নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০১ পিএম, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮
ব্যবসায়ীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে লন্ডন আতঙ্ক। শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়ীদের কাছে লন্ডন থেকে একটি টেলিফোন আসছে। টেলিফোনে বলা হচ্ছে, ‘আমি তারেক বলছি। আপনি কেমন আছেন?’
এরপর বলা হচ্ছে, এবারের নির্বাচন জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা জাতির অস্তিত্বের নির্বাচন। এই নির্বাচনে আপনি সহযোগিতা করুন। ব্যবসায়ীদের বলা হচ্ছে, যদি তাঁরা সহযোগিতা না করেন তাহলে ভবিষ্যতে বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসবে তখন তাদের ব্যবসার ক্ষেত্রে অনেক অসুবিধা হবে। এ নিয়ে ব্যবসায়ী মহলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অন্তত পাঁচজন ব্যবসায়ী বাংলা ইনসাইডারের কাছে স্বীকার করেছেন যে তাদের কাছে এরকম টেলিফোন এসেছে। কিন্তু তাঁরা আতঙ্কের জন্য থানা পুলিশকেও কিছু জানাতে পারছেন না।
একজন ব্যবসায়ী বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তারেক জিয়া এবং গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ ছিলাম। তখন আমরা যেকোনো ব্যবসা করতে গেলেই তাদেরকে চাঁদা দিতে হতো। এখন বিএনপি আবার নির্বাচনে এসেছে। এটা ভালো কথা। কিন্তু নির্বাচনে আসার সাথে সাথে তারেক জিয়া লন্ডন থেকে যেভাবে চাঁদা দাবি করছেন তা উদ্বেগজনক। তিনি এখনি যদি এমন করেন তাহলে ক্ষমতায় এসে কি করবেন?
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে যে, বাংলাদেশে তারেক জিয়ার একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে। এই নেটওয়ার্ক থেকে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা যেন বিএনপিকে টাকা দেয় সেজন্য তারেক জিয়া নানারকম ভয় ভীতি প্রদর্শন করছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।