নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮
যেকোনো নির্বাচনে একটা ক্লিন ইমেজের প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করে রাজনৈতিক দলগুলো। কারণ একজন ক্লিন ইমেজের প্রার্থী দিলে অন্যান্য আসনগুলোতেও তার প্রভাব পড়ে। ফলে অন্যান্য প্রার্থী এবং দল- দুটোই লাভবান হয়। কোনো একটি আসনে এমন প্রার্থী দিলে ঐ এলাকার ভোটারদের মধ্যে একটি বার্তা পৌঁছে যে ঐ নির্দিষ্ট দলটি ভালো প্রার্থী দিয়েছে।
এবারের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী তালিকাতে বিভিন্ন মামলায় দণ্ডিত, বিতর্কিত মামলার আসামি, খুনের আসামি দিয়ে ভরপুর। কিন্তু তার মধ্যেও সাগর সেঁচে মুক্তো বের করে আনার মতো বিএনপির কয়েকজন প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যায়, যাদের ক্লিন ইমেজ রয়েছে। সেই প্রার্থীদের জাতীয়ভাবে ভাবমূর্তি এবং জনপ্রিয়তাও রয়েছে। ব্যক্তিত্ববান রাজনীতিবিদ হিসেবে যারা সুপরিচিতি পেয়েছেন তারা। এই ব্যক্তিরাই নির্বাচনের মাঠে বিএনপিকে এগিয়ে রাখতে পারে।
বিএনপি এবার প্রায় ৮ শতাধিক প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে। তার মধ্যে আনুমানিক ৫শ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা রয়েছে। এদের মধ্যে আবার প্রায় দেড় ডজন বিভিন্ন মামলায় দণ্ডিত। বাকিদের মধ্যে সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর মাঝেও বিএনপি যে কয়জন ক্লিন ইমেজের প্রার্থী দিয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন-
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উত্থানটা রূপকথার গল্পের মতোই। তিনি ২০০১ সালেও একজন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন এবং বিএনপির তৃতীয় সারির নেতা ছিলেন। তারপর ওয়ান ইলেভেন এবং অন্যান্য চক্র আর ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমে তিনি বিএনপির মহাসচিবের পর্যায়ে চলে আসেন। বেগম খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যত মির্জা ফখরুলই বিএনপি চালাচ্ছেন। বিএনপি চালালেও দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা হলেও জনগণের কাছে তাঁর একটা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষ তাঁর কথাবার্তা এবং বিভিন্ন বক্তব্যকে শালীন এবং সহনীয় মাত্রার বলে মনে করে। বিএনপির রাজনীতি করলেও বড় ধরনের কোনো বদনাম তাঁর নেই। তাঁর প্রতি এই ধারণা থেকেই তিনি ক্লিন ইমেজের ভাবমূর্তি অর্জন করেছেন। এটা নির্বাচনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে অনেকে মনে করছেন।
আন্দালিব রহমান পার্থ
পার্থ মূলত আওয়ামী লীগ পরিবারের এবং তিনি সরাসরি বিএনপি না করেন না। এবার তিনি তাঁর রাজনৈতিক দল বিজেপি থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। কিন্তু তাঁর প্রতীক ধানের শীষ এবং তিনি ২০ দলীয় জোটের একজন সদস্য- তাই তাঁর ভালোমন্দ সবকিছুই এখন বিএনপির পকেটেই যায়। রাজনীতিবিদ হিসেবে আন্দালিব রহমান পার্থ তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। তাঁর কথাবার্তা সাধারণ মানুষ পছন্দ করে। বিশেষ করে ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচন হওয়ার পর সংসদে যেসব বক্তব্যগুলো রেখেছিলেন তা সাধারণ মানুষকে স্পর্শ করেছিল। তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়তার কারণেই নির্বাচনের মাঠে তাঁর একটি স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে। তিনিও এবার নির্বাচনে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ড. মঈন খান
ড. মঈন খান একসময় বিএনপির তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী, স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। বিএনপির নেতা হলেও তিনি একজন সজ্জন শিক্ষাবিদ হিসেবেই পরিচিত। বিদেশি বিভিন্ন কূটনীতিকদের সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন পর্যন্ত কোনো স্খলন লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি একজন শিক্ষিত রাজনীতিবিদ হিসেবে একটা শ্রেণীর মধ্যে সমাদৃত। তাই তিনিও রাজনীতিতে একটা ক্লিন ইমেজ নিয়েই নির্বাচনে আসছেন।
শামা ওবায়েদ
বিএনপির কে এম ওবায়দুর রহমানের মেয়ে শামা ওবায়েদ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন দরে জড়িত। বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত থাকা সত্ত্বেও তাঁর পারিবারিক ভাবমূর্তি তিনি অক্ষুণ্ণ রেখেই রাজনীতি করছেন। রাজনীতিতে তাঁরও কোনো স্খলনের অভিযোগ এখন পর্যন্ত নেই। বিশেষ করে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে বিএনপি যখন একটি দুর্নীতিবাজ সরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে, তখনও শামা ওবায়েদ নিজেকে এই স্রোতের থেকে আলাদা করে রেখেছিলেন। এজন্য তাঁর একটি ভাবমূর্তি রয়েছে।
রুমিন ফারহান
ভাষা শহীদ অলি আহাদের মেয়ে রুমিন ফারহান পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি রাজনীতিতে নতুন এলেও তরুণ প্রজন্ম এবং বিএনপিপন্থীদের মধ্যে নিজের একটা অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। বিভিন্ন টকশোতে তাঁর উপস্থিতি এবং বিএনপির পক্ষে তাঁর বক্তব্য অনেকেই পছন্দ করে। তিনি তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। এবারে নির্বাচনে তিনিও বিএনপির ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছেন।
এইসব প্রার্থীরা এবার নির্বাচনে নিজেদের আসনে কি করবেন, সেটা অন্য বিষয়। কিন্তু তাদের প্রার্থিতা দেওয়ার ফলে যে বিতর্কিত প্রার্থী তালিকা নিয়ে কলঙ্ক রয়েছে বিএনপির, তা থেকে কিছুটা দায়মোচন হবে তাদের।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।