ইনসাইড পলিটিক্স

প্রগতিশীল রাজনীতির শেষ সুযোগ?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

স্বাধীনতা যুদ্ধের মূলনীতি ছিল ধর্ম নিরপেক্ষ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশের। এই নীতিতেই বাংলাদেশের ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে রুখে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই দেশে মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী এবং রাজাকারদের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন করা হয়। তবে গত এক দশকে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে অনেক কাজ হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন হয়েছে। মৌলবাদীদের শীর্ষকুল জামাতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে কঠোর পদক্ষেপ। মৌলবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে এত কিছু করার পরেও এবারের নির্বাচনে দেখা যাচ্ছে বিগত সময়ের চেয়ে ধর্মীয় দলগুলো ব্যাপকহারে অংশগ্রহণ করছে। নির্বাচনে এত বেশি ধর্মীয় দলের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের রাজনীতিতে অশনি সংকেত হিসেবে মনে করছেন অনেকে।

যে কোনো দেশের রাজনীতিতে লক্ষ করলে দেখা যায়, সে দেশে গণতান্ত্রিক শক্তি, প্রগতিশীল এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির যখন উত্থান হয়, তখন কট্টরপন্থী ধর্মীয় দলগুলোর প্রভাব এমনিতেই কমে যায়। উদাহরণস্বরূপ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কথা বলা যেতে পারে। দীর্ঘদিন এখানে বামপন্থীরা ক্ষমতায় থাকার ফলে কট্টরপন্থী দলগুলো তেমন ভালো অবস্থানে আসতে পারেনি।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে উল্টো চিত্রে দেখা যাচ্ছে, এবারের নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর জয়জয়কার অবস্থা। আসন্ন  নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন ২৯৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ২৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। মুসলিম লীগ ৩৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। জামায়াতে ওলামায়ে ইসলাম দিয়েছে ১৫টি আসনে প্রার্থী। ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ দিয়েছে ২৮টি আসনে প্রার্থী। ইসলামী ঐক্যজোট ৩২ টি আসনে, বাংলাদেশ ইসলাম ফ্রন্ট ২১ আসনে, খেলাফতে মজলিস ১২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এছাড়াও জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশে ২৬টি আসনে নির্বাচনে লড়বে। বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন আওয়ামী লীগের জোটে ২টি আসন পেয়েছেন। যার ফলে দেখা যাচ্ছে এবারের সংসদ নির্বাচনে এবং সংসদে বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলো বিগত সময়ের চেয়ে ভালো একটা অবস্থানে থাকবে বলেই মনে হচ্ছে।

বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান দল আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায়। যখন বিএনপির প্রধান নেতা খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে কারাগারে এবং বিএনপির আরেক নেতা তারেক রহমান পলাতক থাকায় নেতৃত্বের অভাবে টালমাটাল বিএনপি। বিরোধী দল নেই বললেই চলে। এ কারণে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বামপন্থীদের জন্য উর্বর একটা সময় ছিল নিজেদের দল গোছানোর। বামপন্থী দলগুলোর অনেক ইস্যু থাকা সত্ত্বেও তেমন কোনো আন্দোলন সংগ্রাম করতে পারেনি। নিজেদের সাংগঠনিক কাঠামোও মজবুত করতে পারেনি। অন্যদিকে ইসলামী দলগুলোর অবস্থা অনেক রমরমা। তারা ঠিকই নিজেদের দলকে গুছিয়ে নিয়েছে ভিতরে ভিতরে। যার প্রমাণ গত কয়েকটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে খেলাফতে আন্দোলন তৃতীয় স্থানে ছিল ভোট পাওয়ার বিবেচনায়। 

