নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ড. মুহম্মদ ইউনূসের নাম বলেছে। মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেছেন, নির্বাচনে জয়ী হলে তারা ড. মুহম্মদ ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রী করার বিষয়টি ভাবছে। গতকাল শনিবার মার্কিন দূতাবাসের দু’জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দেখা করেন ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে। ড. কামালের বেইলী রোডের বাসভবনে রাত আটটার কিছু পর তারা সাক্ষাৎ করেন। ড. কামাল হোসেনের গাড়িতে হামলার বিষয়ে তারা খোঁজখবর নেন। গত ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেরার পথে ড. কামাল হোসেনের গাড়িবহরে কে বা কারা হামলা করে। মার্কিন দূতাবাসের ঐ দুই কর্মকর্তা ঘটনার বিস্তারিত শোনেন। তারা চলমান নির্বাচন প্রচারণা নিয়েও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়াকের কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন অভিযোগ করেন যে, সরকার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নির্বাচনী প্রচারণায় বিরোধী পক্ষকে সরকার কোনো সুযোগই দিতে রাজি নয়। ড. কামাল অভিযোগ করেন যে, সরকার বিরোধী পক্ষকে বাধা দেওয়ার জন্য প্রশাসনকেও ব্যবহার করছে। মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানতে চান এরকম পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কী করবে। জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা নির্বাচনের মাঠেই থাকবো। আমি সবাইকে বলেছি মাটি কামড়ে থাকতে। ড. কামাল বলেন, আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করবো জনগণকে ভোটকেন্দ্রে নিতে। জনগণ ভোটকেন্দ্রে গেলে ‘ভোট বিপ্লব’ হবে বলে ড. কামাল হোসেন মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধিদের বলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, ড. কামালের কাছে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানতে চান যে, নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে তাঁরা (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) কতটা আশাবাদী। জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, নির্বচান ন্যূনতম নিরপেক্ষ হলেই ঐক্যফ্রন্ট বিপুল ভোটে জয়ী হবে। সেক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী কি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হবেন কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে ড. কামাল বলেন, ‘না’ আমি এমনটা ভাবছি না। আমি দলের বাইরে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী করার কথা ভাবছি।‘ এটা আমি ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকেও আলোচনা করেছি। এতে বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলোরও সম্মতি আছে বলে ড. কামাল উল্লেখ করেন। মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা জানতে চান এরকম ব্যক্তি কে? উত্তরে ড. কামাল বলেন, ‘এরকম ব্যক্তি অনেক আছেন। তাঁরা সরাসরি রাজনীতিতে আসতে ভয় পান। যেমন শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূস।’ মার্কিন কর্মকর্তারা জানতে চান, সেটা কীভাবে সম্ভব। তিনি তো নির্বাচন করছেন না। জবাবে ড. কামাল বলেন, বিএনপি মহাসচিব এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দুটি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের যে কেউ একটি আসন ছেড়ে দিলে ড. ইউনূস সেখানে প্রার্থী হবেন। আমি চেষ্টা করবো তিনি যেন সেখানে সর্বসম্মতভাবে নির্বাচিত হন। কিন্তু ড. মুহম্মদ ইউনূস কি এরকম প্রস্তাবে রাজী হবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে ড. কামাল বলেছেন, ‘তিনি বিষয়টি জানেন।’
উল্লেখ্য, শান্তিতে নোবেল জয়ের পর ড. মুহম্মদ ইউনুস একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে তা বালিত করে দেন। ওয়ান ইলেভেনের অন্যতম রূপ পরিকল্পক তাকে মনে করা হয়। গ্রামীন ব্যাংক, পদ্মা সেতু ইত্যাদি ইস্যুতে তার সঙ্গে সরকারের বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ড. ইউনুস বর্তমানে বেশীর ভাগ সময় বিদেশেই অবস্থান করেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।