নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮
আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম বেড়ে গেছে। শুরু হয়েছে রাজকনৈতিক প্রচারণা, গণসংযোগ।
কিছুদিন আগেই নির্বাচনী ইশতেহারও ঘোষণা করেছে তারা। এবারের নির্বাচন সকল ক্ষেত্রেই অনেক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের তারকাদের অংশগ্রহণ একে একদিকে যেমন ক্রীড়াক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ করেছে তেমনই অনেক চমকও সৃষ্টি করেছে সাধারণ মানুষের মনে।
খেলাধুলা বিশেষত ক্রিকেট-ফুটবল সব সময় বাংলাদেশে একটা ভিন্ন আবহ তৈরি করে রাখে। আর তাই বোধ হয় ‘ক্রিকেট-পাগল জাতি’র মতো বিভিন্ন নামে এদেশের মানুষকে অভিহিত করা হয়। এবং ফি-দিন খেলার প্রতি এই টান আরও বেড়েই চলেছে। সাধারণ মানুষের মাঝে এই ক্রীড়া প্রেম রাজনৈতিক মহলেও সাড়া ফেলেছে। আর তাই ক্রীড়া নিয়ে তাদের বিশেষ চিন্তা থাকে। বাজেটের একটা বড় অংশ ব্যয় হয় ‘ইয়ুথ এন্ড স্পোর্টস ডেভেলপমেন্টে’।
তবে নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহারে রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষত শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক দুই দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) তাদের ইশতেহারে ক্রীড়াঙ্গনবিষয়ক খুব অল্প কথাই বলেছে।
আওয়ামী লীগ ক্রীড়াঙ্গন বিশষত ক্রিকেট নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য অর্জনের কথা বললেও বিএনপির ইশতেহারে এই ক্ষেত্রে করা প্রতিশ্রুতি রয়ে গেছে অস্পষ্ট।
১৮ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে নিজ দলের ইশতেহার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। বিগত দুই বছরে ক্রীড়াঙ্গনের উন্নতির দিকে দৃষ্টিপাত করে নতুন করে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। আওয়ামী লীগের ইশতেহারে বলা হয়েছেঃ
১. ক্রিকেটে বাংলাদেশের গৌরব জাগানো অবস্থান আরো সুদৃঢ় করার সাথে সাথে ফুটবল, হকিসহ অন্যান্য খেলাগুলোর আন্তর্জাতিক মান তৈরিতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে,
২. ক্রীড়া ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ সুবিধা সম্প্রসারণে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং
৩. প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে খেলাধুলা ও শরীর চর্চাকে শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
একই দিনে নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে বিএনপি। বিএনপির পক্ষে নির্বাচনী ইশতেহার পাঠ করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাদের ইশতেহারে ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা না থাকলেও সার্বিকভাবে ক্রীড়াঙ্গনে উন্নয়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিএনপির ইশতেহারে ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে বলা হয়ঃ
১. আগামী ৫ বছরের মধ্যে খেলাধুলার কয়েকটি ক্ষেত্রে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ যাতে একটি গ্রহণযোগ্য স্থান করে নিতে পারে সে লক্ষ্যে পরিকল্পিত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এবং
