নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
নির্বাচনে টানা তৃতীয় বিজয়ের পরদিন অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের সরকার এবং রাষ্ট্রপ্রধান টেলিফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাকে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি এবং কর্তকর্তারাও গণভবনে গিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। বোন শেখ রেহানা এবং কন্যা সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে নিশ্চয়ই এ বিজয় উপভোগ করছেন টানা তিনবারের বিজয়ী শেখ হাসিনা। সন্দেহ নেই এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যাক্তি তিনিই। কিন্তু আনন্দের আতিশায্যে গা ভাসাতে চাননা তিনি। এখনই শুরু করেছেন নতুন সরকার গঠনের কাজ। রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কেমন হবে শেখ হাসিনার নতুন সরকার।
শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠরা বলছেন, বর্তমান মন্ত্রিসভা যে থাকবে না। এটা মোটামুটি নিশ্চিত। টানা তৃতীয় মেয়াদে শেখ হাসিনা সম্ভবত তার মন্ত্রিসভায় বড় পরিবর্তন আনবেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের বিপুল বিজয়ের পর সরকার গঠনে শেখ হাসিনা সবাইকে চমকে দেন। আনকোড়া নতুনদের নিয়ে গঠন করেন মন্ত্রিসভা। ওই মন্ত্রিসভা নিয়ে অনেক কথা উঠেছিল। এমনকি আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা যারা মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছিলেন। তারাও মন্ত্রিসভাকে কচি কাঁচার আসর বলেছিলেন। ছিয়ানব্বই সালের আওয়ামী লীগ সরকারের বেগম মতিয়া চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছাড়া কেউই ২০০৮ সালের মন্ত্রিসভায় সুযোগ পাননি। আবার ২০১৩ সালে এসে নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় তিনি আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদের মত হেভিওয়েটদের ফিরিয়ে আনেন। শরিকদের মধ্য থেকে আনেন রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনুর মত বড় নেতাদের। ২০১৪ সালের মন্ত্রিসভায় তিনি ২০০৮ সালের অধিকাংশ মন্ত্রীদের বাদ দেন। ড. দীপুমনি, হাসান মাহমুদ, ব্যারিষ্টার শফিক আহমেদ, জাহাঙ্গীর কবির নানকরা বাদ পড়েন মন্ত্রিসভা থেকে। গত মেয়াদে এদের বারবার মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে আনার গুঞ্জন শোনা গেলেও পাঁচ বছরে মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল হয়নি খুব একটা। এবার কেমন হবে?
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, ২০১৪ সালের মন্ত্রিসভায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তারা বাদ পড়তে পারেন নতুন মন্ত্রিসভা থেকে। মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারেন নতুন মুখ এবং তরুনরা। দলের ক্লিন ইমেজের নেতাদের তিনি ভেড়াতে পারেন নতুন মন্ত্রিসভায়। আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, নতুন মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হবেন অর্থমন্ত্রী। বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবার আর মন্ত্রী থাকছেন না। অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার চাকাকে এগিয়ে নিতে নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা কার উপর আস্থা রাখেন সেটা দেখার বিষয়। দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগ সভাপতি দল এবং সরকারকে আলাদা করার বঙ্গবন্ধুর নীতি অনুসরনের লক্ষ্যে কাজ করছেন। এবার সেক্ষেত্রে হয়তো আরেকধাপ এগুবেন তিনি। ধারণা করা যায়, একঝাক নতুন মুখ আর অভিজ্ঞদের মিশেলে হবে শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভা। যেটা হয়তো শপথ নিবে আগামী সপ্তাহে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।