ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের উদ্বেগের ৫ কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ২০ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই নির্বাচনের কিছু বিষয় নিয়ে উদ্বেগ ও সংশয় দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগে। ঘর পোঁড়া গরু যেমন সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায় ঠিক তেমনি আওয়ামী লীগ সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় বিগত ’৯১ ও ’৯৬ এর মতো পরিস্থিতির আশঙ্কা করছে। এমন পরিস্থিতির যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য এখন থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে দলটি। আওয়ামী লীগ মনে করছে নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতিসহ অনেক প্রতিষ্ঠান উল্টে যেতে পারে। কিন্তু এমন পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা দফায় দফায় বৈঠক করছেন।

নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের উদ্বেগের বিষয় পাঁচটি। এগুলো হলো:

১. নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা:  নির্বাচন কমিশন এখন আওয়ামী লীগের জন্য অন্যতম উদ্বেগের বিষয়। সার্চ কমিটি ও সবার মতামতের ভিত্তিতে এই নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভাবে কতটা আওয়ামী লীগকে সমর্থন করবে তা নিয়ে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের মধ্যে সংশয় রয়েছে। কেননা ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনের কাছে কয়েকবার ধাক্কা খেয়েছে। গত বছর প্রধান নির্বাচন কমিশনার যখন সংলাপ শুরু করেছিলেন সেই সময় জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। এ নিয়ে  আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। এই নির্বাচন কমিশনার সেনাবাহিনী নিয়োগের বিষয়টিও সামনে এনেছিল। এছাড়াও, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনার একের পর এক যৌক্তিক বিষয় উপেক্ষা করছে। যেমন: নির্বচন কমিশনের কাছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানের নেতৃত্বে যে টিম গিয়েছিল, তারা আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য নথিপত্র দিয়ে বলেছিলেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকারে ভিডিও কনফারেন্সে তারেক জিয়ার অংশগ্রহণ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। কিন্তু, পরের দিনই ইসি জানায় যে, এ ব্যাপারে তাদের কিছুই করার নেই। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, নির্বাচন কমিশন যে আচরণ করেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। শুধু ফারুক খানই নন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও দু’বার নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন, কিন্তু নির্বাচন কমিশন তা উপেক্ষা করে। একই ভাবে নির্বাচন কমিশনের আরও কিছু আচরণ নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রশ্ন তুলেছে।

২. গণমাধ্যমের ভূমিকা: আওয়ামী লীগের পরবর্তী ভাবনার বিষয় হচ্ছে গণমাধ্যমের ভূমিকা। আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতায় ও অনুগ্রহেই যেসব গণমাধ্যম বেড়ে উঠেছে, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে তারাই এখন তথাকথিত নিরপেক্ষ হওয়ার নামেই বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে নানারকম সুবিধা দিচ্ছে। বিশেষ করে টকশোগুলো এখন সরকার বিরোধী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের একাধিক নীতি নির্ধারক বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলেছেন, কিন্তু সবগুলো চ্যানেলই ব্যবসায়িক কারণে তথাকথিত নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করেছে। এ কারণেই গণমাধ্যম আওয়ামী লীগের জন্য আরেকটি মাথাব্যথার কারণ।

৩. প্রশাসনের ভূমিকা: আওয়ামী লীগের আমলেই প্রশাসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পদোন্নতি ও সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও নির্বাচনের আগে আগেই প্রশাসনের একটি বড় অংশ তথাকথিত নিরপেক্ষ হয়ে গেছে। তারা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম ও গৃহীত পদক্ষেপগুলো এখন বন্ধ রেখেছে। এমনকি ইতিমধ্যে সরকার যেসব উন্নয়নমূলক কার্যক্রম করছে তার তথ্য, উপাত্ত ও প্রচার প্রশাসন থেকে করা হচ্ছে না। নির্বাচনের সময় এদের একটি বড় অংশ বিএনপির পক্ষে কাজ করবে বলে আওয়ামী লীগ আশঙ্কা করছে।