২. খেলাধুলায় আন্তর্জাতিক মান অর্জনের জন্য প্রতি জেলায় একটি করে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ক্রীড়া একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
বাংলা ইনসাইডার/ডিএম/এমআর
মন্তব্য করুন
সব যুগেরই অবসান আছে, সব ভালোরই শেষ আছে। তা হোক রাজনীতিতে বা ক্রিয়াঙ্গনে। ঠিক তেমনি অবসান হয়েছে লিভারপুলে ক্লপ অধ্যায়ের। অবশেষে দীর্ঘ ৯ মৌসুম পর লিভারপুল ছেড়েছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। রোববার (১৯ মে) ওলসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজের অ্যানফিল্ড অধ্যায় শেষ করে ক্লপ।
২০১৫ সালের অক্টোবরে মৌসুমের
মাঝামাঝি সময়ে লিভারপুলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। সেসময় লিভারপুলের অবস্থা
কি নাজুক ছিল তা সবারই জানা। লিগ শিরোপা জেতাতো দূরের কথা চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও জায়গা
করে নেয়া ছিল একসময়ের ঐতিহ্যবাহী দলটির স্বপ্ন। এর পর ক্লপের ৯ বছরে ইউরোপের সম্ভাব্য
সব ট্রফিই জেতে লিভারপুল।
এর আগে ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত
হওয়া ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ‘বিগ সিক্স’ এর খেতাব পাওয়া দলটির ট্রফি কেবিনেটে এক প্রকার
ধুলোর আস্তরণ পড়েগেছিল। কেননা, ৩০ বছর ধরে তারা জিততে পারেনি ইপিএল শিরোপা, ১০ বছর
আগে জিতেছিল সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এমনকি ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ফুটবল লিগ এফএ কাপের
শিরোপাও জিততে পারেনি ৯ বছর ধরে।
কিন্তু যে শহরে ‘বিটলস’ এর
জন্ম সে শহরে ‘হেভি মেটাল’এ কখনো মরচে ধরবে! তারা ফিরে আসবে বারবার ফিনিক্স পাখি হয়ে।
আর ক্লপের মতোই কেউ তাদেরকে ফেরাবে। যেমনটি ফিরেছে লিভারপুল ক্লপের জামানায়।
২০১৫ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর ক্লপ তার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন ‘I am the normal one, not the special one.’ কতটা সাধাসিধে ভাবে তিনি এ কথাটা বলেছিলেন তা ঐ সংবাদ সম্মেলনটি যারা দেখেছে তারাই জানেন। অথচ কালের বিবর্তনে সেই ‘নরমাল ওয়ান’ পরিণত হয়েছে লিভারপুলের স্পেশাল ওয়ানে। তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন রয় ইভায়নস, বিল শ্যাঙ্কলি, টম ওয়াটসনদের তালিকায়।
আরও পড়ুন: ছন্দপতন থেকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, ইপিএলের শ্রেষ্ঠত্বে সিটিজেনরাই
ইপিএলে পেপ গার্দিওয়ালা ২০১৫
সালে সিটিতে যোগ দেয়ার পর থেকেই তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ধরা হতো ইয়ুর্গেন
ক্লপকে। কারণ তার ফুটবলীয় দর্শন ছিল অনন্য। আধুনিক ফুটবলে বল দখলের লড়াই মাঠের লড়াইকে
খুব প্রভাবিত করে। আর এই বল দখলের লড়াইয়ের সবচেয়ে কঠিন ট্যাকটিস হলো ‘গেগেন প্রেসিং’।
আর ইয়ুর্গেন ক্লপের সাফল্যের মূল মন্ত্রটি ছিল এই ‘গেগেন প্রেসিং’। স্বয়ং পেপ গার্দিওয়ালার
গ্যাম প্লান, ট্যাকটিসকে ক্লপ তার ফুটবলীয় দর্শনের মধ্যে দিয়ে নাকানি-চুবানি দিয়েছেন
বহুবার। গত নয় বছরে সিটি-লিভারপুল লড়াইয়ে তা স্পষ্টই দেখা গেছে।
ক্লপ একবার সংবাদ সম্মেলনে
