নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০১ এএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৮
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অধিকাংশ আসনেরই প্রার্থীতা চূড়ান্ত হয়ে গেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা এখনো শুরু না হলেও প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বীকে আটকে নিজেদের জয় হাসিল করার জন্য বারবার কৌশলে পরিবর্তনও আনছেন প্রার্থীরা। গাজিপুর-১ আসনও এর ব্যতিক্রম নয়। রাজধানী ঢাকার পাশেই এর অবস্থান হওয়ায় আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণও বটে। এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক। তিনি এই আসনের বর্তমান এমপি। ক্ষমতাসীন সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীও তিনি। অন্যদিকে গাজীপুর-১ থেকে বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দীতা করবেন চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী।
গাজীপুর-১ আসনটি জাতীয় সংসদের ১৯৪নং আসন। গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলা এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১ থেকে ১৮ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই আসন। গাজীপুর-১ নির্বাচনী এলাকাটিকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলা যেতে পারে। নব্বইয়ে স্বৈরশাসনের পতনের পর থেকেই এই আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। ১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত টানা তিনটি নির্বাচনে এই আসন থেকে জয় পান আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. রহমত আলী। এই তিনটি নির্বাচনেই তিনি বিএনপির প্রার্থী চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীকে পরাজিত করেন। এরপর ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-১ আসন থেকে জয় পান আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোজাম্মেল হক। ২০১৪ সালেও তিনি এই আসনের সাংসদ হন।
আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক নিঃসন্দেহেই আওয়ামী লীগের একজন শক্তিশালী নেতা। অন্যদিকে তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীও একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। তিনি বনেদি পরিবারের সন্তান। গাজীপুর-১ আসনের নির্বাচনী এলাকায় তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন নেতা। বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে তাঁর সন্তান ইরাদ আহমেদ চৌধুরীর আপত্তিকর মন্তব্যের জের ধরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সম্প্রতি ওই বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া হয়।
নির্বাচনের মাঠে তানভীর আহমেদ ও মোজাম্মেল হক এবার দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি হচ্ছেন। এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে সরাসরি ভোটযুদ্ধ হয়েছিল তাদের। ওই নির্বাচনে ৮৭ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন তানভীর আহমেদ। গাজীপুর-১ আসনে সর্বশেষ বিএনপি জয় পেয়েছিল ১৯৭৯ সালে। সেবার বিএনপির প্রার্থী ছিলেন এই তানভীর আহমেদ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজিমুদ্দিনকে হারিয়েছিলেন তিনি।
গাজীপুর-১ আসনের নির্বাচনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বেশকিছু হিসাব নিকাশ। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মোজাম্মেল হক হারিয়েছিলেন তানভীর আহমেদকে। এরপর থেকে ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সময় পার করতে হয়েছে তানভীরকে। তিনি নিশ্চিতভাবেই এবার ১০ বছর আগের হারের প্রতিশোধ নিতে চাইবেন। তাঁর দল বিএনপি এবারের নির্বাচনকে তাদের অস্তিত্বের লড়াই হিসেবে দেখছে। আর এই লড়াইয়ে তারা তাদের বহু পুরোনো যোদ্ধা তানভীরের ওপরই আস্থা রেখেছে। আওয়ামীদূর্গের পতন ঘটিয়ে তিনি তাঁর দলের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেন কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষা।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।