নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮
সেইতো নাচলি, তবে কেন লোক হাসালি! এমন একটি লাইন হয়তো লেখার সময় এসে গেছে। ১০ বছর পিছিয়ে থাকা বিএনপি যখন কিছুতেই রাজনীতির মাঠে ফিরে আসার উপায় খুঁজে পাচ্ছিলো না, তখন অনেকটা অসহায়ের মতো জনাব রিজভী সাহেব একের পর এক বিবৃতি প্রদান করে গেছে অন্দরমহল থেকে। কার্যত এই বিবৃতি নির্ভর রাজনীতি করে বিএনপি স্বপ্ন দেখতে থাকে নিশ্চই একটি সুযোগ আসবে। কিন্তু শেষ অবধি সেটা হয়নি।
অন্যদিকে তারা ১০ টি বছর মানুষের মনে স্থান করে নিতে যে চেষ্টা চালাবে তার কোন উপায় নেই। কারণ এমন চেষ্টায় অর্থনীতি সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর। যে অর্থনীতিতে বিএনপি দাঁড়িয়ে ছিল, সেই অর্থনীতির মুল যোগানদাতা জামাত যুদ্ধাপরাধ বিচার, সাংগঠনিক বিপর্যয়, বাংলাদেশ ব্যাংকিং সেক্টরে পাকিস্তান ভিত্তিক অর্থ সহায়তা প্রায় শূন্যের কোটায়, নিবন্ধন বাতিল ইত্যাদির ফলে দিশেহারা।
ঐক্যফ্রন্টের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভায় অর্থায়নের জন্য বিএনপিকে একজন ধনকুবেরের নিকট ছুটে যেতে হয় বলেও শোনা যায়। প্রশ্ন হলো তারা আর কত দেবে? ১০ বছর ক্ষমতার বাইরে, যারা অর্থের যোগানদাতা তারা এখন মুখ ঘুরিয়ে নেবে সেটাই স্বাভাবিক। খালিপেটে কি মোমবাতি জ্বলে?
এমন একটা সময় হাতে নিয়ে, সামনে এসে দাঁড়ায় ঐক্যফ্রন্ট। আমি আমার পূর্বের লেখায় লিখেছি, ড. কামালের ঐক্যফ্রন্টের জনক তারেক রহমান।
সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্স অনেক দিক নির্দেশ করে। ড. কামাল তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্স নিয়ে নাখোশ হবার মতো মুখভঙ্গি করলেও কার্যত ড. কামাল ততোটা নাখোশ নন বলেই অনেকে বলে। কেন নাখোশ নন সেটার ব্যাখ্যা নাইবা দিলাম।
মূলত ঐক্যফ্রন্ট গঠন এবং সেই ঐক্যফ্রন্টকে সামনে নিয়ে রাজনীতির মাঠে ফিরে আসার শেষ চেষ্টা মাত্র। যদি সুশীল ইমেজের অধিকারী ড. কামালকে সামনে রেখে কোন ভাবে রাজনীতির মাঠে নিজেদের উপস্থিতি পাকা করতে পারে, সেটাই হবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মুক্তির শেষ উপায়। এর বাইরে তাদের আর কিছুই করার নেই বলেই মনে হয়। রাজনীতিকে বেগবান করতে বিকল্প পথে একটি পরীক্ষামূলক সম্প্রচার বিএনপি করার চেষ্টা করে পল্টনে, কিন্তু প্রশাসনের চৌকশ খেলায় সেই সম্প্রচার নিমিষেই বন্ধ হয়েযায়। পক্ষান্তরে সম্প্রচারের ২য় সারির কলাকুশলী এবং মাঠকর্মী প্রশাসনের হাতে ধৃত হবার ফলে এবং প্রকাশিত হবার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে যতটুকু প্রবেশ করতে পেরেছিল তারচেয়ে দ্বিগুণ বেরিয়ে এসেছে। বিএনপি গত ১০ বছরে বুঝতেই পারেনি আগুনের সন্ত্রাস আসলেই কেউ আর চায়না।
আমি অতি সাম্প্রতিক সময়ে লিখেছিলাম, ঐক্যফ্রন্ট ভাঙার পথে। কোন উপায় নেই না ভেঙে।
চারদিকে খবর বেরিয়েছে, ড. কামালের গণফোরামের অবস্থা অনেকটা এতিম খানার মতো হয়ে গেছে। গণফোরামকে যারা ধরে রেখেছিলো তারা যদি বিএনপির নিকটে খাবার না পায় তাহলে আওয়ামীলীগে যোগ দিতে একপায় দাঁড়িয়ে আছে।
খবর বেরিয়েছে, ফখরুল ইসলাম সাহেব সেনাকুঞ্জে সভায় যোগ দিয়ে তারেক রহমানের বিরাগভাজন হয়েছেন। ড. কামাল মিলাদুন্নবী পালন করতে বঙ্গভবনে ছুটছেন, অন্যদিকে মাহমুদুর রহমান মান্না তার পিছন দিক ঠেকে টেনে ধরছে।
আ. স. ম. রব, জাফরুল্লাহ সাহেব, অন্যান্যরা আপাতত এদিক ওদিক ঘাড় নাড়িয়ে বোঝার চেষ্টা করছে, কি হতে চলেছে।
এমন টানাটানির সংসার কি ভাবে চলতে পারে? আদেও কি চলা সম্ভব? যেটুকু সম্ভব হবে বলে সকলে ধারণা করেছিলো, তারেক রহমান তার দলকে চাংগা করতে এসে, ভিডিও কনফারেন্স করে, নিজের উপস্থিতি জানান দিয়ে কফিনের শেষ পেরেক পুতে দিয়েছে বলে মনে হয়।
অন্তত, কনফারেন্সের সাথে সাথেই ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের সাথে ড. কামালের তাৎক্ষণিক বৈঠক সেকথাই বলে।