বলেছিলেন, ‘মেশিনের মতো দল তৈরিতে আমরা ধাপে ধাপে এগিয়েছি। আমি সবসময় সেরাদের বিপক্ষে
খেলার মতো এমন একজন কোচ হতে চেয়েছি। সবসময় নিজের সেরা একটা দল করতে চেয়েছি, তখন নিজের
সেরাটা দিতে সবসময় প্রস্তুত ছিলাম। আমি এমন এক দল চেয়েছি যাদের সঙ্গে খেলতে সবাই ভয়
পাবে।’
নিজের খেলোয়ারী জীবনে ক্লপ
ছিলেন ম্লান। মাইঞ্জের হয়ে খেলার সময়ই ক্লাবের বয়স ভিত্তিক দলের কোচ হিসেবে নিজের কোচিং
ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। এরপর ২০০১ সালে অবসরের পর দলটির মূল দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত
হন তিনি। এরপর ২০০৬-০৭ মৌসুমে তাকে অব্যাহতি দেয়া হলে পরবর্তী কয়েকদিন সিনেমার রিল
টেনে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। তারপর ২০০৮ সালে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের
কোচ হিসেবে নিয়োগ পান পান তিনি। দলটির হয়ে কোন লিগ শিরোপা না জিততে পারলেও তিনি দলকে
২০১২-১৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তুলতে সক্ষম হন। কিন্তু বিধি বাম। সেইবার
আরেক জার্মান প্রতিদ্বন্দ্বী বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হতে হয়েছিল তাকে।
এরপর ২০১৫ সালের অক্টোবরে লিভারপুলে যোগ দেন। এবং লিভারপুলের হয়ে ইউরোপের সম্ভাব্য
সকল ট্রফি জেতেন।
একনজরে লিভারপুলে ক্লপের অর্জন:
২০১৯-২০ |
প্রিমিয়ার
লিগ চ্যাম্পিয়ন, |
২০১৯-২০ |
ইউয়েফা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন |
২০১৯-২০ |
ফিফা
ক্লাব বিশ্বকাপ |
২০২১-২২ |
এফএ
কাপ চ্যাম্পিয়ন |
২০২১-২২,
২০২৩-২৪ |
ইএফএল
চ্যাম্পিয়ন |
সবশেষ একটি কথায় বলা যায়, ক্লপ
তুলনাহীন। কয়েকটি ট্রফি আর অর্জন দিয়ে তার ফুটবলের দর্শন আর ফুটবলের প্রতি ভালোবাসাকে
ছোট করাটা বোকামি। লিভারপুলের পর হয়তো তিনি অন্য কোন ক্লাবে যোগ দেবেন কিংবা নিজের
ব্যক্তিগত জীবনে ব্যস্ত হয়ে যাবেন। কিন্তু আধুনিক ফুটবলে তার গ্যাম প্ল্যান, ট্যাক্টিস
ফুটবল ভক্তদের কাছে রয়ে যাবে আজীবন। কারণ লিভারপুলকে তিনি জিততে শিখিয়েছেন, ফিনিক্স
পাখির মতো ফিরিয়েছেন। অ্যানফিল্ডের প্রতিটি ঘাস, ড্রেসিংরুম, স্টোডিয়ামের গ্যালারি
সবকিছুই তাকে স্মরণ করবে লিভারপুলকে দেয়া স্মৃতির জন্য।
ইয়ুর্গেন ক্লপ লিভারপুল ইংলিশ লিগ
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত ওপেনার লিটন কুমার দাস। অভিষেকের পর থেকে ব্যাট হাতে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে মাঠে নামলেই রানের দেখা পেতেন এই ওপেনার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে রান খরায় ভুগছেন তিনি।
চলতি বছরটাতে এখন পর্যন্ত বলার মতো কোনো ইনিংস উপহার দিতে পারেননি। সামর্থ্য বিবেচনায় স্রেফ নিজের ছায়া হয়ে আছেন তিনি। তবে বিশ্বকাপের আগেই চেনা ছন্দে ফিরতে চান এই টাইগার ওপেনার। মঙ্গলবার বিসিবির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে ‘দ্য গ্রিন রেড স্টোরি’-তে লিটনের একটি সাক্ষাৎকার শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে তিনি বলেন, নিজের প্রতিভা ও সামর্থ্য অনুযায়ী বিশ্বকাপে এখনও ভাল কিছু করতে পারেননি।
বলেই মনে করেন লিটন কুমার দাস। আগের চেয়ে তাই এবারের বিশ্বকাপে একটু হলেও উন্নতি করতে চান তিনি। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারলে বাংলাদেশ দলও বিশ্বকাপে ভালো করতে পারবে বলে বিশ্বাস তার।
এই টাইগার ওপেনার বলেন, ‘আমার (পারফরম্যান্সের) কথা বললে, ‘নট আপ টু দা মার্ক।’ আমি যে লেভেলের খেলোয়াড় বা যে পারফর্ম করা উচিত আমার, সেটা করতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জিনিসটা যদি এভাবে বলি যে, আগের দুটি বিশ্বকাপে যদি ১০০ রান না করি, এবারের বিশ্বকাপে যদি ১০১ করতে পারি, তাহলে আরো ভালো করেছি। যা করিনি, চেষ্টা করব তার থেকে ভালো কিছু করার।’
লিটনের যা সাম্প্রতিক ফর্ম, তাকে অবশ্য সেঞ্চুরির চিন্তা বহুদূর, আগে ছন্দে ফেরা জরুরি। সবশেষ ১০টি টি-২০তে তার ফিফটি নেই। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর তিন সংস্করণ মিলিয়ে টানা ২১ ইনিংসে পঞ্চাশের মুখ দেখেননি তিনি।
লিটন বলেন, ‘খারাপ সময়ে অতি বেশি চিন্তার কিছু থাকে না। কারণ, আপনি ব্যাডপ্যাচে যখন থাকেন, যত বেশি চিন্তা করবেন, যত কিছু নিয়ে ভাববেন, তত আপনার জন্য খারাপই হয়ে আসবে। আপনার কাছে একটা বিকল্পই থাকে, কতটুকু কঠোর পরিশ্রম করছেন অনুশীলনে, অনুশীলনকে কতটা গুরুত্ব দিয়ে নিচ্ছেন, সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
লিটন দাস টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সন্ন্যাস নিয়েছেন অনেক আগেই। ভক্তরা তাঁর খেলা দেখতে অপেক্ষা করেন কবে শুরু হবে আইপিএল। গত শনিবার আইপিএল থেকে চেন্নাইয়ের বিদায়ের পর এখন ধোনী ভক্তদের মনে একটাই প্রশ্ন, ধোনীকে আর দেখা যাবে তো?
শনিবার (১৮ মে) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ২৭ রানে ম্যান হারের পর অনেকেই ভেবেই নিয়েছেন, এটাই হয়তো আইপিএলে ৪২ বছর বয়সী ধোনীর শেষ ম্যাচ।
কিন্তু ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আইপিএলে এটি ধোনির শেষ ম্যাচ না–ও হতে পারে!
বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে হারের বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের ৩৫ রান দরকার থাকলেও কোয়ালিফায়ার উঠার জন্য দরকার ছিল ১৭ রান। ধোনি প্রথম বলে বিশাল ছক্কা মেরে বল হারিয়ে ফেলেছিলেন। এর পরের বলেই বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ধোনী।
বেঙ্গালুরুর উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান দিনেশ কার্তিক ম্যাচ শেষে চেন্নাইয়ের বিদায়ের কারণ হিসেবে ধোনির ছক্কাকে টেনে নিয়ে এসে বলেন, ‘সবচেয়ে বড় যে ব্যাপারটি ঘটেছে, সেটি হচ্ছে ধোনির ছক্কা মাঠের বাইরে চলে যাওয়া। ফলে আমরা নতুন একটা বল পেয়েছি, যেটা বোলিংয়ের জন্য আগেরটার চেয়ে ভালো (শুকনা)।’
যাহোক, হারের পর ধোনীর কাঁদো কাঁদো মুখ দেখে অনেকেই হয়তো ভারতীয় এই কিংবদন্তির এবার বিদায় নিবেন। তবে আইপিএল থেকে ধোনির বিদায়টা সম্ভবত এখনই নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে সূত্র বলেছে, ‘ধোনি চেন্নাইয়ের কাউকে বলেনি, তার এটাই শেষ। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সে কয়েক মাস অপেক্ষা করবে বলে জানিয়েছে ম্যানেজমেন্টকে।’
চেন্নাই আশা করছে, তাদের ঘরের মাঠে চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে আইপিএলে নিজের শেষ ম্যাচটা খেলবেন ধোনি। বয়স হয়ে গেলেও ফিটনেস এখনো বেশ ভালোই ভারতের সাবেক এই অধিনায়কের।
আগামী বছর আইপিএলের নিলামে দলগুলোকে পাঁচজন করে খেলোয়াড় ধরে রাখার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, শিবম দুবে, মাথিশা পাথিরানা ও রবীন্দ্র জাদেজাকে চেন্নাইয়ের ধরে রাখা মোটামুটি নিশ্চিত। পাঁচজনের মধ্যে শেষ খেলোয়াড়টি ধোনির হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
ধোনী আইপিএল চেন্নাই সুপার কিংস
মন্তব্য করুন
আগামী ২১ জুন
থেকে শুরু হতে যাচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই কোপা আমেরিকা। এটিকে রেখে
ইতোমধ্যে দল ঘোষণা করেছে ব্রাজির ও মেক্সিকো। এবার প্রাথমিক দল ঘোষণা করলো আর্জেন্টিনাও।
কোপার আগে ইকুয়েডর
ও গুয়েতালারর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তাই এই দুই প্রীতি
ম্যাচ ও ২১ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া কোপা আমেরিকার জন্য ২৯ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা
করেছেন লিওনেল স্কালোনি। ধারণা করা হচ্ছে, দুই প্রীতি ম্যাচের পর প্রাথমিক দল থেকে
তিন জনকে বাদ দিয়ে কোপার চূড়ান্ত দল করবে আলবিসেলেস্তরা।
সোমবার (২০ মে)
আলবিসেলেস্তে কোচ লিওনেল স্কালোনি এই দল ঘোষণা করেন। তার দলে আছেন অভিজ্ঞ লিওনেল মেসি, ডি মারিয়া, নিকোলাস ওটামেন্ডিরা।
ঘোষিত দলে গোলরক্ষক হিসেবে রয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তার সঙ্গী হিসেবে
আছেন ফ্রাঙ্কো আরমানি ও জেরোমিনো রুল্লি।
রক্ষণভাগ সামলানোর
দায়িত্ব পড়েছে তরুণ বার্কোর ও বেলার্ডির উপর। সাথে রয়েছে, গঞ্জালো মন্টিয়েল, নাহুয়েল মোলিনা, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওতামেন্দির মতো অভিজ্ঞরা।
মিডফিল্ডে গুইদো রদ্রিগেজ, জিওভন্নি লো চেলসো এবং এক্সিকিয়েল প্যালাসিওস জায়গা পেয়েছেন। এছাড়াও বড় চমক হিসেবে ঘোষিত দলে জায়গা পেয়েছেন ১৯ বছরের তরুণ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ভ্যালেন্টিন কারবোনি।
আক্রমণভাগে অভিজ্ঞদের
প্রতিই আস্থা রেখেছে আর্জেন্টাইন বস। আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির সঙ্গে অভিজ্ঞ ডি মারিয়া রয়েছেন দলে। এছাড়া আলেজান্দ্রো গার্নাচো, নিকোলাস গঞ্জালেস, লওতারো মার্টিনেজ, হুয়ান আলভারেজরা প্রতিপক্ষকে নাকানি-চুবানি
খাওয়াতে পটু।
তবে আটালান্টায় দারুণ পারফরম্যান্স করা হুয়ান মুসো ও পাওলো দিবালার জায়গা হয়নি ২৯ সদস্যের দলে।
আর্জেন্টিনার স্কোয়াড:
ফ্রাঙ্কো আরমানি, জেরোনিমো রুলি, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, গঞ্জালো মন্টিয়েল, নাহুয়েল মোলিনা, লিওনার্দো বালের্দি, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, জের্মান পেজ্জেলা, লুকাস কুয়ার্তা, নিকোলাস ওতামেন্দি, লিসান্দ্রো মার্টিনেজ, মার্কোস অ্যাকুনা, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, ভ্যালেন্তিন বার্কো, গিদো রদ্রিগেজ, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, রদ্রিগো ডি পল, এক্সিকুয়েল প্যারাসিওস, এনজো ফার্নান্দেজ, জিওভানি লো সেলসো, আনহেল ডি মারিয়া, ভ্যালেন্তিন কার্বোনি, লিওনেল মেসি, আনহেল কোরেয়া, আলেহান্দ্রো গার্নাচো, নিকোলাস গঞ্জালেজ, লাউতারো মার্টিনেজ ও হুলিয়ান আলভারেজ।
