নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০২ পিএম, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারাভিযান শুরু হবে। এই প্রচারাভিযানে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, সিলেটের হজরত শাহ জালাল (রাঃ) এর মাজার থেকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন। ঢাকায় ২৭ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিনি শেষ নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখবেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে দেশে কমবেশি ১৫টি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সুস্থ গণতান্ত্রিক বিতর্কের স্বার্থে সরাসরি বিতর্কেও অংশগ্রহণ করতে চান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নির্বাচনে যেমন শীর্ষ নেতারা প্রকাশ্যে তাঁদের নীতি এবং কৌশল নিয়ে বিতর্ক করেন, তেমন বিতর্ক চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এরকম বিতর্কে আগ্রহের কথা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যদের বলেছেন। এদের একজন বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মনে করেন নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে এরকম বিতর্ক হওয়া উচিৎ। যাতে ভোটাররা বুঝতে পারে কোন দল তাদের জন্য কি করতে পারে।’ আওয়ামী লীগের ঐ নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারের ব্যবস্থা করে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মনে করেন ঐ ভাষণ একঘেয়েমীপূর্ণ। মানুষ এসব কথা শুনতে আগ্রহী নয়। বরং তিনি মনে করেন, একটি দল ক্ষমতায় গেলে কি করবে, অতীতে কি করেছে তা নিয়ে সরাসরি বিতর্ক হতে পারে। এই বিতর্কে প্রধান প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর শীর্ষনেতারা অংশ নিতে পারেন। দর্শকরাও অংশগ্রহণ করতে পারেন। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এরকম উম্মুক্ত বিতর্কের জন্য তাঁরা নির্বাচন কমিশনে প্রস্তাব দেয়ার কথা ভাবছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা এখন প্রশ্নাতীত। অন্য যেকোন নেতার চেয়ে তিনি এখন অনেক বেশি জনপ্রিয়। তাঁর সামনে আছে বিগত ১০ বছরের সাফল্য স্মৃতি আর ২১০০ সাল পর্যন্ত কর্ম পরিকল্পনা। রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং বিচক্ষণতায় তিনি যে এখন সবার সেরা তা প্রমাণিত। বিরোধী দলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংলাপে তিনি ছিলেন সপ্রতিভ। বিরোধী পক্ষরাও তাঁর প্রশংসায় মুখর হয়েছেন। আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার এই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে চায়। এরকম উন্মুক্ত বিতর্ক হলে শেখ হাসিনা যে জয়ী হবেন তা নিয়ে সংশয় নেই কারো। সেটা ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষে জোয়ার আনবে বলে মনে করছে দলটি। এরকম বিতর্কে শেখ হাসিনার সংগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ড. কামাল হোসেন এবং বামফ্রন্টের মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
উল্লেখ্য, ভারতেও এখন নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জনগনকে জানাতে উন্মুক্ত বিতর্কের পদ্বতি চালু করেছে। ভোটারদের সিদ্বান্ত গ্রহনের জন্য এরকম বিতর্ক এখন গনতান্ত্রিক দেশগুলোতে বিপুল জনপ্রিয়।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।