নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১১ পিএম, ২৪ নভেম্বর, ২০১৮
নির্বাচনের জন্য আসন ভাগাভাগি নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মূল দল বিএনপি ও জোটের অন্যান্য শরিক দলগুলোর মধ্যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে নির্বাচনের আসন চূড়ান্ত করা নিয়ে বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় লন্ডন থেকে নেতৃত্ব দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের জন্য সর্বোচ্চ ৫০টি আসন ছাড়বে বিএনপি। বিএনপির এমন সিদ্ধান্তে ঐক্যফ্রন্ট ক্ষুব্ধ হওয়ায় ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে জোটটি।
জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের শরিকদের জন্য ২৫টি এবং ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর জন্য ২৫টি আসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। বিএনপির সিদ্ধান্ত জানার সঙ্গে সঙ্গেই ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের মধ্যে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তে ২০ দলের মধ্যে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা না দিলেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলো তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।
একথা জানতে পেরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মান ভাঙাতে শেষ পর্যন্ত তারেক জিয়াই লন্ডন থেকে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন এবং নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঐক্য অটুট রাখতে এবং যে কোনো মূল্যে নির্বাচনী ঐক্যকে টিকিয়ে রাখতে অনুরোধ করেন। তারেক ড. কামাল হোসেনকে অভিভাবক সম্বোধন করে বলেন, ‘আপনি ছাড়া ঐক্য অসম্ভব ব্যাপার।’
কিন্তু ড. কামাল জবাবে বলেন, ‘আমাকে বাদ দিয়ে আপনারাই সবকিছু করছেন। বাকিটাও আপনারা করেন।’ ড. কামালের ক্ষোভ বুঝতে পেরে তারেক জিয়া ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, ‘আমি আপনার সন্তানের মতো। আমার কোনো ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমা করে দেবেন। কিন্তু আপনারা ঐক্যের মধ্যে আসেন।’
তারেক জিয়া এ সময় আরও বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের কতগুলো আসন দরকার সরাসরি আমাকে সে তালিকা দিলে আমি ব্যবস্থা করবো।’ তারেকের এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরীক দলগুলোর একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে শরীক দলগুলো বিএনপির কাছে প্রত্যাশিত আসনের একটি সর্বনিম্ন তালিকা দেবে। এই তালিকা মেনে না হলে ঐক্যফ্রন্টের দলগুলো বিএনপির সঙ্গে ঐক্যের থাকবে না বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।