নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৬ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় গেলে জিয়াউর রহমান স্টাইলে জেলখানা কি খালি করা হবে, বিচার বিভাগ কি হবে ঠুটো জগন্নাথ! তার পরোক্ষ অঙ্গীকার নিয়েই কি এক অনৈতিক ঐক্যে হচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন! ইতোমধ্যেই তার আভাস দিয়েছেন নিহত শাহ এ এম এস কিবরিয়া সাহেবের পুত্র ড. রেজা কিবরিয়া। তাই ‘বিচার বিভাগকে প্রভাবিত না করার’ দায় শেখ হাসিনার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে তিনি তাঁর পিতার খুনি হিসেবে চিহ্নিত রাজনীতিকদের দল বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে নেমেছেন। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এর আগে তিনি তাঁর পিতার হত্যার বিচার বিলম্বিত হওয়ার দায় তারা পিতার নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ঘাড়ে চাপিয়ে ড. কামাল হোসেনের দল গণফোরামে যোগদান করেন।
এসব দেখে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মন্তব্য করেন যে, ড. রেজা কিবরিয়া ও তাঁর বর্তমান নেতা অবশ্যই বিশ্বাস করেন যে সরকার প্রধান হলেই বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করা যায়, বিচারের রায় নিজের অনূকূলে নেওয়া যায়। তা না হলে ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা যেখানে শেখ হাসিনাসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশুন্য করার জন্য জামায়াত-বিএনপি জোট সরকার বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা করে প্রায় ২৪ জন মানুষকে হত্যা আর ৩০০ জনেরও বেশি মানুষকে পঙ্গু করে সেই মামলার রায়ের জন্য শেখ হাসিনা কেন ১৪ বছর অপেক্ষা করলেন! মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিতদের কথাও আপীলের সুযোগ না থাকলেও শেখ হাসিনার সরকার দণ্ডপ্রাপ্তদের আপীলের সুযোগ দিয়ে কী বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেছেন! নিজের পিতা তথা বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় কেন এতদিন অপেক্ষা করলেন! এটা তো ড. রেজা কিবরিয়া সাহেবের নেতাদের এমন ধারণা কেন?
বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করবার ঠিক আগ পর্যন্ত, মানে ১৯৭৫ সালের ২০শে এপ্রিল পর্যন্ত দালাল আইনে ৭৫২ জন ব্যাক্তি দন্ডিত হয়। যাদের মধ্যে প্রায় ২০ জনেরও বেশী ফাঁসির আসামী ছিলো। জিয়ার এই দালাল আইন বাতিল করবার পরেও কিন্তু সেই ৭৫২ জন কোনোভাবেই উপরের ডকুমেন্টস অনুযায়ী মুক্তি পেতে পারেন না। কিন্তু সেই ৭৫২ জন, মানে ২০ জন ফাঁসির আসামীসহ সবাই জিয়ার আমলেই জেল থেকে কি করে বের হয়ে গিয়েছিলেন! ঠিক সেইভাবেই বা তার উল্টাভাবে আদালতকে প্রভাবিত করে ড. রেজা কিবরিয়া ও তাঁর বর্তমান নেতা ড. কামাল কী তেমন কোন পরিকল্পনা নিয়েছেন যাতে ক্ষমতায় এলে ড. রেজা কিবরিয়া যেমন তাঁর ইচ্ছামত মানুষ বাছাই করে তাঁর বাবার হত্যাকারী হিসেবে আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেবেন! একই সাথে তাঁর বর্তমান নেতা আদালতকে প্রভাবিত করে বা আদালতের ক্ষমতা খর্ব করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেন, তারেক জিয়াকে দেশে এনে জামাই আদর করে ছেড়ে দেবেন, যেমনটি করেছিলেন জেনারেল জিয়া!
