নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০২ ডিসেম্বর, ২০১৮
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে? গতকাল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব আন্দোলনের হুমকি দেন। আজ মনোনয়ন বাছাইয়ের দিনে বিএনপি প্রার্থীদের বাতিল হওয়ার উৎসবের পর, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন, বিএনপির নির্বাচন বর্জন এখন সময়ের ব্যাপার।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে যা যা করা দরকার তার সবই সরকার করছে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন, আদালত, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সবাইকে এমন ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে যেন আমরা নির্বাচন করতে না পারি।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রার্থীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কর্মীরা ঘরে থাকতে পারছে না, এরপর নির্বাচন করবো কীভাবে?’ তিনি বলেন, ‘সরকার বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার প্রকল্প নিয়েছে। সরকার জানে বিএনপি যদি, নির্বাচনে শুধু দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলেই সরকারের পরাজয় অবধারিত। এজন্য সরকারের প্রধান লক্ষ্য হলো, এমন পরিস্থিতি তৈরি করা, যাতে বিএনপি নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়েছে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী।’
বিএনপি কি তাহলে নির্বাচন থেকে সরে যাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন হতে দেব না। বিএনপি যদি নির্বাচন বর্জন করে তাহলে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদও বলেছেন, ‘সরকার বিএনপির জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে এমন কৌশল নিচ্ছে যেন, আমরা নির্বাচন বর্জন করি। কিন্তু বিএনপি সরকারের ফাঁদে পা দেবে না।’
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ নির্বাচন বর্জনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিলেও, ক্রমেই বিএনপিতে নির্বাচন বর্জনের পাল্লা ভারী হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিএনপির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এখন মনোনয়ন বাছাইয়েও বাদ পড়লেন মীর নাছির, আমানউল্লাহ আমান, মোর্শেদ খানসহ বিএনপির সব হেভিওয়েট প্রার্থীরা। এর ফরে এরাও নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য বিএনপিতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বিএনপির তৃণমূলকে নির্বাচনের জন্য রাজি করানো হয়েছিল এই বলে যে, বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য এই নির্বাচন। বিএনপির তৃণমূল আশা করেছিল যে, এই নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত হয়তো বেগম জিয়া অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু বেগম জিয়ার মনোনয়ন বাতিল হবার পর, বিএনপির মাঠ পর্যায় থেকে নির্বাচন বর্জনের দাবি জোরালো হচ্ছে। বিএনপির একটি অংশ এখনো ভোট বিপ্লবের আশা করছে। তাঁরা মনে করছেন, এসব প্রতিকূলতাকে জয় করে নির্বাচনে টিকে থাকতে পারলেই বিএনপির জয় অবধারিত।
জানা গেছে, বিএনপিতে নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে ভিন্নমত ক্রমশ দৃশ্যমান হচ্ছে। এখন এই ইস্যুতে বিএনপি কোন পথে যাবে, তা স্পষ্ট হবে ৯ ডিসেম্বরের আগেই। শুধু বিএনপি নয়, ২০ দলের মধ্যেও এই বিভক্তি ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বিএনপি ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে, নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।
তিনি বলেন, পুরো পৃথিবী এই বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি ও জামায়াত, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করে, এই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি। কারণ কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে। গত নির্বাচনে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর ইসরায়েলি লবিস্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে কিছু ইসলামী দল আছে, তারা কারণে-অকারণে বায়তুল মোকাররমের দাঁড়িয়ে যান। আপনারা কোথায় এখন? আপনাদের কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচনের আগে সরকার নামানোর জন্য বায়তুল মোকাররমের সামনে এসে আন্দোলন করেন, কই ফিলিস্তিনি ভাইদের পক্ষে, ইসরায়েলের বিপক্ষে তো একটা বড় মিছিল করতে দেখলাম না।
সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনাকারীদের নিয়ে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককেই দেখি সরকারের বিরুদ্ধে বড় বড় ভাষণ দেয়, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তাদের কথা বলতে তো শুনলাম না। এরা কোথায়? এরা কোথায় লুকিয়ে আছে? এরা আসলে ইসলাম প্রেমী নয়, এরা হলো মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে।
এরপর ফিলিস্তিনি মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইসরায়েলি বর্বরতার কারণে যারা নিহিত হয়েছেন তাদের মাগফেরাত কামনা করি। যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান সবসময় মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে ছিল। আমাদের নীতি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে।
বিএনপি নেতানিয়াহু দোসর হাছান মাহমুদ
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে হযতর শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর যান তারা।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সকালে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা দুইজনই চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তারা কবে দেশে ফিরবেন সেটা এখনি বলতে পারছেন না তিনি।
সিঙ্গাপুর মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে দাওয়াত করে আনে নি,তাদের এজেন্ডা আছে। তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাজতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?
তিনি বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ী-কাপড় আসবে, এছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও আসবেই।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির দুইটা সমাবেশই ফ্লপ হয়েছে। বিএনপি ও তাদের সমমনাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের সাড়া নেই। দলটির কর্মীরা হতাশ, তাদের আর নেতাদের ওপর আস্থা নেই। সে কারণেই বিএনপির কর্মীরা তাদের সমাবেশে যোগ দেয় না।
মার্কিন স্যাংশন ভিসানীতি আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বিএনপি ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরকার মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে দাওয়াত করে আনে নি,তাদের এজেন্ডা আছে। তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।