নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাত্র বাকি কয়েক ঘণ্টা। নির্বাচনের আগে ঢাকাস্থ বিদেশী কূটনীতিকরা আওয়ামী লীগেরই বিজয়ের পুর্বাভাস করছে। যদিও মার্কিন দূতাবাস আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করেছে, কিন্তু ওয়াশিংটনে পাঠানো বার্তায় মার্কিন দূতাবাস ‘ক্ষমতার পালা বদলের কোন সম্ভাবনা দেখছে না।’ মার্কিন দূতাবাস অবশ্য তার প্রতিবেদনে এটাকে ‘নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন’ হিসেবে দেখছে। মার্কিন দূতাবাস মনে করছে, বিরোধী দলের বক্তব্য ঠিকমতো জনগণের কাছে পৌঁছতে দেওয়া হয়নি। মার্কিন দূতাবাস তার প্রতিবেদনে বলেছে, ‘জনগণ আওয়ামী লীগকে আরেকবার রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে।’
মার্কিন দূতাবাসের মত ভারতও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগেরই বিজয় দেখছে। তবে তাঁরা এই নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন বলতে রাজী নয়। ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে তৈরি করা বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্ব, নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারণেই আওয়ামী লীগের বিজয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।’ ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আওয়ামী লীগের ব্যাপারে নেতিবাচক কিছু বিষয় তুলে ধরা ছাড়া বিরোধী পক্ষ নির্বাচনে জনগনকে নতুন কিছুই শোনাতে পারেনি।’ বিরোধী দলের পক্ষ থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হয়েছে, যেগুলো জনগনের কাছে নতুন নয় বলেও ভারতের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকে তারা এ সব করে বলেই জনগন মনে করে।’ ভারতীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনার বিকল্প কে?’ এই প্রশ্নের উত্তর বিরোধীপক্ষ দিতে পারেনি। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা শেখ হাসিনা। মূলত তার কারণেই জনগন আবার আওয়ামী লীগকেই চাইছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নও বাংলাদেশের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের পূর্বাভাস করেছে। নির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এই নির্বাচনের কেবল একটি ফলাফল হতে পারে তা হলো আওয়ামী লীগের বিজয়। এই নির্বাচনে অন্যকোন ফলাফলের অবকাশ নেই বলেও মন্তব্য করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইইউ মনে করে বাংলাদেশের জনগনের জীবন মানের উন্নয়ন, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বিভিন্ন কারণে এই ধারাবাহিকতা ‘মন্দের ভালো’। জনগনও তাদের এগিয়ে যাওয়া জীবন থেকে অনিশ্চয়তায় ঝাপ দিতে চায়নি। ইইউ মনে করে, নতুন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে যেন মানবাধিকার, ভিন্নমত লালনসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উন্নতি করে তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংলাপ প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।