এটা সবাই জানেন যে, ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে জেনারেল জিয়া বন্দুকের নল দিয়ে রাষ্ট্রের ৩টি স্তম্ভ বিচার, প্রশাসন ও আইন বিভাগকে নিজের মত করেই সাজাতে সক্ষম হয়েছিলেন। জেনারেল জিয়ার সুযোগ্য সন্তান তারেক জিয়ার নেতৃত্বে ড. কামাল হোসেন, আসম রব, মাহাবুবুর রহমান মান্না, কাদের সিদ্দিকী, ড. রেজা কিবরিয়া সাহেবরা কোন স্বার্থে নির্বাচনী ঐক্য করলেন সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর আদর্শ নিয়ে! দুনিয়ার সব মানুষকে অবাক করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সন্তানের দাবীদার কাদের সিদ্দিকী কী করে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের সাথে ঐক্য করেন! মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধীনতাযুদ্ধের সোল এজেন্ট দাবীদার ড. কামাল কী করে মুখে না না বলে অজ্ঞাত প্রেমের আকর্ষণে গাটছাড়া বাঁধেন স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতের সাথে! সল্প আলোর সমীকরণে এত সকাল আর সন্ধ্যা একাকার হবার মত অত্যাশ্চর্য ঘটনা।
যিনি নির্বাচন না করে ২ বার সংসদ সদস্য হয়ে মন্ত্রী হয়েছেন, অন্যতম সংবিধান প্রণেতা হয়ে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন, তিনি কেমন করে বর্তমান সরকারকে অনির্বাচিত অবৈধ সরকার বলেন! তাহলে কী তিনি তাঁর নেতৃত্বে যে বাংলাদেশের সংবিধান তৈরী করেছিলেন তাকেও অবৈধ বলবেন সময় সুযোগ পেলে! যিনি বাক স্বাধীনতার জন্য জান কোরবান করেন তিনি কেন সাংবাদিককে ‘খামোশ’ করতে চান! জামায়াতের সাথে জোট করেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার করেন কেন! তাঁর শক্তির বা প্রত্যাশার মূলে কী আছে! যে মান্নাকে জনসমর্থনের ক্রেন দিয়ে টেনেও জেতানো যায়নি সেই মান্না সাহেব কোন আশায় নির্বাচনী এলাকায় না গিয়ে ঢাকায় বসে বসে নির্বাচনে জেতার স্বপ্ন দেখেন! যে ড. রেজা কিবরিয়া ১৬ ডিসেম্বর বললেন তাঁকে এলাকায় নির্বাচন করতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁর পরের দিন এলাকায় ফিরে গিয়ে বলছেন তিনি মাঠ ছাড়বেন না কোন ভাবেই। যে আসম রবের নিজ এলাকার নির্বাচনী অফিসে তালা লাগায় বিএনপি’র নেতারা তিনি কী করে ঢাকায় বসে বসে নির্বাচনে জেতার স্বপ্ন দেখেন!
এইসব স্বপ্নের কারিগর একজন নিশ্চয় আছেন। তিনি কী সেই তারেক জিয়া যিনি ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার মনে সপ্নের বীজ বুনেছিলেন কিন্তু ‘স্বপ্ন ভঙ্গে’র পরে আবার নতুন সপ্নের জাল বুনছেন নতুন লাভের আর লোভের সুতোয়।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৮:১৫ এএম, ১৬ মে, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৮:১২ এএম, ১৬ মে, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৮:০৭ এএম, ১৬ মে, ২০২৪
মন্তব্য করুন
সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিতে বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক অভাবনীয়, অনন্য এবং যুগান্তকারী একটি মডেল। শিশু স্বাস্থ্য, মাতৃ স্বাস্থ্য এবং কিশোরীদের স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। নবজাতকের মৃত্যু, মাতৃ মৃত্যু কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অনুসরণ শুরু করেছে। গত বছর ১৭ মে কমিউনিটি ক্লিনিক ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ’ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ সারা বিশ্বের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী জনগণের জন্য ‘আলোক বর্তিকা’।
আজকে আমরা ১৭ মে নিয়ে কথা বলছি। যেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। আবার গত বছর এই দিনে তাঁর চিন্তা প্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিককে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আজকে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছি, উন্নয়নশীল বাংলাদেশের কথা বলছি, যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি, একদিন উন্নত বাংলাদেশ হব বলে স্বপ্ন দেখছি এই সবকিছু শেখ হাসিনার স্বপ্ন, শেখ হাসিনার ইনিশিয়েটিভ। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৭৮১ সালে পলাশি যুদ্ধে ইতিহাসের ঘৃণিত সেনাপতি মির্জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় নবাব সিরাজ উদ্দৌলার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ২০০ বছরের গোলামী আমাদের ললাটে এসেছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ স্বাধীন হলেও বাঙালী এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পায়নি। যার পটভূমিতে বীরদর্পে আবির্ভূত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ থেকে ৭৫’ বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে স্বাধীনতার লাল পতাকা উড়েছিল বাঙালী আশায় বুক বেধেছিল।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বিয়োগান্তের ঘটনায় জাতি ছিল দিক নির্দেশনাহীন। নারকীয় এই ঘটনায় জনগণ হয়ে পড়েন দিশেহারা। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করার কোন শক্তি সাহস ছিল না। দলের অনেক বড় বড় নেতাও ছিলেন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। ধানমন্ডির ৩২ বাড়ি ছিল কবরের নীরবতা। সমগ্র জাতি তখন অন্ধকারে। সামরিক বুটে পিষ্ঠ গণতন্ত্র। নির্বাসনে সংবিধান আর মানুষের মৌলিক অধিকার। বাক স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। এমনকি বঙ্গবন্ধু নাম উচ্চারণ ছিল নিষিদ্ধ।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের মৌলিক চরিত্রকেই বদলে ফেলা হয়। বিশেষ করে পাকিস্তানি ধারায় সামরিক শাসনের সংস্কৃতির প্রবর্তন ঘটে দেশে। সাম্প্রদায়িকতা ফিরে আসে রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরে। একের পর এক স্বপ্নভঙ্গের ঘটনা ঘটতে থাকে দেশে। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমন প্রতিকূল সময় ১৯৮১ সালের ১৭ মে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্নাত মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন বাঙালির মুক্তির মহানায়কের যোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনা।