নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ আসনে হতে যাচ্ছে জয়নাল আর হাজারীর লড়াই। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন নিজাম উদ্দীন হাজারী। অন্যদিকে বিএনপির হয়ে লড়বেন ভিপি জয়নাল আবেদীন। এই দুজন প্রার্থীর বিরুদ্ধেই রয়েছে নানা অভিযোগ।
বলা হয়ে থাকে, ফেনী এমন একটি এলাকা যেখানে কোনো রাজনীতিক তৈরি হয় না। যিনিই ক্ষমতায় আসেন, তিনিই গডফাদার হয়ে যান। এই এলাকার সাবেক গডফাদার জয়নাল হাজারীর রাজত্ব শেষ হওয়ার পর ক্ষমতায় আসেন ভিপি জয়নাল আবেদীন। সাংসদ হয়ে তিনি জয়নাল হাজারীর থেকেও কয়েক গুণ বেশি দূর্নীতি করেন বলে জানা যায়। ২০১৪ সালে ফেনী-২ এর সাংসদ হন নিজাম উদ্দীন হাজারী। এলাকার নতুন গডফাদার হিসেবে ইতিমধ্যেই বদনাম কুড়িয়েছেন এই নতুন হাজারী। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির দুজন প্রার্থীর বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার বহু অভিযোগ রয়েছে।
ফেনী-২ আসনটি জাতীয় সংসদের ২৬৬ নং আসন। এটা ফেনী সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত। ১৯৯১ সালে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বি শহীদ উদ্দিনকে হারিয়ে এই আসনের সাংসদ নির্বাচিত হন জয়নাল হাজারী। এরপর ১৯৯৬ সালেও আসনটি নিজের দখলে রাখেন তিনি। ওই নির্বাচনে বিএনপির ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরীকে পরাজিত করেন হাজারী। জয়নাল হাজারীর ১০ বছরের রাজত্বের অবসান ঘটে ২০০১ সালে। ওই নির্বাচনে বিএনপির ভিপি জয়নাল আবেদীন হারিয়ে দেন তাকে। এরপর ২০০৮ সালেও জয় পান ভিপি জয়নাল। দুই জয়নালের ২০ বছরের শাসনের পর ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই আসনের সাংসদ হন নিজাম হাজারী। তবে পূর্বসূরিদের অপকর্মের ধারা অব্যাহত রাখেন তিনি।
ভিপি জয়নাল এবং নিজাম হাজারী দুজনই এবারের নির্বাচনে জয় পেতে বদ্ধ পরিকর। এলাকাবাসী এই দুই দুষ্টের মধ্যে কাকে বেছে নেবে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ১৭ মে দেশের বিভিন্ন এতিমখানায় খাবার বিতরণ
করবে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি।
বুধবার (১৫ মে) আওয়ামী লীগের ত্রাণ
ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি
ঘোষণা করা হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার
(১৬ মে) দুপুর ১টায় তেজগাঁও ‘রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানা’য় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে
সুষম খাবার বিতরণ করা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এছাড়াও এদিন রাজধানী ঢাকায় আজিমপুর
সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা, মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোডস্থ এতিমখানা, সোবহানবাগ মসজিদ
সংলগ্ন এতিমখানা, বাড্ডা বেরাইদ রহিম উল্লাহ এতিমখানায় এতিম অসহায়দের মাঝে খাবার সামগ্রী
বিতরণ করা হবে।
একই সঙ্গে সিলেট হযরত শাহজালালের (র.)
মাজার সংলগ্ন এতিমখানা এবং চট্টগ্রাম হযরত শাহ আমানতের (রহ) মাজার সংলগ্ন এতিমখানা
ও গরীব উল্লাহ শাহের (রহ) মাজার সংলগ্ন এতিমখানাতেও খাবার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত
হবে।
এছাড়াও ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির
সদস্যদের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে অবস্থিত এতিমখানাগুলোতে সুষম খাবার পরিবেশন
করা হবে।
পরের দিন শনিবার দুপুর ১টায় চট্টগ্রামের
কদম মোবারক এতিমখানায় সুষম খাবার বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে
উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এতিমখানা আওয়ামী লীগ উপ-কমিটি
মন্তব্য করুন
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ২৯ মে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৫২ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী
তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে ১৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ২৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান
প্রার্থী ও ৯ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। গতকাল বুধবার বিএনপির পাঠানো এক সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, রংপুর বিভাগের ১২ জন, রাজশাহী বিভাগের চারজন, বরিশাল বিভাগের পাঁচজন, ঢাকা বিভাগের চারজন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৯ জন, সিলেট বিভাগের সাতজন, চট্টগ্রাম বিভাগের একজন, কুমিল্লা বিভাগের ছয়জন ও খুলনা বিভাগের চারজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডোনাল্ড লু বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চীন সফর ভারত যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, দলের ভেতর সুবিধাবাদী, লুটেরা এবং দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না। কিন্তু ২৩ জুনের পর আওয়ামী লীগের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ক্র্যাকডাউন হবে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং দলের সুনাম নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি অনুসরণ করবে। আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগ এবং তার আদর্শিক জোট ১৪ দলের নেতাদের চীন সফরে হিড়িক পড়েছে। আওয়ামী লীগ এবং তার সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর এই চীন সফরকে ঘিরে কূটনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানামুখী আলাপ আলোচনা। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই ১৪ দল এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের চীন সফরের ব্যাপারে দৃষ্টি রাখছেন। তবে তারা এই বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হচ্ছেন না। বিষয়টি তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় হিসেবেই মনে করছেন।