নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে শুরু থেকেই বিএনপিতে দ্বন্দ্ব ছিল। এখন নির্বাচনে ভরাডুবির পর এই দ্বন্দ্ব ভাঙনের দিকেই নিয়ে যেতে পারে বিএনপিকে। নির্বাচনের এই ফলাফলের কারণে বলির পাঠা হতে পারেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মূলত ২৫ ডিসেম্বরের পর থেকেই বিএনপির মধ্যে নির্বাচন বর্জনের দাবি জোরালো হয়। দলের সিংহভাগ শীর্ষ নেতাই ছিলেন, নির্বাচন থেকে সরে এসে থাকার অবস্থান গ্রহণের পক্ষে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদসহ অধিকাংশই নেতা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার জন্য প্রথমে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলেন। এরপর তারা লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, নির্বাচন বর্জনের ব্যাপারে তারেক দলের মহাসচিব এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন। এরা দুজনেই নির্বাচন বর্জন না করে শেষ পর্যন্ত ভোটে থাকার পক্ষে মত দেন।
ড. কামাল হোসেন তারেক জিয়াকে আশ্বস্ত করেন যে, ৩০ ডিসেম্বর দেশে ভোট বিপ্লব হবে। এ নিয়ে দলের ভিতর মির্জা ফখরুলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ২৯ ডিসেম্বর চূড়ান্ত রূপ নেয়। বিএনপিতে মির্জা ফখরুলের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, ‘তারা আশা করেছিলেন, নির্বাচনে একটা সম্মানজনক ফলাফলের পর বিএনপি সাংগঠনিকভাবে নিজেদের গোছাবে। কিন্তু ভোটের দিন, বিএনপি মহাসচিবকে না জানিয়েই, দলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করেই জামাতসহ বিএনপির অন্তত ৪৪ জন ভোট বর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও, বিএনপির শতাধিক প্রার্থী ভোটের মাঠ থেকে নীরবে কর্মীদের সরিয়ে নেয়।’
একটি সূত্র জানাচ্ছে, মির্জা ফখরুলকে বেকায়দায় ফেলতে তাকে না জানিয়েই লন্ডন থেকে তারেক জিয়া বিভিন্ন প্রার্থীকে টেলিফোন করে নির্বাচনী কার্যক্রম গুছিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। তাই ভোটের দিন দুপুর ১২টার পর অধিকাংশ আসনেই বিএনপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যায়। বিএনপির মহাসচিব বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন এই নীরব বর্জনের কথা কিছুই জানতেন না। বিএনপি যেন বিরোধী দলে না বসতে পারে এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যেন বিরোধী দলের নেতা না হতে পারেন। সেজন্যই এটা তারেক জিয়া করেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
গত কিছুদিন ধরেই তারেক জিয়াকে ছাপিয়ে মির্জা ফখরুল বেশি গ্রহণযোগ্য নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তারেক জিয়া মনে করেছেন, বিএনপি যদি ৭০/৮০ আসন পেয়েও বিরোধী দল হয়। তাহলে মির্জা ফখরুল জিয়া পরিবারকে মাইনাস করবে। তাই তারেক জিয়া ভোটে এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেন। যাতে বিএনপি কিছুতেই সংসদে যেতে পারবে না। এরফলে বিএনপিতে মির্জা ফখরুল কোনঠাসা হয়ে পড়বেন। আর আবার প্রতিষ্ঠিত হবে তারেক জিয়ার রাজত্ব। তাহলে কি বলতেই হচ্ছে বিদায় ফখরুল?
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ফখরুলের বিদায় মুহূর্তই হয়তো তৈরী করলো।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে/এমআর
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।