নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮
সব দেশেই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে সেদেশের সুশীল সমাজ। বিভিন্ন নির্বাচনে, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে, গণতান্ত্রিক সংগ্রামে বাংলাদেশের সুশীল সমাজও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী-সুশীল সমাজের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও দেশের শিল্পী-সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ছিল অনন্য, অসাধারণ। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর মতোই প্রত্যেক জাতীয় নির্বাচনেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে সুশীল সমাজের। যে কোনো নির্বাচনেই দেখা যায় , সুশীল সমাজের বক্তব্য, চিন্তাভাবনা জনগণকে প্রভাবিত করে। শুধু বাংলাদেশেই না, যে কোনো দেশেই নির্বাচনের সময় সে দেশের সৃষ্টিশীল বুদ্ধিজীবী-লেখক-সাংবাদিক-পরিচিতজনদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরেও নিজ নিজ দর্শন অনুযায়ী সুশীল সমাজকে বিভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোও নিজ নিজ আদর্শের বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে পরিকল্পনা করছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও তার ব্যতিক্রম নয়।
বিভিন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নাগরিক কমিটি গঠন করে থাকে। তবে এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত কোনো নাগরিক কমিটি গঠন করেনি। কিন্তু দেশের কয়েকজন শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী এবং বরেন্য ব্যক্তি আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলবেন এবং আওয়ামী লীগের হয়ে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে। এই বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে শীর্ষ ছয়জন নিজ নিজ ক্ষেত্রে খ্যাতিমান ও বুদ্ধিবৃত্তিক জগতে প্রভাবশালী।
অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান
বাংলা সাহিত্যের পণ্ডিত ড. আনিসুজ্জামান একজন প্রথিতযশা অধ্যাপক। জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ’৭২ এর সংবিধানের বাংলা অনুবাদকারী। সারা জীবন তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছেন। শিক্ষা ও সাহিত্য ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখা ড. আনিসুজ্জামান ব্যক্তিগতভাবে আবার প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার শিক্ষক। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি কোনো নাগরিক কমিটি বা প্ল্যাটফর্ম গঠন করে তাহলে নিশ্চিতভাবে তিনি হবেন এর সভাপতি।
ড. আতিউর রহমান
ড. আতিউর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ছিলেন। ২০০৮ এ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এবারও আওয়ামী লিগ সরকারের বিভিন্ন অর্থনৈতিক সাফল্য এবং আওয়ামী লীগের ইশতেহারের অর্থনৈতিক অংশটুকু প্রণয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন তিনি। এবারের নির্বাচনে তিনিও আওয়ামী লীগের পক্ষে একটি জোরালো কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করবেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল
ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল রাজনীতি সংশ্লিষ্ট নন। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তিনি তুমুল জনপ্রিয়। ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল সরাসরি আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারে অংশ নেবেন না। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান দৃঢ় হওয়ার কারণে তিনি নির্বাচন উপলক্ষে যা লিখবেন বা বলবেন তা আওয়ামী লীগের ঘরেই যাবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।
ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও সাংবাদিকতার অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী। ড. আরেফিন সিদ্দিকী বরাবরই আওয়ামী ঘরানার বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য তিনি বেশ কিছু কাজ করবেন বলে জানা গেছে।
ড. এ কে আজাদ চৌধুরী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। সবসময়ই তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষে অত্যন্ত সোচ্চার। জানা গেছে, এবারও ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় এবং সুশীল সমাজের মধ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালাবেন।
শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক
আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহা বিতর্কের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তি। সিনহার অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন তিনি। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিচারপতি মানিকের অবস্থান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অত্যন্ত স্পষ্ট ও সরাসরি। এবার সরাসরি নির্বাচন না করলেও তিনি নির্বাচনে জনমত তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।