নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৫ এএম, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
খুলনা বিভাগের দুই জেলা চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ। এই দুই জেলায় নির্বাচনী আসন মোট ৬টি। চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট ভোটার ৮ লাখ ৫২ হাজার ৭৫৭। এর মধ্যে নারী ভোটার ৪ লাখ ২৭ হাজার ১৫০ এবং পুরুষ ভোটার ৪ লাখ ২৫ হাজার ৬০৭। অন্যদিকে ঝিনাইদহ জেলায় ভোটার সংখ্যা ১৩ লাখ ৪২ হাজার ২৭৮। এর মধ্যে নারী ভোটার ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৬৭৩ এবং পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬০৫। বাংলা ইনসাইডার প্রেডিক্ট করছে এখানে ধানের শীষ ৬টি আসনে জিতবে। অন্যদিকে নৌকা এখানে জয়হীন থাকবে বলেই মনে করছি আমরা।
চুয়াডাঙ্গা-১ (আলমডাঙ্গা এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার অংশবিশেষ)
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে মূল দুই প্রার্থী আওয়ামী লীগের সোলায়মান হক জোয়ার্দার সেলুন এবং বিএনপির শরীফুজ্জামান। এই আসনে বিএনপির প্রভাব তুলনামূলকভাবে বেশি। অন্যদিকে সোলায়মান হক গত দুই মেয়াদে এই এলাকার সাংসদের দায়িত্বে থাকলেও এলাকায় তিনি নিজের পক্ষে সমর্থন বাড়াতে পারেননি। এ কারণে এখানে ধানের শীষ জয়ী হবে বলে প্রেডিক্ট করছি আমরা।
চুয়াডাঙ্গা-২ (দামুড়হুদা, জীবননগর এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার অংশবিশেষ)
এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলী আজগর। অন্যদিকে ধানের শীষ প্রতীকে লড়ছেন মাহমুদ হাসান খান। এই আসনেও বিএনপির জনসমর্থন বেশি। এ কারণে এখানে ধানের শীষের জয় হবে বলে প্রেডিক্ট করছি আমরা।
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা উপজেলা)
ঝিনাইদহ জেলায় ত্রিমুখী লড়াই হবে। এই আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল হাই, বিএনপির কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান আসাদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এম রায়হান উদ্দিন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তবে এখানে ধানের শীষের জয় হবে বলে মনে করছি আমরা। কারণ এই এলাকায় ঐতিহাসিকভাবেই বিএনপি এগিয়ে।
ঝিনাইদহ-২ (হরিণাকুন্ডু এবং ঝিনাইদহ সদর উপজেলার অংশবিশেষ)
ঝিনাইদহ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাহজীব আলম। আর ধানের শীষের হয়ে লড়ছেন আবদুল মজিদ। তাহজীব আলম ২০১৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয় পেয়েছিলেন। তবে গত পাঁচ বছরে তিনি নিজের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে পারেননি। অন্যদিকে এখানে বিএনপি সবসময়ই শক্তিশালী। একারণে এই আসনে ধানের শীষ জয় পাবে বলে মনে করছি আমরা।
ঝিনাইদহ-৩(কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলা)
এখানে আওয়ামী লীগের শফিকুল আজম খানের বিরুদ্ধে লড়ছেন জামায়াতের মতিয়ার রহমান। এই আসনে ২০০৮ সালের আগে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী কখনোই জয় পাননি। শফিকুল আজম খান ২০০৮ সালে এখান থেকে জয় পান। এরপর ২০১৪ তে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের অধ্যক্ষ নবী নেওয়াজ। তবে এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রভাব কম। এটি বিএনপি-জামায়াতের ঘাঁটি হওয়ায় এখান থেকে ধানের শীষই জয় পাবে বলে মনে করছি আমরা।
ঝিনাইদহ-৪ (কালিগঞ্জ এবং ঝিনাইদহ সদর উপজেলা অংশবিশেষ)
ঝিনাইদহ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল আজিমের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাইফুল ইসলাম। আমাদের প্রেডিকশন হলো এই আসনেও ধানের শীষ জিতবে। কারণ গত ১০ বছর এই আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে থাকলেও এটি মূলত বিএনপির ঘাঁটি। গত পাঁচ বছর আনোয়ারুল আজিম ক্ষমতায় থেকেও এলাকায় নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে তেমন কোনো কাজ করেননি। এ কারণে এই আসনে ধানের শীষ জিতবে বলে প্রেডিক্ট করছি আমরা।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।