৪. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা: নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।  বিশেষ করে রাজধানীর বাইরে যেসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত আছেন তাদের ভূমিকা নিয়ে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। উদাহরণস্বরূপ চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিরোধী দলের বিভিন্ন মামলার তালিকাভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে ধীরে চলার নীতি গ্রহণ করছে।  সাম্প্রতিককালে নয়াপল্টনের ঘটনায় পুলিশের নীরব ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা। এজন্য, নির্বাচনের সময় এসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কতটা নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করে তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয়ে আছেন তাঁরা।

৫. বিদেশি কূটনীতিকদের ভূমিকা: বিদেশি কূটনীতিকদের ভূমিকা নিয়েও উদ্বেগে রয়েছে আওয়ামী লীগ। দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের রাজনীতির আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে গত দুই বছর ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশগুলো নানারকম চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। নির্বাচনের আগে পরপর দু’বার এমন ঘটনা ঘটেছিল। একবার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে বাংলাদেশের নির্বাচন, সুশাসন ও গণতন্ত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। যা ছিল একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত, কেননা এটি কোনো দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ। আরেকবার, মার্কিন মানবাধিকার সংস্থাতে বাংলাদেশের সুশাসন ও গণতন্ত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও বিদেশি কূটনীতিকরা ঘন ঘন বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছে। যা কূটনৈতিক নীতির পরিপন্থী।  বিদেশি কূটনীতিকদের এমন ভূমিকাও আওয়ামী লীগের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই পাঁচ বিষয়কে আওয়ামী লীগ নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় উদ্বেগের কারণ হিসেবে বিবেচনা করছে। বিগত ‘৯১ ও ২০০১’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপর্যয় ঘটেছিল এই পাঁচ কারণেই। এবার যেন আর এসব পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য এখন থেকেই কাজ করছে আওয়ামী লীগ।

বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপির লিফলেট বিতরণ: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। 

বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।

তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।                     

সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।


বিএনপি   লিফলেট   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। 

বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেছেন, দল এখন আন্দোলনে ব্যস্ত, তবে আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে সংগঠনের বিষয়টিও সম্পৃক্ত। আন্দোলন এবং সংগ্রাম একসাথেই চলবে। এই অংশ হিসেবেই আমরা দলের নেতৃত্বের পুনর্গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করছি। 

বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক জিয়া যখন বলবেন তখনই কাউন্সিল করার জন্য তাদের প্রস্তুতি আছে। তবে বিএনপির একাধিক নেতা আভাস দিয়েছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ তারা একটি সংক্ষিপ্ত কাউন্সিল করতে পারেন এবং সংক্ষিপ্ত কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব পুনর্গঠন করা হতে পারে। 

বিএনপিতে এখন নীতি নির্ধারণী সংস্থা স্থায়ী কমিটিতে পাঁচ সদস্য পদ শূন্য রয়েছে। আবার যারা স্থায়ী কমিটিতে আছেন এ রকম বেশ কয়েক জন এখন গুরুতর অসুস্থ এবং জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অনেকে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলামের মতো নেতারা এখন এতই অসুস্থ যে তারা কোন রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনের মতো অবস্থায় নেই। 

বিএনপির একজন নেতা স্বীকার করেছেন, তারা দলকে সার্ভিস দিতে পারছেন না। কিন্তু বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর বলে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, অসুস্থ অবস্থায় তাদেরকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে অমানবিক। তবে বিএনপির তরুণ নেতারা মনে করেন, এটি মোটেও অমানবিক নয়। একজন পদে থাকা ব্যক্তি যদি দায়িত্ব পালন না করতে পারেন তাহলে তাকে কোন আলঙ্কারিক পদ দিয়ে ওই শূন্যপদ পূরণ করা উচিত। বিএনপির মধ্যে একটি চাপ আছে যে, যারা মাঠের আন্দোলনে সক্রিয়, অপেক্ষাকৃত তরুণ তাদেরকে নেতৃত্বের সামনে আনা হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে তারেক জিয়া এবং বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। 

তারেক জিয়া বিএনপিতে তরুণদেরকে সামনে আনতে চান। তবে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন এ ধরনের ব্যক্তিদেরকে খালেদা জিয়া এখনই দল থেকে বাদ দিতে রাজি নন বলেই বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। এ প্রসঙ্গে বলা যায় যে, রফিকুল ইসলাম মিয়া বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বিভিন্ন সংকটে তিনি বেগম জিয়ার পাশে ছিলেন। এ কারণেই দীর্ঘদিন রোগশয্যা থাকার পরও তাকে স্থায়ী কমিটিতে রাখা হয়েছে। যদিও তারেক জিয়া তাকে স্থায়ী কমিটি থেকে সরিয়ে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে দেওয়ার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার আপত্তির কারণে তিনি সেটি করতে পারেননি। 

একইভাবে ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকারকেও স্থায়ী কমিটিতে না রাখার ব্যাপারে তারেক জিয়ার আগ্রহ আছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার অত্যন্ত আস্থাভাজন হওয়ার কারণ তারেক জিয়ার সেই চেষ্টা সফল হয়নি। আর এ কারণেই তারেক জিয়া কাউন্সিল করছেন না বলে অনেকে মনে করেন। কারণ এখন কাউন্সিল হলে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাকে সমঝোতা করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার পছন্দের অনেক ব্যক্তিকে দলের নেতৃত্ব রাখতে হবে। সেটি তারেক জিয়া চান। খালেদা জিয়ার হাত থেকে বিএনপির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিলেও এখন তারেক বিএনপিকে খালেদা জিয়ার প্রভাব মুক্ত করতে পারেনি। তাই কাউন্সিলের জন্য তার অপেক্ষা। তবে একাধিক সূত্র বলছে, দলের নেতাকর্মী মধ্যে কাউন্সিল করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য একটি বড় ধরনের চাপ আছে।


কাউন্সিল   বিএনপি   তারেক জিয়া   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বেগম খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামিনে কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

এ সময় কারাফটকে তাকে স্বাগত জানাতে শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাবিবুর রশিদ হাবিব বলেন, পুরো দেশটাকে কারাগারে পরিণত করেছে এই জালিম সরকার।

তারা শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়, দেশের জনগণের অধিকার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সবকিছুকে ধ্বংস করেছে। এই মাফিয়া আর পুতুল সরকার থেকে মুক্তি পেতে আন্দোলনের বিকল্প নাই। সেই আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান হাবিব।

উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে হাবিবুর রশীদ হাবিবকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তাকে তিন মামলায় ৬ বছর নয় মাসের সাজা দেন আদালত।

এছাড়া দুটি মামলা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও ছিলো। সব মামলায় জামিন শেষে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

হাবিবুর রশিদ হাবিব   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনের আগে ও পরে একই কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র: মঈন খান

প্রকাশ: ০৭:১৫ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র যে কথা বলেছিল, নির্বাচনের পরেও একই কথাই বলেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

শুক্রবার (১৭ মে) কারামুক্ত বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবীর বাসায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মঈন খান বলেন, সরকার যদি ভাবে মার্কিন প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে এসে কথা বলেছে আর সব সমস্যার সমাধান হয়েছে, তাহলে সরকারের ধারণা ভুল। নির্বাচনে আগে যুক্তরাষ্ট্র যে কথা বলেছিল, নির্বাচনের পরেও সেই কথা বলেছে।

তিনি বলেন, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও আটকের একমাত্র উদ্দেশ্য এ দেশের মানুষকে কথা বলতে দেবে না। মানুষকে ভিন্নমত পোষণ করতে দেওয়া হবে না। গণতন্ত্র দেওয়া হবে না। সরকার জানে সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।

এই সরকার সব অধিকার হরণ করেছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের (সরকার) কোনো ভিত্তি নেই। এদেশের ৯৭ শতাংশ জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। এ জন্য সরকার ভীতু। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

