নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮
বাংলাদেশের নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়বে। বিশ্বের একাধিক শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থা এরকম অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এ সংক্রান্ত তাদের পর্যালোচনা ও তথ্য তারা বাংলাদেশের অন্তত দুটি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে হস্তান্তর করেছে বলেও জানা গেছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ, ভারতের ‘র’ এবং ব্রিটেনের স্কটল্যাণ্ড ইয়ার্ড আলাদা আলাদাভাবে তাদের মূল্যায়নে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বলেছে।
এসব মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী নির্বাচনে নাটকীয় কোন ঘটনা না ঘটলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ আবারও জয়ী হবে। রাজনৈতিকভাবে শেখ হাসিনাকে পরাজিত করতে ব্যর্থ হয়ে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা হিংসা এবং সর্বাত্মক সহিংস হয়ে উঠতে পারে বলে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা আশংকা প্রকাশ করছে। লন্ডনে অবস্থানরত যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের এক গোপন বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড বাংলাদেশের একটি সংস্থাকে জানিয়েছে যে, যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিতদের সন্তানরা যেকোন মূল্যে শেখ হাসিনাকে হটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঐ বৈঠকে বলা হয়েছে নির্বাচন বা গণতান্ত্রিক পন্থায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা এখন অসম্ভব ব্যাপার।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-ও তাঁদের এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শেখ হাসিনা বিরোধীরা নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় ব্যর্থ হয়ে অন্য পন্থার কথা ভাবছে। এদের একমাত্র লক্ষ্য হলো শেখ হাসিনাকে হটানো। তবে সিআইএ মনে করে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে হটানোর জন্য কোনো নিয়মতান্ত্রিক পন্থার কথা তাঁরা ভাবছে না।
বাংলাদেশের একাধিক গোয়েন্দা প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা এ ধরনের তথ্য প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেন। বাংলাদেশের একজন গোয়েন্দা প্রতিনিধি বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী, জঙ্গি এবং সন্ত্রাসীদের প্রধান টার্গেট প্রধানমন্ত্রী। এর আগেও ২১ আগস্ট ২০০৪ সালে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। এছাড়া তাঁকে হত্যার একাধিক চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার প্রশ্নে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখন কোন রকম ছাড় দিতে রাজী নয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা ও রাষ্ট্র প্রধানদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যতম। এ পর্যন্ত তাঁর উপর ১৭টি হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে বলে তথ্য পাওয়া যায়।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।