বাংলাদেশে যারা নিজেদেরকে প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল বলে দাবি করে এদের একটি অংশ আবার বিএনপি-জামাত জোটের সঙ্গে যোগ দিয়েছে, যেমন ড. কামালের গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য, অ স ম আব্দুর রবের জাসদসহ বেশ কিছু দল। এই দলগুলো মনে করা হতো, মধ্যপন্থী উদার গণতান্ত্রিক দল এবং মৌলবাদী চিন্তার বিপরীতের রাজনৈতিক দল। সারা জীবন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কথা বলে এখন সেই দলগুলোই যুদ্ধাপরাধী জামাত যেখানে আছে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে নির্বাচন করছে। আবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে যে বামপন্থী দলগুলো আছে তাদেরও এককভাবে আওয়ামী লীগ ছাড়া তেমন কোন সাংগঠনিক ভিত্তি নেই। আওয়ামী লীগ ছাড়া এই দলগুলো অচল। এই দুই জোটের বাইরে যে বামপন্থী দলগুলো আছে তাঁদের অবস্থাও করুন। তাঁরা এককভাবে কিছু করার মতো দলীয় অবস্থানে নেই। সকল বামপন্থী, অসাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দল এক হয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে যে লড়াই করবে সেই মানসিকতাও নেই তাদের। সুতরাং, দেখা যাচ্ছে এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চায় আওয়ামী লীগ একাই থাকছে মাঠে। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির চেতনার বাস্তবায়নে শুধুই কি আওয়ামী লীগের একার কাজ। দেশে যারা বামপন্থী রাজনীতি করে, যারা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির কথা বলে তাঁদের কি কোনো দায়িত্ব নেই? এবারের নির্বাচনে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর এত বেশি অংশগ্রহণ করা এবং বাংলাদেশের মধ্যপন্থার উদার গণতান্ত্রিক দলগুলো ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে যোগ দেওয়া অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির জন্য একটা অশুভ সংকেত বলেই ভাবা যায়। ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করা এইসব দলগুলো এতগুলো আসনে প্রার্থী দিতে পারলেও বামপন্থী দলগুলো কেন হাতেগোনা কিছু আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ধর্ম ভিত্তিক দলগুলো ফুলে ফেঁপে উঠলেও বামপন্থীরা কেন শক্তিশালী হতে পারছেন এমন প্রশ্ন করাই যায়। 

ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো একতাবদ্ধ হতে পারলেও দেশের বামপন্থী, অসাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিগুলো নানা মান অভিমানে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন। যার ফলশ্রুতিতে আওয়ামী লীগকে ভোটের রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য, নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ইসলামপন্থী কিছু দলকে কাছে টানতে হয়। তবে দেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তি এক জায়গায় থাকলে, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চার ক্ষেত্রে একতাবদ্ধ থাকলে বর্তমানে দেশে ধর্মীয় রাজনীতির এমন উত্থান যে ঘটতো না তা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। এবারের নির্বাচনে যেভাবে ধর্মীয় দলগুলোর অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে, তা যদি অব্যাহত থাকে এবং ধর্ম নিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের দলগুলো যদি এক কাতারে না আসতে পারে তাহলে এবারের নির্বাচনের মাধ্যমেই হয়তো দেশের অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির মৃত্যঘণ্টা বাজবে এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর: যা বললেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির শীর্ষ নেতারা

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছর ডোনাল্ড লু’র সফর ছিল বেশ আলোচনায়। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন করা বিএনপি বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। ভোট হয়ে যাওয়ার চার মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবার ঢাকায় আসছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে বেশ আলোচনা হলেও ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে লু’র সফর নিয়ে যেভাবে বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন বা আতঙ্কের কথা শোনা গিয়েছিল এবার সেটি হচ্ছে না। কিন্তু তারপরও তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কথা বাহাস লক্ষ্য করা গেছে।


লু’র ঢাকা সফর নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। যদিও নির্বাচনের আগে লু’র ঢাকা সফর নিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত ছিল বিএনপির নেতারা। তবে এবার দলটির মহাসচিব সুর পাল্টে বলছেন, ‘কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথাঘামানোর সময় নেই। তিনি বলছেন তার দলের প্রধান শক্তি হলো জনগণ।’

লু’র ঢাকায় আসাটা গুরুত্বপূর্ণ নয় উল্লেখ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র আসা-না আসায় কিছু যায়-আসে না। লু তো অনেক দূরের কথা। আমরা শঙ্কিত দেশের অবস্থা নিয়ে। 


এদিকে লু’র এবারের সফর দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তিনি আসবেন। বিএনপি মনে করেছে, আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না। এই ধরনের উদ্ভট চিন্তা করছে। এ রকম উদ্ভট চিন্তা তারা আগেও করেছিল।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশিদের কাছে বারবার ধরর্না দিয়ে কোনো কিছুই করতে পারেনি বিএনপি। এজন্য লু’র ঢাকা সফর নিয়ে প্রকাশ্যে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছেনা বিএনপি। দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হওয়া এবং বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করার ঘোষণা দেওয়ায় বিএনপির মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই প্রকাশ্যে লু’র সফর নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছে না বিএনপির নেতারা।



ডোনাল্ড লু   আওয়ামী লীগ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী সোহেল

