নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
ড. কামাল হোসেন সবাইকে ধমকাচ্ছেন। আজ নির্বাচন কমিশনে বৈঠকে গিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনকে ধমকাচ্ছেন। বলেছেন, আপনারা কিছুই করছেন না। নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে না পারলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কীভাবে!’ এর আগে গতকাল ১৬ ডিসেম্বর ড. কামাল হোসেন পুলিশের উর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তাকে টেলিফোনে ধমকান। ড. কামাল হোসেন ঐ কর্মকর্তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। বলেন,‘ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ ১৪ ডিসেম্বর ড. কামাল হোসেন যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক ভাস্করকে ধমকান। তাকে চিনে রাখার হুমকি দিয়ে বলেন,‘কত টাকা পেয়েছো প্রশ্ন করার জন্য।’ এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর ড. কামাল প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদেরও সাবধান হয়ে যেতে বলেন।
প্রশ্ন উঠতেই পারে, ড. কামাল হোসেন সবাইকে শাসাচ্ছেন কেন? ধমক দিয়ে কথাই বা বলছেন কেন? তিনি কথায় কথায় ‘খামোশ’ বলছেন। ড. কামাল হোসেন কোত্থেকে এই সাহস পাচ্ছেন? তার পেছনে কে?
ড. কামাল হোসেন নির্বাচন করছেন না। কিন্তু তাঁর নেতৃত্বেই বিএনপি, জামাত, ফ্রন্ট একযোগে নির্বাচন করছেন। তার শক্তি কি তাহলে বিএনপি-জামাত? ড. কামাল কামাল জানেন, তাঁর পেছনে শক্তিশালী ক্যাডার এবং সংগঠন আছে। এ জন্য কি তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু বিএনপি জামাতের জোটে ড. কামাল এতো ‘সাহসী’ হয়ে উঠবেন না।
ড. কামাল হোসেনের পিছনে রয়েছে এদেশের সুশীল সমাজের একটি বড় অংশ। যারা বিরাজনীতিকরণের পক্ষে। এদের জোরেই কি ড. কামাল হোসেন সবাইকে গালি দিচ্ছেন? কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আমাদের সুশীলরা ভীরু এবং কাপুরুষ। তাদের জোরে ড. কামাল ‘বলবান’ হলে বহু আগেই হতেন।
দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রভাবশালী একটি ইংরেজী এবং একটি বাংলা দৈনিক সরাসরি ড. কামাল হোসেনের পক্ষে। কোন রাখঢাক না রেখেই ড. কামালের পক্ষে তারা আদাজল খেয়ে লেগেছেন। কিন্তু এই সংবাদপত্র দুটি আগাগোড়াই ভুল রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক। তাই লাঠি ছেড়ে তাদের উপর ভর করার মানুষ ড. কামাল হোসেন নন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সব সময়ই ক্রিয়াশীল কয়েকটি বিদেশী রাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবার নির্বাচনে কোনো রাখঢাক না রেখেই মাঠে নেমেছে। ড. কামালের সঙ্গে প্রতিদিনই যোগাযোগ রাখছে মার্কিন দূতাবাস। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নও ড. কামাল হোসেনের প্রতি সহানুভূতিশীল। বাংলাদেশে ড. কামাল হোসেনকে অনেকে মার্কিন এজেন্ট বলে সম্বোধন করেন। সমালোচকরা বলেন, ড. কামাল যতোটা না দেশের প্রতি অনুগত, তার চেয়ে বেশি বিদেশী প্রভুদের প্রতি। তাই ড. কামালকে তারা সবসময়ই আশ্রয় প্রশ্রয় দেন। তাহলে কি এসব বিদেশী রাষ্ট্রের সমর্থনেই ড. কামাল এত ক্ষমতাবান? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, শুধু বিদেশীদের সাহায্যে এতো রুদ্রমূর্তি ধারণ করার মানুষ ড. কামাল হোসেন নন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ড. কামাল হোসেনের পেছনে কেউ আছে। যারা নেপথ্যে থেকে তাকে কলকাঠি নাড়াচ্ছেন। অথবা কিছুই নয়, স্রেফ তাঁর একটি বার্ধক্যজনিত রোগ। বুড়ো বয়সে মানুষ এরকম অস্থির আচরণ করে। কোনটা সত্য তা বোঝা যাবে ৩০ ডিসেম্বরের পর।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।