নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৮ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোট গননায় যেটা কাঙ্ক্ষিত ছিল সেটাই হয়েছে। এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিজয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনে যে আওয়ামী লীগের জয় হবে, এ নিয়ে সম্ভবত কারোরই কোন সন্দেহ ছিলো না। বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভোট বিপ্লবের প্রত্যাশা ছিল স্রেফ কর্মীদের সাহস দেয়ার এক কৌশল মাত্র। বিএনপি নেতারাও ভালো করেই জানতেন, এই নির্বাচনে তাদের জয়ের কোন সম্ভাবনা নেই। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠন গুছিয়ে একটি গনতান্ত্রিক রীতির মধ্যেই দল পরিচালনার লক্ষ্য নিয়েই বিএনপি নির্বাচন করেছে। জয়-পরাজয়ের চেয়েও বড় কথা হলো, এই নির্বাচন আওয়ামী লীগকে এক কঠিন পরীক্ষা, দায়িত্ব এবং চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে। দেশের প্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলো। এটা একটি রাজনৈতিক দলের অনন্য অর্জন, ঈর্ষানীয় সাফল্য।
নির্বাচনে জয়ের মধ্যে শেখ হাসিনা টানা তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ এদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দল। জাতীর পিতার নেতৃত্বে বাঙ্গালীর মুক্তির সংগ্রামের পথ প্রদর্শক আওয়ামী লীগ। তাই এই দলটির কাছে জনগনের প্রত্যাশা এমনিতেই অনেক বেশি ছিলো সব সময়। অন্য রাজনৈতিক দল যেটা করলে স্বাভাবিক, ছোট ভুল মনে হয় সেটি আওয়ামী লীগ করলে রি রি পড়ে যায়। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি, জনবিচ্ছিন্ন এক শ্রেনীর সুশীল গোষ্ঠী সারাজীবনই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। এই নির্বাচনে জয়ের পর আওয়ামী লীগকে আতশী কাঁচের নীচে ফেলা হবে। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তার দোষগুলো খোঁজা হবে। সবার প্রথমে যেটি করা হবে, তা হলো ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হবে। শুধু বিএনপি কিংবা ঐক্যফ্রন্ট নয়, কিছু গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজ নির্বাচনের স্বচ্ছ্বতা, ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। এটাকে একটা ইস্যু বানিয়ে আন্দোলনের চেষ্টা করবে। সেই চেষ্টা মোকাবেলা করাই হবে আওয়ামী লীগের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকা একটি দলের নেতাকর্মীর মধ্যে অহংকার, আত্মস্তম্ভিতা পেয়ে বসতে পারে। কেউ কেউ জনগনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে পারেন। অনেকেই মনে করতে পারেন ক্ষমতা মানে সব কিছু আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে। এই মানুসিকতা যেন কোনভাবেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। নেতা-কর্মীদের উদ্যত আচরণ আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিগত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ যেমন অনেক ভালো কাজ করেছে তেমনি অনেকগুলো বিষয়ে সমালোচিত হয়েছে। তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারকে অবশ্যই এই সমালোচনার ইস্যুগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ব্যাংকিং খাতের অনিয়মগুলো দূর করতে হবে, গুম, খুনের অভিযোগগুলোর ব্যাপারে সহিষ্ণুতার নীতি নিতে হবে। আওয়ামী লীগকে দুর্নীতি বন্ধে কঠোর হতে হবে। এমনকি নিজের দলের কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগকে সুশাসনের একটা নজির সৃষ্টি করতে হবে। যে সুযোগ জনগণ তাদের দিয়েছে।
সবচেয়ে বড় কথা হলো, গত দশ বছরে বাংলাদেশে যে উন্নয়নের ধারা সূচনা হয়েছে তা এগিয়ে নিতে হবে। একটা বিষয় মনে রাখতে হবে পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পসহ মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ আগামী পাঁচ বছরে যদি সম্পূর্ণ হয় তাহলে দেশ যেমন বহুদূর এগোবে তেমনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটি এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছবে।
তাই এই বিজয়ের উচ্ছ্বাসে গা ভাসাবার সময় আওয়ামী লীগের নেই। আওয়ামী লীগের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ আর একটি কঠিন পরীক্ষা। যে পরীক্ষায় জয়ের বিকল্প কিছুই নেই।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ১৭ মে দেশের বিভিন্ন এতিমখানায় খাবার বিতরণ
করবে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি।
বুধবার (১৫ মে) আওয়ামী লীগের ত্রাণ
ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি
ঘোষণা করা হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার
(১৬ মে) দুপুর ১টায় তেজগাঁও ‘রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানা’য় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে
সুষম খাবার বিতরণ করা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এছাড়াও এদিন রাজধানী ঢাকায় আজিমপুর
সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা, মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোডস্থ এতিমখানা, সোবহানবাগ মসজিদ
সংলগ্ন এতিমখানা, বাড্ডা বেরাইদ রহিম উল্লাহ এতিমখানায় এতিম অসহায়দের মাঝে খাবার সামগ্রী
বিতরণ করা হবে।
একই সঙ্গে সিলেট হযরত শাহজালালের (র.)
মাজার সংলগ্ন এতিমখানা এবং চট্টগ্রাম হযরত শাহ আমানতের (রহ) মাজার সংলগ্ন এতিমখানা
ও গরীব উল্লাহ শাহের (রহ) মাজার সংলগ্ন এতিমখানাতেও খাবার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত
হবে।
এছাড়াও ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির
সদস্যদের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে অবস্থিত এতিমখানাগুলোতে সুষম খাবার পরিবেশন
করা হবে।
পরের দিন শনিবার দুপুর ১টায় চট্টগ্রামের
কদম মোবারক এতিমখানায় সুষম খাবার বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে
উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এতিমখানা আওয়ামী লীগ উপ-কমিটি
মন্তব্য করুন
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ২৯ মে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৫২ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী
তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে ১৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ২৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান
প্রার্থী ও ৯ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। গতকাল বুধবার বিএনপির পাঠানো এক সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, রংপুর বিভাগের ১২ জন, রাজশাহী বিভাগের চারজন, বরিশাল বিভাগের পাঁচজন, ঢাকা বিভাগের চারজন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৯ জন, সিলেট বিভাগের সাতজন, চট্টগ্রাম বিভাগের একজন, কুমিল্লা বিভাগের ছয়জন ও খুলনা বিভাগের চারজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডোনাল্ড লু বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চীন সফর ভারত যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, দলের ভেতর সুবিধাবাদী, লুটেরা এবং দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না। কিন্তু ২৩ জুনের পর আওয়ামী লীগের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ক্র্যাকডাউন হবে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং দলের সুনাম নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি অনুসরণ করবে। আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগ এবং তার আদর্শিক জোট ১৪ দলের নেতাদের চীন সফরে হিড়িক পড়েছে। আওয়ামী লীগ এবং তার সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর এই চীন সফরকে ঘিরে কূটনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানামুখী আলাপ আলোচনা। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই ১৪ দল এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের চীন সফরের ব্যাপারে দৃষ্টি রাখছেন। তবে তারা এই বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হচ্ছেন না। বিষয়টি তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় হিসেবেই মনে করছেন।