তবে আটালান্টায় দারুণ পারফরম্যান্স করা হুয়ান মুসো ও পাওলো দিবালার জায়গা হয়নি ২৯ সদস্যের দলে।
মন্তব্য করুন
প্রায় শেষ মুহুর্তে এসে পৌঁছেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসর। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই আর রানবন্যার মধ্য দিয়ে শেষের যুদ্ধটা যেন আরও বেশি জমে উঠেছে আইপিএলের এবারের আসরে। যেখানে একে অপরকে রীতিমতো টেক্কা দিচ্ছে প্লে-অফে ওঠা চার দল।
আইপিএলে এবারের আসরের প্রথম রাউন্ড ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। সেমিফাইনাল, এলিমিনেটর ও ফাইনালসহ সব মিলিয়ে আর মাত্র ৪ ম্যাচ। এরপরই জানা যাবে ১৭তম আসরের চ্যাম্পিয়নের নাম। ইতোমধ্যেই সেরা চারের লড়াইয়ের টিকিট নিশ্চিত করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাজস্থান রয়্যালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আর গত শনিবার পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে শেষ দল হিসেবে প্লে-অফের টিকিট পেয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
এবার সবার আগে ১৩ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করে কলকাতা। আর ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে ব্যাঙ্গালুরু। তবে আসরজুড়ে দীর্ঘদিন ধরে তিন-চারে ঘুরতে থাকা হায়দরাবাদ শীর্ষ দুইয়ে থেকে গ্রুপপর্ব শেষ করে । ফলে ফাইনালে খেলতে অন্তত দুটি সুযোগ পাচ্ছে তারা।
এদিকে টানা হার আর বৃষ্টিতে কপাল পুড়েছে রাজস্থানের। গুয়াহাটিতে রাজস্থান-কলকাতার গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয় ম্যাচ। এতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে দুদল। ফলে পয়েন্ট শীর্ষে থেকে গ্রুপপর্ব শেষ করে কলকাতা। এতে প্লে অফের প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে কলকাতা-হায়দরাবাদ।
২১ মে আহমেদাবাদে হবে প্রথম কোয়ারিফায়ার। জয়ী দল সরাসরি জায়গা পাবে ফাইনালে। ২৬ মের ফাইনালে লড়তে দ্বিতীয় কোয়ারিফায়ারের জয়ী দলের অপেক্ষায় থাকতে হবে তাদের।
আর এলিমিনেটর ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে খেলবে আইপিএলের চলতি আসর দুর্দান্ত শুরু করা রাজস্থান। আহমেদাবাদে ২২ মে হবে ম্যাচটি।
রাজস্থান এবারে শুরু থেকেই ছন্দে ছিল। টানা ৯ ম্যাচের ৮টিতেই জিতেছিল তারা। তবে হঠাৎই ছন্দপতন হয় তাদের। টানা চার হারে পয়েন্ট টেবিলের তিন নেমে গেছে সাঞ্জু সামসনের দল। আর অন্যদিকে শেষ ৬ ম্যাচ জিতে অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে প্লে-অফে জায়গা করে নেয় বেঙ্গালুরু। এ ম্যাচের জয়ী দল ও প্রথম কোয়ারিফায়ারের পরাজিত দল খেলবে দ্বিতীয় কোয়ারিফায়ারে। ২৪ মে চেন্নাইয়ে হবে এ ম্যাচ। এরপর ২৬ মে হবে চেন্নাইয়ে আইপিএলের ১৭তম আসরের ফাইনাল।
এবার প্লে-অফ নিশ্চিত হওয়ার পরপরই প্রশ্ন উঠেছে কার হাতে উঠতে যাচ্ছে শিরোপা। শেষ চারে এবার যেমন রয়েছে দুইবারের শিরোপা জেতা দল কলকাতা, ঠিক তেমনই রয়েছে প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন রাজস্থানও। শুধু তাই নয়, হায়দরাবাদেরও রয়েছে একটি শিরোপা। তবে এক্ষেত্রে একমাত্র ব্যতিক্রম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ১৬টি আসর ইতোমধ্যে পার হলেও তাদের ঘরে যায়নি একটি শিরোপাও। আর তাই এবার সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা আইপিএলে কোহলির এবং বেঙ্গালুরু উভয়েরই শিরোপা খরা কাটুক এবার।
এ বিষয়ে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার হরভজন সিং বলেন, এবার ফাইনালে কেকেআরের বিরুদ্ধে খেলবে বিরাট কোহলির ব্যাঙ্গালুরু। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এ কথা বলেন ভারতের হয়ে ২০০৭ সালে টি-২০ ও ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার।
তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছে কলকাতা ও ব্যাঙ্গালুরু ফাইনাল খেলবে। সেটা হলে আবার কোহলি ও গৌতম গম্ভীর মুখোমুখি হবে। ব্যাঙ্গালুরু চ্যাম্পিয়নও হতে পারে। তবে তার জন্য ওদের খুব পরিশ্রম করতে হবে। যদি একই রকম এনার্জি নিয়ে ওরা খেলে তা হলে বিরাটদের আটকানো খুব কঠিন হবে।
কলকাতা ও ব্যাঙ্গালুরু ছাড়া প্লে অফের বাকি দু’টি দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রাজস্থান রয়্যালস। হায়দরাবাদ দ্বিতীয় ও রাজস্থান তৃতীয় স্থানে থেকে লিগ পর্ব শেষ করেছে।
প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলবে কলকাতা ও হায়দরাবাদ। যারা জিতবে, তারা উঠবেন ফাইনালে। অবশ্য হারলেও আরো একটি সুযোগ পাবে পরাজিত দল। কিন্তু ব্যাঙ্গালুরুকে ফাইনালে উঠতে হলে দু’টি ম্যাচ জিততে হবে। তাই কোহলিদের লড়াই বেশি কঠিন।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেন এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচ রিকি পন্টিং মনে করেন, এবার আইপিএল জিততে হলে লাগবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। সাধারণত বড় টুর্নামেন্টে ব্যবধান গড়ে দেয় বোলিং। রক্ষণাত্মক বোলিং করতে পারা দলই সাধারণত শেষ পর্যন্ত শিরোপা জেতে। কিন্তু এবার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে পারা দলের হাতেই শিরোপা দেখছেন পন্টিং। রানবন্যা দেখেই এমনটা মনে হচ্ছে সাবেক এই অজি অধিনায়কের।
মন্তব্য করুন
প্রায় শেষ মুহুর্তে এসে পৌঁছেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসর। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই আর রানবন্যার মধ্য দিয়ে শেষের যুদ্ধটা যেন আরও বেশি জমে উঠেছে আইপিএলের এবারের আসরে। যেখানে একে অপরকে রীতিমতো টেক্কা দিচ্ছে প্লে-অফে ওঠা চার দল। আইপিএলে এবারের আসরের প্রথম রাউন্ড ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। সেমিফাইনাল, এলিমিনেটর ও ফাইনালসহ সব মিলিয়ে আর মাত্র ৪ ম্যাচ। এরপরই জানা যাবে ১৭তম আসরের চ্যাম্পিয়নের নাম। ইতোমধ্যেই সেরা চারের লড়াইয়ের টিকিট নিশ্চিত করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাজস্থান রয়্যালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আর গত শনিবার পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে শেষ দল হিসেবে প্লে-অফের টিকিট পেয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।