নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১২ পিএম, ২৭ নভেম্বর, ২০১৮
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৬টি নির্বাচনী আসনের মধ্যে ৫টির প্রার্থীদের মনোনীত করেছে। তাদের মনোনয়নের চিঠিও দেওয়া হয়েছে। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থীকে এখনো পর্যন্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এ কারণে স্থানীয়দের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে যে এই আসনটি মহাজোটের কোনো শরিককে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে ফরম কিনেছিলেন আওয়ামী লীগের ১৯জন প্রার্থী। এছাড়া এই আসনে মহাজোটের মনোনয়ন দৌড়ে আছেন বর্তমান সাংসদ ও জাতীয়পার্টির সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের ভাইস চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী।
অনেকেই বলছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হবে এটা নিশ্চিত। তবে কে মনোনয়ন পেয়ে ধানের শীর্ষের বিপক্ষে লড়তে যাচ্ছেন এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনাকল্পনা। জেলাজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের ভাইস চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী। এবিষয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নেতাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তাই ধারণা করা হচ্ছে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে জাতীয়পার্টিকে। এই আসনের বর্তমান জাতীয়পার্টি এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার পাশাপাশি মনোনয়ন প্রত্যাশী তার জামাতা অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া। রেজাউল ইসলাম ভুইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা। একারনে তাকে মেনে নিতে নারাজ স্থানীয় জাতীয়পার্টি। তারা বলছে বর্তমান এমপি জিয়াউল হক মৃধা বিরোধী দলে থেকেও এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন এবং তার জনপ্রিয়তাও অনেক বেশি। তাছাড়া বহিরাগতদের মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে দলীয় নেতাকর্মীরা।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন
মন্তব্য করুন
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে
বিদেশি
মদের
চালান
সহ
আমির
হোসেন
নামে
এক
পেশাদার
মাদক
কারবারিকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৯ মে) বিকেলে ওই মদের চালান ও মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাহিরপুর
থানার
ওসি
মোহাম্মদ
নাজিম
উদ্দিন
জানান,
‘থানার
বাদাঘাট
পুলিশ
তদন্ত
কেন্দ্রের
ইনচার্জ
এসআই
নাজমুল
ইসলাম
সঙ্গীয়
অফিসার্স
সহ
পুলিশের
একটি
টিম
নিয়ে
উপজেলার
লাউড়গড়
গ্রামের
আমির
হোসেনের
বসত
ঘরের
শয়ন
কক্ষ
থেকে
বস্তা
ভর্তি
বিভিন্ন
ব্র্যান্ডের
২২
বোতল
বিদেশি
মদ
জব্দ
করেন।
এ সময় মাদক
কারবারে
জড়িত
থাকায়
বসতবাড়ির
মালিক
পেশাদার
মাদক
কারবারি
আমির
হোসেনকে
গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল আহসান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন
মন্তব্য করুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ করেছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা হাসান।
চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, মোঃ শহিদুল ইসলাম (ঘোড়া) এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ (মোটর সাইকেল) ।
জানা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম (ঘোড়া) প্রতীকের পক্ষে প্রায় ২-৩ হাজার কর্মী সমর্থক নিয়ে কালিবাড়ি বাজার এলাকায় নির্বাচনী মিছিল করেন এবং মিছিলে অংশগ্রহনকারী কর্মী সমর্থকরা সরকারি ও বেসরকারি যানবাহনে আঘাত করে ক্ষতিগ্রস্থ করেছেন। অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হাই আকন্দের (মটর সাইকেল) প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে কর্মী-সমর্থকেরা একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করে। যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ১১ (২) নির্বাচন পূর্ব সময়ে কোন প্রকার মিছিল বা কোনরূপ শো-ডাউন করা যাইবে না এর পরিপন্থি। উভয় প্রার্থীকে লিখিতভাবে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের উপযুক্ত কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আচরণ বিধি লঙ্ঘনের জবাবে লিখিতভাবে আব্দুল হাই আকন্দ (মোটর সাইকেল) জানান, ‘আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে মোটরসাইকেল প্রতীকের একটি শোভাযাত্রা করার অভিযোগ করা হয়েছে। যার বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না এবং আমার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কেউ সশরীরে এমন কোন শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিল না। তবুও আমার কিছু আবেগ তাড়িত সমর্থক এই শোভাযাত্রা করে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি নির্বাচন আচরণ বিধির প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল হওয়ার দরুণ আপনাকে আশ্বস্থ করছি।’
এ প্রসঙ্গে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদা হাসান জানান, ‘নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বাজায় রাখতে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে দুই জন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ করে উপযুক্ত কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাচন আচরণ বিধি শোকজ
মন্তব্য করুন