে সহিংস ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। বাংলাদেশ দূতাবাসেও তারেক জিয়ার নির্দেশে হামলা করা হয়েছিল এবং এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ বলে বাংলাদেশ সরকার মনে করে। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতাবাস তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনার জন্য কয়েক দফা আবেদন করেছে এবং কূটনৈতিকরা মনে করছেন, তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনার স্বার্থেই ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।
তবে কোন কোন মহল বলছে, তারেক জিয়ার বিষয়টি স্পর্শকাতর। তাকে যেহেতু যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হয়েছে এবং তারেক জিয়া সেই রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের আবেদন সংক্রান্ত চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে, বাংলাদেশে এলে তার জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে সেকারণেই তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে পাঠানোর বিষয়টি এত দ্রুত নাও হতে পারে। তবে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এ ব্যাপারে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখবে বলেই জানা গেছে।
তারেক জিয়া বিএনপি যুক্তরাজ্য ফাস্ট ট্র্যাক চুক্তি
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দীর্ঘদিন ধরে চলছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সরকারবিরোধী আন্দোলন। এই আন্দোলনকে ঘিরে নানা কারণে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। এদের মধ্যে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতারাও রয়েছেন। বহিষ্কার হওয়া এসব নেতারা এবার ভুল স্বীকার করে দলে ফিরতে চান।
প্রায় ১০ হাজারের বেশি অবৈধভাবে বসবাস করা বাঙালিকে যুক্তরাজ্য ফেরত পাঠিয়েছে। তাদের সেখানে থাকার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের দৈনিক টেলিগ্রাফ এবং স্ট্যান্ডার্ডের খবরে বলা হয়েছে, ১১ হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী, ভ্রমণ কিংবা অন্য কোন কাজের পেশায় যুক্তরাজ্যে যান। সেখানে তারা বসবাসের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। বাকি ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। আবেদন খারিজ হওয়া এসব বাংলাদেশীকে এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন’ চুক্তির আওতায় এসব বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানানো গেছে।
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।