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল।

সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে মুক্তি লাভ করেন তিনি। এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মুক্তি পাওয়ার পর তিনি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। 
এর আগে গত ৩১ মার্চ আদালতে জামিন নিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয় সোহেলকে।

বিএনপি   হাবিব উন নবী সোহেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে তার গুলশানস্থ বাসভবনে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ এবং ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

তবে বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

ইইউ রাষ্ট্রদূত   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

চীন সফরে ৯ বাম নেতা

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চীন সফরে গেছেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলের শরিক দল জাসদ, ওর্য়ার্কাস পার্টি ও সাম্যবাদী দলের নয় সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল।

সোমবার (১৩ মে) বিকেল ৩টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চায়না ইস্টার্নের একটি বিমানে চীনের কুংমিংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেন তারা। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানান। এ সময় জাসদের দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
 
সফরে যাওয়া বাম নেতারা হলেন- ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদের কার্যকারী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ মোহসীন, ওয়ার্কার্স পার্টির নারী নেত্রী লুৎফুন্নেছা খান, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাম্যবাদী দলের অধ্যাপক তৃপ্তি বড়ুয়া ও হ মোশাহিদ প্রমুখ।
 
জানা গেছে, সফরকালে বাম নেতারা কুনমিংয়ে ইউনান একাডেমি অব এগ্রিকালচার সাইন্স একাডেমি, কেপিসি ফার্মাসিউটিক্যালস পরিদর্শন করবেন। নেতারা রুট (ওয়েলিন কমিউনিটি) লেভেলে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি কার্যক্রম সম্পর্কে জানবেন। এছাড়া প্রতিনিধি দলটি চীনা কমিউনিস্ট পার্টি, ইউনান প্রদেশের সরকারের বৈদেশিক শাখার প্রধানসহ অন্যদের সঙ্গে পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন। সফর শেষে আগামী ১৮ মে দেশে ফেরার কথা প্রতিনিধি দলটির।

চীন সফর   বাম দল   জাসদ   ওর্য়ার্কাস পার্টি   সাম্যবাদী দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে আর ছাড় নয়, আওয়ামী লীগ তাঁর দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রগুলো বলছে, দলের ভেতর যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে এবং দলের ভেতরের কোন্দল করছে তাদেরকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে এবং এই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে কোন্দলরত এলাকাগুলোতে কমিটি বাতিল করে দেওয়া হবে। যারা কোন্দলের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হবে না। 

একই সাথে যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে আত্মীয় স্বজনদেরকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের প্রার্থিতা পর্যালোচনা করা হবে এবং তারা এলাকায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন কি না সেটি যাচাই বাছাই করা হবে। যাচাই বাছাই শেষে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদেরকে স্থানীয় পর্যায়ের কমিটিগুলো থেকে বাদ দেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত আওয়ামী লীগ কোন্দল কমানোর জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা হল কমিটি বিলুপ্ত করা এবং কমিটি থেকে বাদ দেওয়া। 

এ বছরের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে আসছিলেন যে দলের ভেতর যারা নির্বাচন কেন্দ্রিক করেছেন সেই কোন্দল যেন অবিলম্বে বন্ধ করা হয় এবং যা হয়েছে সেটা ভুলে গিয়ে মিলে মিশে সকলে মিলে যেন কাজ করে। কিন্তু বাস্তবে আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা মান্য করেনি অধিকাংশ নেতা কর্মীরা। বরং নির্বাচনের পর কর্তৃত্ব দখলের লড়াই আরও জাঁকিয়ে বসে। বিশেষ করে যে সমস্ত নির্বাচনী এলাকাগুলোতে স্বতন্ত্রদের সাথে আওয়ামী লীগের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল, সে সমস্ত এলাকাগুলোতে সংঘাত সহিংসতার ঘটনা আরও বেড়ে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি সবাইকে সতর্কবার্তা দেন। কিন্তু তারপরও এই বিরোধ মিটছে না। এখন আওয়ামী লীগ অ্যাকশনে যাচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিবদমান এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য এবং সেই সমস্ত এলাকায় কারা দায়ী তাদেরকে শনাক্ত করার জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদকরা এই বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন, আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এবার ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ অনেক জামজমকপূর্ণ ভাবে ঘটা করে করতে চায়। এ জন্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। এরপপর যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন, দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উপজেলা নির্বাচনগুলোতেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, দলের ভেতর যেন স্বজনরা প্রার্থী না হন। কিন্তু তারপরও যারা এই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া বলে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।


শৃঙ্খলা   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন