নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৯ এএম, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
মৌলভীবাজার জেলায় নির্বাচনী আসন রয়েছে ৪টি। এই আসনগুলোর রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহ এবং তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বাংলা ইনসাইডার প্রেডিক্ট করছে এখানে নৌকা ২টি এবং ধানের শীষ ২টি আসনে জয় পেতে যাচ্ছে।
মৌলভীবাজার-১
মৌলভীবাজার-১ জাতীয় সংসদের ২৩৫নং আসন। এই আসনের নির্বাচনী এলাকায় রয়েছে জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলা। এটা ঐতিহাসিকভাবেই আওয়ামী লীগের আসন। এখানে নৌকার প্রার্থী শাহাব উদ্দিন। আর বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন নাসির উদ্দিন আহমেদ। শাহাব উদ্দিন এই আসনের তিনবারের এমপি। নিঃসন্দেহেই এলাকায় তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী। প্রচার প্রচারণাতেও যথেষ্ট এগিয়ে। এজন্য আমরা মনে করছি এবারের নির্বাচনে নৌকাই এখানে জয়লাভ করবে।
মৌলভীবাজার-২
মৌলভীবাজার-২ থেকে মহাজোটের প্রার্থী হয়েছেন বিকল্পধারার এম এম শাহীন। অন্যদিকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ঐক্যফ্রন্টের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মদ। এবারই প্রথম ধানের শীষের হয়ে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন তিনি। এর আগে বেশ কয়েকটি নির্বাচনে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর নৌকা প্রতীকে প্রার্থিতা করেছেন। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালে তিনি সাংসদ হন। মৌলভীবাজার-২ আসনের নির্বাচনী এলাকায় রয়েছে কুলাউড়া উপজেলা এবং কমলগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন। এই এলাকাগুলোতে এম এম শাহীনের প্রভাব কম। একারণে বাংলা ইনসাইডার মনে করছে ধানের শীষের সুলতান মোহাম্মদ মনসুরই এখানে শেষ হাসি হাসবেন।
মৌলভীবাজার-৩
এই আসনটি রাজনগর ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি সাবেক অর্থমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা সাইফুর রহমানের আসন। এখানে আওয়ামী লীগের নেসার আহমেদের সঙ্গে লড়ছেন বিএনপির নাসের রহমান। নাসের রহমান সাইফুর রহমানের ছেলে। নাসের তাঁর কিছু কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত হলেও এলাকায় সাইফুর রহমানের একটা বিশাল সমর্থক শ্রেণী রয়েছে। সেজন্য এই আসনটি ধানের শীষের দখলে যাবে বলে বাংলা ইনসাইডার প্রেডিক্ট করছে।
মৌলভীবাজার-৪
এই আসনটি ঐতিহাসিকভাবেই আওয়ামী লীগের এলাকা। স্বাধীনতার পর ১৯৮৮ সাল বাদে প্রতিটি নির্বাচনেই এখানে জয় পেয়েছে নৌকার প্রার্থী। এই আসনের নির্বাচনী এলাকার মধ্যে রয়েছে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা। এখানে বিএনপির প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী। আর আওয়ামী লীগের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবদুস শহীদ। আবদুস শহীদ এলাকার প্রভাবশালী নেতা। অতীতের প্রায় সব নির্বাচনে অংশ নিয়েই তিনি জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপি কখনোই এখানে জয় পায়নি। এবারো এখানে অনেকটা একতরফাভাবে আওয়ামী লীগ জয়ী হবে বলে মনে করছি আমরা।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।