নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮
বিএনপি, জামাত ও ঐক্যফ্রন্টের ৪৭ জন প্রার্থীর ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে মার্কিন দূতাবাস। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের কাছে আজ সোমবার এই ৪৭ প্রার্থীর তালিকা পাঠিয়েছে মার্কিন দূতাবাস। দূতাবাসটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্সের নীতি মেনে চলে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এটাই মনে করে, যেসব ব্যক্তি কিংবা দল সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত সে বা তারা কখনোই গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক হতে পারেনা। বরং গণতন্ত্রের জন্য বিপদজনক তারা। এ পরিপ্রেক্ষিতে সর্বশেষ বিএনপি তাদের যে চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করেছে তাদের মধ্যে বাছাই করা ৪৭ জনের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে মার্কিন দূতাবাস। এছাড়াও দূতাবাস ড. কামাল হোসেনের কাছে এই তালিকা পাঠিয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে, তিনি যেন এই ৪৭ প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করেন। পাশাপাশি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও যেন তাদের পক্ষে নির্বাচনের মাঠে কাজ না করেন।
মার্কিন দূতাবাস যে ৪৭ প্রার্থীর ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে তাদের মধ্যে ২২ জনই জামাতের প্রার্থী। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে তারা। পাশাপাশি আছেন অনেক বিএনপি নেতারাও। এদের মধ্যে আছেন, দিনাজপুর-১ আসনের জামাত নেতা মোহাম্মদ হানিফ, দিনাজপুর-৬ আসনের জামাত নেতা আনোয়ারুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের জামাত নেতা আবদুল হাকিম, নীলফামারী-৩ আসনে জামাত নেতা মো. আজিজুল ইসলাম, গাইবান্ধা-১ আসনে জামাত নেতা মাজেদুর রহমান, জয়পুরহাট-১ আসনে বিএনপি নেতা ফজলুর রাহমান, জয়পুরহাট-১ আসনে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি নেতা শাহজাহান মিয়া, নওগাঁ-১ আসনে বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, নওগাঁ-৬ আসনে বিএনপি নেতা আলমগীর কবির, রাজশাহী-১ আসনে বিএনপি নেতা আমিনুল হক, রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপি নেতা নাদিম মোস্তফা, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে জামাত নেতা রকিবুল ইসলাম খান, পাবনা-৩ আসনে জামাত নেতা আনোয়ারুল ইসলাম, পাবনা-৫ আসনে জামাত নেতা ইকবাল হোসেন, জামালপুর-১ আসনে বিএনপি নেতা রশিদুজ্জামান মিল্লাত, শেরপুর-২ আসনে বিএনপি নেতা ফাহিম চৌধুরী, ময়মনসিংহ-১ আসনে বিএনপি নেতা আলী আজগর, ময়মনসিংহ-৭ আসনে বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদিন, ময়মনসিংহ-৯ আসনে বিএনপি নেতা খুররম খান চৌধুরী, ঢাকা-৪ আসনে বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-১৫ আসনে জামাত নেতা শফিকুর রহমান, রাজবাড়ী-১ আসনে আ. নে. মাহমুদ খৈয়াম, রাজবাড়ী-২ আসনে বিএনপি নেতা নাসিরুল হক, মেহেরপুর-১ আসনে বিএনপি নেতা মাসুদ অরুণ, ঝিনাদহ-৩ আসনে জামাত নেতা মতিয়ার রহমান, যশোর-৫ আসনে ইসলামী ঐক্যজোট নেতা মুফতি ওয়াক্কাস, বাগেরহাট-৪ আসনে জামাত নেতা আব্দুল আলীম, খুলনা-৫ আসনে জামাত নেতা গোলাম পরওয়ার, সাতক্ষীরা-২ আসনে জামাত নেতা আব্দুল খালেক, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি নেতা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বিএনপি নেতা শামসুল ইসলাম প্রমুখ।
এদের বিরুদ্ধে মোটা দাগের ৫ টি অভিযোগ এনেছে মার্কিন দূতাবাস। সেগুলো হলো:
১. এরা গণতন্ত্র চর্চায় বিশ্বাসী না।
২. দেশের জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে এরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত।
৩. আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে এরা জঙ্গি অর্থায়নসহ নানাভাবে জঙ্গি সংগঠনগুলোর সাহায্য নেবে বলে ধারণা করছে মার্কিন দূতাবাস।
৪. এরা যদি নির্বাচনে জয়লাভ করে, তবে বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠনগুলো মদদ পাবে এবং জঙ্গি কার্যক্রমে উৎসাহিত হবে বলে মনে করছে মার্কিন দূতাবাস।
৫. আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে এদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পৃক্ততা আছে।
উল্লিখিত ৫ টি কারণের জন্য বিএনপি, জামাত ও ঐক্যফ্রন্টের ৪৭ জন প্রার্থীর ব্যাপারে ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের কাছে আপত্তি জানিয়েছে মার্কিন দূতাবাস। অবশ্য ড. কামাল হোসেন এ ব্যাপারে কি প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন তা জানা যায়নি।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।