নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২২ নভেম্বর, ২০১৮
জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ৩০০ আসনে। কিন্তু নির্বাচনে ভোটের ইতিহাস, এলাকাভিত্তিক জনপ্রিয়তার হিসেবে দেখা যায় যে, দেশের প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) কিছু ভোট ব্যাংক আছে। রাজনৈতিক দলগুলোর ভোট ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃত এলাকাগুলোতে যত দুর্যোগ, দুর্বিপাকই ঘটুক, নির্দিষ্ট দলটিই জয়লাভ করে। গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে চরম দু:সময়েও আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে। আবার বগুড়া, জয়পুরহাট, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে কঠিন সময়ে, সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যেও জয়ী হয়েছে বিএনপি। বাংলা ইনসাইডারের গবেষণায় দেখা গেছে, মোটামুটি ৬১ টি এলাকা তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নিশ্চিত আসন। নির্বাচনের আগে থেকেই ধারণা করা যায় এই আসনগুলোতে কোন প্রতীক জয়ী হবে- নৌকা, ধানের শীষ নাকি লাঙ্গল। আসল যুদ্ধক্ষেত্র হলো ২৩৯ টি আসন। এসব আসনেই থাকে দোদুল্যমান (সুইং) ভোটার। এসব আসনের সুইং ভোটাররা যে পক্ষে যায়, সেই পক্ষেই আসনগুলো পরিবর্তিত হয়। এ পর্যন্ত ভোটের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের ৩৩ টি আসন নির্ধারিত। এই আসনগুলোতে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হারার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বড় কোনো ধরনের বিপর্যয় না ঘটলে এই আসনগুলো সহজেই ধরে রাখতে পারবে আওয়ামী লীগ। অন্য আসনে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও এই আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের জয় সুনিশ্চিত। আসনগুলো হলো:
১. পঞ্চগড়-২
২. দিনাজপুর-১
৩. দিনাজপুর-৩
৪. দিনাজপুর-৫
৫. নীলফামারী-২
৬. রংপুর-৬
৭. সিরাজগঞ্জ-১
৮. সিরাজগঞ্জ-৪
৯. সিরাজগঞ্জ-৬
১০. মেহেরপুর-১
১১. নড়াইল-১
১২. নড়াইল-২
১৩. বাগেরহাট-১
১৪. বাগেরহাট-২
১৫. বাগেরহাট-৩
১৬. ভোলা-২
১৭. টাঙ্গাইল-১
১৮. জামালপুর-৩
১৯. ময়মনসিংহ-১
২০. কিশোরগঞ্জ-১
২১. কিশোরগঞ্জ-৪
২২. কিশোরগঞ্জ-৬
২৩. রাজবাড়ী-১
২৪. রাজবাড়ী-২
২৫. গোপালগঞ্জ-১
২৬. গোপালগঞ্জ-২
২৭. গোপালগঞ্জ-৩
২৮. মাদারীপুর-১
২৯. মাদারীপুর-২
৩০. মাদারীপুর-৩
৩১. শরীয়তপুর-১
৩২. শরীয়তপুর-২
৩৩. শরীয়তপুর- ৩
এ পর্যন্ত ভোটের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিএনপির ২২ টি আসন নির্ধারিত। এই আসনগুলোতে এবারের নির্বাচনে বিএনপির হারার সম্ভাবনা কম। বিএনপির সুনিশ্চিত এই আসনগুলো হলো:
১. ঠাকুরগাঁও-১
২. জয়পুরহাট-১
৩. জয়পুরহাট-২
৪. বগুড়া-১
৫. বগুড়া-২
৬. বগুড়া-৩
৭. বগুড়া-৪
৮. বগুড়া-৭
৯. মেহেরপুর-২
১০. ভোলা-১
১১. কুমিল্লা-২
১২. কুমিল্লা-৩
১৩. ফেনী-১
১৪. ফেনী-২
১৫. ফেনী-৩
১৬. নোয়াখালী-১
১৭. নোয়াখালী-২
১৮. নোয়াখালী-৩
১৯. লক্ষ্মীপুর-১
২০. লক্ষ্মীপুর-২
২১. লক্ষ্মীপুর-৩
২২. লক্ষ্মীপুর-৪
এছাড়া, জাপারও কিছু সুনির্দিষ্ট আসন আছে। এই আসন সংখ্যা হলো ৬টি। আসনগুলোতে জাপার জয় সুনিশ্চিতই বলা যায়। আসনগুলো হলো:
১. লালমনিরহাট-৩
২. রংপুর-১
৩. রংপুর-২
৪. রংপুর-৩
৫. কুড়িগ্রাম-১
৬. কুড়িগ্রাম-২
৩০০ আসন থেকে তিন প্রধান দলের নিশ্চিত ৬১ আসন বাদ দিলে থাকে ২৩৯ টি। এই আসনগুলোকে বলা যায় অনিশ্চিত আসন। এসব আসনে জনমত পরিবর্তন হয়। যখন যেদিকে জোয়ার থাকে সেদিকেই যায় আসনগুলো। আসলে দেশের সাধারণ ভোটারদের মনোভাবের প্রতিফলন দেখা যায় এসব আসনে।
আবার ২৩৯ এমন আসনের মধ্যে ১০৩ টি আসনে স্থানীয় ইস্যু প্রাধান্য পায়। এই আসনগুলোতে জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে স্থানীয় বিষয়ে জনমতের ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটে। স্থানীয় ইস্যু প্রাধান্য পাওয়া আসনগুলো সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রামেই বেশি। তাই স্থানীয় ইস্যুর ১০৩ টি আসন অনিশ্চিত ২৩৯ আসন থেকে বাদ দিলে থাকে ১৩৬ টি আসন। এই আসনগুলোতেই মূলত জাতীয় ইস্যু প্রাধান্য পায়।
দেখা গেছে, ঢাকা ও এর আশেপাশের অঞ্চল, চট্টগ্রাম শহর ও আশেপাশের কিছু অঞ্চল, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী অঞ্চলেই জাতীয় ইস্যু প্রাধান্য পাওয়া ১৩৬ টি আসন। জাতীয় ইস্যুর ওপর ভিত্তি করেই এই আসনগুলোতে ভোটের ওলট-পালট ঘটতে দেখা যায়। সর্বশেষ কয়েকটি নির্বাচনের তথ্য থেকে দেখা গেছে, ১৯৯১ এর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এই ১৩৬ টি আসনে বিএনপি একতরফা ভাবে জিতেছিল। ১৯৯৬’র নির্বাচনে এই এলাকাগুলো আবার আওয়ামী লীগ পুণরুদ্ধার করেছে। ২০০১ এর নির্বাচনে আবার সেখান থেকে আওয়ামী লীগের নাম-নিশানা মুছে গিয়েছিল। আবার ২০০৮ সালে বিএনপি এসব আসন থেকে পুরোপুরি উচ্ছেদ হয়।
এখন জাতীয় ইস্যুর ১৩৬ টি আসনে যারাই জয়লাভ করে তারাই আসলে নির্বাচনে জয়ী হবে। এখানেই মূলত জনমত জরিপ হয়। এই আসনগুলোই হলো নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের মূল ফ্যাক্টর।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।