এইতো আর মাত্র কয়েকদিন, ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপিকে শুধু আলাদাই দেখা যাবে না, দলছুট হয়ে দেখা যেতে পারে তাদের সেই আওয়ামীলীগ শিবিরে। অথবা নির্জনে। এমন ধারনাই সকলে করছেন। সেই ধারাবাহিকতায় বিএনপি কতটা নির্বাচনের মাঠে কৃতকার্য হবে সেটা সময় বলে দেবে।
কথায়তো আছে - রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।
লেখক: কলামিস্ট, সাধারণ সম্পাদক, দুর্জয় বাংলা সাহিত্য ও সামাজিক ফাউন্ডেশন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৮:১৫ এএম, ১৬ মে, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৮:১২ এএম, ১৬ মে, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৮:০৭ এএম, ১৬ মে, ২০২৪
মন্তব্য করুন
সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিতে বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক অভাবনীয়, অনন্য এবং যুগান্তকারী একটি মডেল। শিশু স্বাস্থ্য, মাতৃ স্বাস্থ্য এবং কিশোরীদের স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। নবজাতকের মৃত্যু, মাতৃ মৃত্যু কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অনুসরণ শুরু করেছে। গত বছর ১৭ মে কমিউনিটি ক্লিনিক ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ’ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ সারা বিশ্বের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী জনগণের জন্য ‘আলোক বর্তিকা’।
আজকে আমরা ১৭ মে নিয়ে কথা বলছি। যেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। আবার গত বছর এই দিনে তাঁর চিন্তা প্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিককে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আজকে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছি, উন্নয়নশীল বাংলাদেশের কথা বলছি, যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি, একদিন উন্নত বাংলাদেশ হব বলে স্বপ্ন দেখছি এই সবকিছু শেখ হাসিনার স্বপ্ন, শেখ হাসিনার ইনিশিয়েটিভ। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৭৮১ সালে পলাশি যুদ্ধে ইতিহাসের ঘৃণিত সেনাপতি মির্জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় নবাব সিরাজ উদ্দৌলার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ২০০ বছরের গোলামী আমাদের ললাটে এসেছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ স্বাধীন হলেও বাঙালী এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পায়নি। যার পটভূমিতে বীরদর্পে আবির্ভূত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ থেকে ৭৫’ বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে স্বাধীনতার লাল পতাকা উড়েছিল বাঙালী আশায় বুক বেধেছিল।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বিয়োগান্তের ঘটনায় জাতি ছিল দিক নির্দেশনাহীন। নারকীয় এই ঘটনায় জনগণ হয়ে পড়েন দিশেহারা। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করার কোন শক্তি সাহস ছিল না। দলের অনেক বড় বড় নেতাও ছিলেন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। ধানমন্ডির ৩২ বাড়ি ছিল কবরের নীরবতা। সমগ্র জাতি তখন অন্ধকারে। সামরিক বুটে পিষ্ঠ গণতন্ত্র। নির্বাসনে সংবিধান আর মানুষের মৌলিক অধিকার। বাক স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। এমনকি বঙ্গবন্ধু নাম উচ্চারণ ছিল নিষিদ্ধ।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের মৌলিক চরিত্রকেই বদলে ফেলা হয়। বিশেষ করে পাকিস্তানি ধারায় সামরিক শাসনের সংস্কৃতির প্রবর্তন ঘটে দেশে। সাম্প্রদায়িকতা ফিরে আসে রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরে। একের পর এক স্বপ্নভঙ্গের ঘটনা ঘটতে থাকে দেশে। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমন প্রতিকূল সময় ১৯৮১ সালের ১৭ মে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্নাত মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন বাঙালির মুক্তির মহানায়কের যোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনা।