নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৫ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
সংযুক্ত আরব আমিরাতে সবচেয়ে বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের তালিকায় নাম উঠে এসেছে জিয়া পরিবারের। জিয়া পরিবারের সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) মোট প্রাক্কলিত সম্পদের পরিমাণ ১২০ কোটি দিরহাম। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য দুই হাজার ৮৩২ কোটি টাকা। অর্থনৈতিক বিভাগের তথ্য ভাণ্ডার ‘ফরেন ইনভেস্টারস ক্রাট ইউএই’তে এই তথ্য পাওয়া গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতেই জিয়া পরিবারের সব সম্পদ। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, মুহাম্মদ বিন রশীদ সিটি দুবাইতে বিলাসবহুল সোবাহ হার্টল্যান্ডে বেগম জিয়ার ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর দুই বিলাসবহুল বাড়ি আছে। দুবাই ওয়াটার ক্যানেলে কাছে এই বাংলো বাড়ির প্রতিটির মূল্য পাঁচ কোটি দিরহাম করে, অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি বাংলো বাড়ির দাম ১১৫ কোটি টাকা। গত ২১ জুলাই কোকোর স্ত্রী বাংলো দুটি তাঁর নামে লিখে দেওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইন অনুযায়ী এরকম হস্তান্তরের জন্য জীবিত শরিকদের অনাপত্তিপত্রের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও কোকোর নামে বে স্কয়ারে আট হাজার স্কয়ার ফিটের একটি বাণিজ্যিক স্পেস আছে।
বেগম জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানের নামে রিগ্যাল টাওয়ারে একটি অ্যাপার্টমেন্ট আছে। এর মূল্য সাত কোটি দিরহাম (এক দিরহাম = ২৩ টাকা মাত্র), এই সম্পত্তিটি ২০০৪ সালে কেনা। ২০০৬ সালে এটি নাইমা রহমানের নামে রেজিস্ট্রি হয়। নাইমার নামে আরবেলায় একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট আছে।
বেগম জিয়ার ভাই প্রয়াত সাঈদ ইস্কান্দারের নামে দুবাইতে দুটি অ্যাপর্টমেন্ট আছে। এগুলো এখন তাঁর স্ত্রীর নামে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে দুবাই মেরিনাতে একটি এবং দুবাই ট্রেড সেন্টারে একটি। বেগম জিয়ার আরেক ভাই শামীম ইস্কান্দারের নামে দুবাইতে আছে একটি অ্যাপার্টমেন্ট। সিলিকন ওয়েসিসের পাঁচ হাজার স্কয়ার ফিট অ্যাপার্টমেন্টের বর্তমান বাজার মূল্য সাত কোটি দিরহাম।
এছাড়াও বেগম জিয়ার বড় বোন খুরশীদ জাহান হক চকলেটেরে নামে এমিরেটস হিলস-এ একটি অ্যাপার্টমেন্ট আছে, যার মালিকানা সম্প্রতি তাঁর মেয়ে হাসিনা জাহানের নামে হস্তান্তর হয়েছে। হাসিনা জাহান, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিটি সম্পত্তির দলিলেই একজন অভিভাবক হিসেবে নাম রয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার। যিনি এসব সম্পত্তির বিরোধ নিষ্পত্তিকারী হিসেবে বিবেচিত হবেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা বিধান করে। কোনো রাষ্ট্র বা সরকারের অনুরোধে এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা ওই দেশের আইন বারিত। এছাড়া ওই সব সম্পত্তির হিসাবও তাঁরা কোনো সরকারকে দেয় না। সম্প্রতি দুবাইকে কালো টাকার স্বর্গ হিসেবে চিহ্নিত করেছে আর্ন্তজাতিক মুদ্রা তহবিল। বেগম জিয়ার পরিবারের সব সম্পত্তি কেনা হয়েছে ১৯৯২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সময়কালে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়ের উৎস জানানোর কোনো বাধ্য বাধকতা নেই।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।