মঈন খান বলেন, সরকার এদেশের রাজনীতি অনেক আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে আর সুস্থ ধরার রাজনীতি নেই। এখন আছে পরহিংসার রাজনীতি। সংঘাতের রাজনীতি।

তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ বলে দেবে এ সরকারের পরিণতি কি হবে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্বৈরাচারী সরকারের কি পরিণতি হয়ে ছিল। এ দেশের সরকারের বেলায় যে ভিন্ন কিছু হবে এটা কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় না।

বিএনপি   ড. আব্দুল মঈন খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কেন জোট করতে চায় না বিএনপি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না। 

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে একটি বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যারা বিএনপির সঙ্গে এতদিন ছিল এবং আন্দোলন করেছে, তারা এখন নতুন করে আন্দোলনের আগে একটি লিয়াজোঁ কমিটি করতে চায়। আর আন্দোলনের লক্ষ্য এবং পথ পরিক্রমা চূড়ান্ত করতে চায়। লিয়াঁজো কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হোক, সেটিও তারা চায়। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয়নি। নানা বাস্তবতার কারণে বিএনপির জোটবদ্ধ আন্দোলন করতে চায় না। লিয়াঁজো কমিটিও করতে চায় না। 

বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার সাথে আলাপ করে দেখা গেছে, তারা যে সমস্ত শরিক দলগুলো এখন বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে আগ্রহী, তাদের সঙ্গে কোন আনুষ্ঠানিক ঐক্যে যেতে চায় না। এমনকি লিয়াঁজো কমিটির করতে চায় না। এর কারণ হিসেবে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য বলছেন, যে সমস্ত শরিক রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করতে চায়, আন্দোলনের মাধ্যমে তারা অনেকেই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরকারের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করা বা রাজনৈতিক ডিগবাজি দেওয়ার মাধ্যমে তারা আন্দোলনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। এটি শুধু এই স্থায়ী কমিটির সদস্য নয়, বিএনপি অনেকের ধারণা।

গত বছরের আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে আন্দোলন করার কারণে যারা পরিচিতি পেয়েছিল তারাই সরকারের সঙ্গে প্রকাশ্যে এবং গোপনে যোগাযোগ করেছেন। এদের মধ্যে জেনারেল ইব্রাহিমের কথা বিএনপির অনেক নেতাই বলছেন। তারা বলছেন, তিনি রাজনৈতিকভাবে একেবারে এতিম ছিলেন। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করার কারণেই তাঁর রাজনৈতিক পরিচিতি হয়েছিল। আর সেই পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে তিনি সরকারের সাথে গোপনে আঁতাত করেছেন। 

এর আগেও অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে বিকল্পধারা প্রসঙ্গটিও বিএনপির অনেক নেতা বলে থাকেন। তাছাড়া ২৮ অক্টোবরের পর আকস্মিকভাবে মাহমুদুর রহমান মান্নার নীরবতাকেও বিএনপির নেতারা সন্দেহ করছেন। 

বিএনপির কাছে এরকম তথ্য আছে যে, আন্দোলন বানচালের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনেকগুলো দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল এবং তাদেরকে নানা রকম টোপ দেওয়া হয়েছিল। ভবিষ্যতেও আন্দোলন যদি বেগবান হয় তাহলে আবার টোপ দেওয়া হবে। এই সমস্ত লোভ পরিত্যাগ করে শরিকরা কতটুকু আন্দোলনের ব্যাপারে অটল থাকতে পারবে এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। আর কারণেই বিএনপি এখন আনুষ্ঠানিক ভাবে জোটে যেতে চায় না।

বিএনপি মনে করে তারা আন্দোলন করবে। তাদের কর্মসূচির সঙ্গে যদি কেউ একমত পোষণ করে তাহলে তারা যুগপৎ আন্দোলন করবে। তবে আন্দোলন তাদের নিজেদেরই করতে হবে এমনটি মনে করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। আর এ কারণে বিএনপি কোন রকম জোট বা লিয়াঁজো কমিটির পক্ষে নয়।

বিএনপি   যুগপৎ আন্দোলন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন