ইনসাইড পলিটিক্স

তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললেই সরকারের সর্বনাশ  

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০২ জানুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

বর্তমান সরকারের কাছে বাংলাদেশের সাধারন মানুষের প্রত্যাশার পারদ ১০৫ ডিগ্রী ছুঁই ছুঁই। অন্যদিকে বাংলাদেশের দুই একটা পত্রিকা আবার দেশকে ১৯৭১ পূর্ববর্তী সময়ের শেকলে বাঁধার পাঁয়তারা করছে। অপ্টিক্যাল ফাইবারের ঠিকাদারী না পেয়ে যে পত্রিকা গ্রুপ জাপান সরকারের সঙ্গে কলম যুদ্ধে নেমেছিল তারা জাপানের প্রশংসা করছে, আর বলছে জাপান এই সরকারের প্রতি কতটুকু অখুশি। পৃথ্বী জুড়ে কোন কোন পত্রিকা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কতটুকু সমালোচনা করেছে তা ছেঁকে তুলে এনে নিউজ, ভিউজে হাই লাইট করছে বলতে গেলে ঘন্টায় ঘন্টায়। তাই সাবধান না হওয়ার কোন কারণ নেই, অযথা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললেই সরকারের চরম সর্বনাশ হতে পারে।    

বাংলাদেশের উন্নয়নের ছোঁয়া আর ছায়া দিতে হবে গ্রামের মানুষকে, যাদের পরোক্ষ করের টাকায় হয় দেশের তাবৎ উন্নয়ন। একারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তাঁর সরকার প্রতিটি গ্রামে শহরের সব সুযোগ সুবিধা দিতে চায়। প্রতিটি গ্রামই হবে এক-একটি উন্নত শহর, যা ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এটাকে তাঁদের নির্বাচনী ইশতেহারে এক নম্বর তালিকায় নিয়ে এসেছেন। এটা জন্য লোকাল লেভেল প্ল্যানিং বা বটম আপ প্ল্যানিং দরকার তা যেন ভুলে না যান পরিকল্পনাকারীগন সেটাই কাম্য। সারা বছর নগরীর আয়েশি জীবন যাপন করে হয়ে ওঠা গ্রাম উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ বা রুরাল ডেভলপমেন্ট এক্সপার্টদের বদলে বঙ্গবন্ধুর মত করে সত্যিকার পেশাজীবীদের দিয়েই সংশ্লিষ্ট খাতের উন্নয়নে পরিকল্পনা নিতে হবে। এমন কোথাও যেন ফ্লাড শেল্টার না হয় যা বন্যার পানিতে ডুবে যায়, গ্রাম উন্নয়নের সার্বিক কর্মকাণ্ডের ইমেজ ক্ষুন্ন না হয়। এমন বিলের মাঝ দিয়ে যেন রাস্তা না হয় যার ফলে নতুন এলাকার মানুষ জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে ক্ষুদ্র ঋণের হায়েনাদের শিকারে পরিণত না হয়। এবার খুব হিসেব করেই পা ফেলতে হবে সরকারকে।                        

সাধারণ ক্ষমায় বঙ্গবন্ধু যাদের মাফ করেন নি, আর দালাল আইনে যারা গ্রেফতার হয়ে জেলে ছিল, শাস্তি পেয়েছিল সেইসব  রাজাকার, আল বদর, আল শামস ও তাদের আওলাদদের তালিকা তৈরী করা আশু করণীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদের সাথে নানাভাবে যুক্ত হয়েছে কিছু নব্য রাজাকার। তাদের আওলাদরা দেশে আর বিদেশের মাটিতে বসে নানাভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় করছে কুৎসা রটনা। তারা সরকারের বিরোধীতার নামে করছে দেশের বিরোধিতা। এখনি এদের চহ্নিত করা জরুরী। সেটা শুরু হতে পারে আগামী উপজেলা নির্বাচনের আগে বা পরেই। এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া একটা ভাইটাল রোল প্লে করতে পারে। একই সাথে দালাল আইনে সাজাপ্রাপ্তদের আওলাদরা সরকারী চাকরিতে ঘাপ্টি মেরে থেকে নানা সময়ে সরকারের তথা দেশের উন্নয়নের পরিকল্পনা আর তার বাস্তবায়নে করছে বিরোধিতা বা তৈরী করছে নানান জটিলতা। এদের চিহ্নিত করে সরকারি চাকরী থেকে এদের অপসারণ জরুরী। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতা সংস্থায়ও তারা ঢুকে পড়েছে, সেখানে বসে তারা নানাভাবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জটিলতা তৈরী করছে পদ্মা সেতুর মত করে। সেগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া আর সরকারী চাকুরীতে রাজাকারের আওলাদদের নিয়োগ বন্ধ করার ব্যবস্থা নেয়া ফরজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।          

উন্নয়নের ট্রেনে চেপে বসা বাংলাদেশকে পিছু টেনে রাখতে চায় অনেকেই, তাদের নিজের আর গোষ্ঠী স্বার্থে। কারণ বিদ্যমান আইনে তাদের অনেকের, বিশেষ করে সরকারী চাকুরেদের ক্ষমতা অপরিসীম। রুলস অব বিজিনেস ১৯৯৬ (রিভাইজড ২০১২)আর সিচিবালয় নির্দেশিকা ২০১৪ তে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা খুব জরুরী। যাতে মন্ত্রী আর সচিবদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আসে। সচিব একাই মন্ত্রণালয়ের একাউন্টিং চীফ আবার প্রশাসনিক প্রধান। এতে সচিব হয়ে পড়েন দায়িত্ব ভারাক্রান্ত। কিছু ভার কমিয়ে কিছু ক্ষমতা মন্ত্রীদের হাতে দেওয়া দরকার। তা না হলে জনগনের চাহিদা মোতাবেক কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। জনগনের চাহিদা বুঝতে জনপ্রতিনিধির মত লাগবে, কারণ তারা জনগনের সাথে থাকেন। একইভাবে নগর সরকারের কনসেপ্ট নিয়ে আবার নতুন করে ভাববার সময় এসেছে। স্থানীয় সরকার শক্তিশালী না হলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হবে, রাজস্ব আয় বাড়ানো যাবে না, ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়েছে, পড়বে আরও বেশি।              

উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আর প্রকল্পে দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত দপ্তরের সদর দপ্তর থেকে জেলা অফিস পর্যন্ত জঞ্জাল সাফাই কাজ শুরু করা জরুরী হয়ে পড়েছে।এটা করা গেলে বছরে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ঘরে আসবে। তবে সব কাজ এক সাথে না করে একটা একটা করে শুরু করতে হবে। এই রাজস্ব বাড়লে সরকারী চাকুরেরদের সুযোগ সুবিধা আরো বাড়ানো যাবে।    

বেসরকারী চাকুরীজীবী বা ব্যবসায়ীদের দেয় ট্যাক্সের পরিমানের ভিত্তিতে তাঁদের অবসরকালীন সুবিধার রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি দিতে হবে রাষ্ট্রকেই। আর তা করা গেলে দেশের বেসরকারী খাতে এগুবে বুলেট ট্রেনের গতিতে; তখন রাষ্ট্রযন্ত্রসমুহ হবে রেগুলেটরী বডি মাত্র।   

আমাদের উজ্জ্বল আগামীর জন্য চাই এক ঝাঁক মেধাবী, সুস্থ্য তরুন তরুনী, চাই মাদক মুক্ত সমাজ। মাদকের বিরুদ্ধে জির টলারেন্স মানে শুধু ক্রস ফায়ার না, তার পাশাপাশি শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে মাদকের কূফল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মাধ্যমে সব্বাইকে সচেতন করে তোলা।    

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি বলেছিলেন যে, ভোটের সময় যেন বিএনপি থেকে আসা কাউকে ভোটের দায়িত্ব না দেওয়া হয়। জনগন আপনার কাছে থেকে আরেকটি কথাও শুনতে চান যে, বিভিন্ন দল থেকে আওয়ামী লীগে বা তার সহযোগী সংগঠনে আসারা যেন সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব না পায়। কারণ অরা সুযোগ পেলেই রণি হবে তা আপনি প্রমাণ পেয়েছেন। আওয়ামী লীগে বা তার সহযোগী সংগঠনে ঢুকে পড়া রাজাকার, চৈনিক বাম, কাওয়াদের চিহ্নিত করা খুব জরুরী হয়ে পড়েছে, তারা উপজেলা বা আগামীর ইউনিয়ন নির্বাচনে এসে নিজের চেহারা ধাকবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের গেলাপে। সামনের উপজেলা নির্বাচন থেকে তাঁদের বাদ দেওয়া খুব জরুরী হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগের জন্য।   

সব ধরণের লেনদেনে ন্যাশনাল আইডির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। রাজস্ব আহরনে বিশেষ করে ভ্যাট সংগ্রহে দুর্নীতির লাগাম টানা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলে শুধু নগর জুড়ে লক্ষ লক্ষ তরুন তরুণীর চাকরীর সংস্থান করা যায়, অবসরপ্রাপ্ত দক্ষ জনশক্তির পরামর্শ নেওয়া যায়। ব্যাংকিং খাতের অনিয়মগুলো দূর করতে অনিয়মকারী লুটেরাদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা সোশ্যাল মিডিয়াসহ নানা প্রচার মাধ্যমে প্রচার করতে হবে, ব্যাপক হারে। গুম, খুনের অভিযোগগুলোর ব্যাপারে সহিষ্ণুতার নীতি নিতে হবে, আওয়ামী লীগকে সুশাসনের একটা নজির সৃষ্টি করতে হবে।

সবচেয়ে বড় কথা হলো, গত দশ বছরে বাংলাদেশে যে উন্নয়নের ধারা সূচনা হয়েছে তা এগিয়ে নিতে হবে। একটা বিষয় মনে রাখতে হবে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পসহ মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ আগামী পাঁচ বছরে যদি সম্পূর্ণ হয় তাহলে দেশ যেমন বহুদূর এগোবে তেমনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটি এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছবে। গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মিত হলে আমাদের অর্থনীতি টাট্টু ঘড়ায় সওয়ার হয়ে ছুটবে দ্রুততার সাথে।   

এক ঝাঁক মেধাবী শিক্ষিত তরুন-তরুনী এবার এমপি হয়েছেন। সাথে আছেন অভিজ্ঞতার জারক রসে জারিত একদল ‘বয়স্ক তরুন-তরুনী’। রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাময় আনার জন্য, অপরাধ ও দুর্নীতি দমনে, মানুষের মানবিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন আইন প্রণয়নে, প্রকল্প প্রণয়নে ও বাস্তবায়নেনেদের সম্মিলিত শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। সাবধান হয়ে এগুলে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তর তর করে উপরে ওঠা শুরু শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। 

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপির লিফলেট বিতরণ: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। 

বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।

তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।                     

সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।


বিএনপি   লিফলেট   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। 

বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেছেন, দল এখন আন্দোলনে ব্যস্ত, তবে আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে সংগঠনের বিষয়টিও সম্পৃক্ত। আন্দোলন এবং সংগ্রাম একসাথেই চলবে। এই অংশ হিসেবেই আমরা দলের নেতৃত্বের পুনর্গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করছি। 

বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক জিয়া যখন বলবেন তখনই কাউন্সিল করার জন্য তাদের প্রস্তুতি আছে। তবে বিএনপির একাধিক নেতা আভাস দিয়েছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ তারা একটি সংক্ষিপ্ত কাউন্সিল করতে পারেন এবং সংক্ষিপ্ত কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব পুনর্গঠন করা হতে পারে। 

বিএনপিতে এখন নীতি নির্ধারণী সংস্থা স্থায়ী কমিটিতে পাঁচ সদস্য পদ শূন্য রয়েছে। আবার যারা স্থায়ী কমিটিতে আছেন এ রকম বেশ কয়েক জন এখন গুরুতর অসুস্থ এবং জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অনেকে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলামের মতো নেতারা এখন এতই অসুস্থ যে তারা কোন রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনের মতো অবস্থায় নেই। 

বিএনপির একজন নেতা স্বীকার করেছেন, তারা দলকে সার্ভিস দিতে পারছেন না। কিন্তু বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর বলে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, অসুস্থ অবস্থায় তাদেরকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে অমানবিক। তবে বিএনপির তরুণ নেতারা মনে করেন, এটি মোটেও অমানবিক নয়। একজন পদে থাকা ব্যক্তি যদি দায়িত্ব পালন না করতে পারেন তাহলে তাকে কোন আলঙ্কারিক পদ দিয়ে ওই শূন্যপদ পূরণ করা উচিত। বিএনপির মধ্যে একটি চাপ আছে যে, যারা মাঠের আন্দোলনে সক্রিয়, অপেক্ষাকৃত তরুণ তাদেরকে নেতৃত্বের সামনে আনা হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে তারেক জিয়া এবং বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। 

তারেক জিয়া বিএনপিতে তরুণদেরকে সামনে আনতে চান। তবে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন এ ধরনের ব্যক্তিদেরকে খালেদা জিয়া এখনই দল থেকে বাদ দিতে রাজি নন বলেই বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। এ প্রসঙ্গে বলা যায় যে, রফিকুল ইসলাম মিয়া বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বিভিন্ন সংকটে তিনি বেগম জিয়ার পাশে ছিলেন। এ কারণেই দীর্ঘদিন রোগশয্যা থাকার পরও তাকে স্থায়ী কমিটিতে রাখা হয়েছে। যদিও তারেক জিয়া তাকে স্থায়ী কমিটি থেকে সরিয়ে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে দেওয়ার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার আপত্তির কারণে তিনি সেটি করতে পারেননি। 

একইভাবে ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকারকেও স্থায়ী কমিটিতে না রাখার ব্যাপারে তারেক জিয়ার আগ্রহ আছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার অত্যন্ত আস্থাভাজন হওয়ার কারণ তারেক জিয়ার সেই চেষ্টা সফল হয়নি। আর এ কারণেই তারেক জিয়া কাউন্সিল করছেন না বলে অনেকে মনে করেন। কারণ এখন কাউন্সিল হলে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাকে সমঝোতা করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার পছন্দের অনেক ব্যক্তিকে দলের নেতৃত্ব রাখতে হবে। সেটি তারেক জিয়া চান। খালেদা জিয়ার হাত থেকে বিএনপির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিলেও এখন তারেক বিএনপিকে খালেদা জিয়ার প্রভাব মুক্ত করতে পারেনি। তাই কাউন্সিলের জন্য তার অপেক্ষা। তবে একাধিক সূত্র বলছে, দলের নেতাকর্মী মধ্যে কাউন্সিল করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য একটি বড় ধরনের চাপ আছে।


কাউন্সিল   বিএনপি   তারেক জিয়া   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বেগম খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামিনে কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

এ সময় কারাফটকে তাকে স্বাগত জানাতে শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাবিবুর রশিদ হাবিব বলেন, পুরো দেশটাকে কারাগারে পরিণত করেছে এই জালিম সরকার।

তারা শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়, দেশের জনগণের অধিকার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সবকিছুকে ধ্বংস করেছে। এই মাফিয়া আর পুতুল সরকার থেকে মুক্তি পেতে আন্দোলনের বিকল্প নাই। সেই আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান হাবিব।

উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে হাবিবুর রশীদ হাবিবকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তাকে তিন মামলায় ৬ বছর নয় মাসের সাজা দেন আদালত।

এছাড়া দুটি মামলা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও ছিলো। সব মামলায় জামিন শেষে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

হাবিবুর রশিদ হাবিব   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনের আগে ও পরে একই কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র: মঈন খান

প্রকাশ: ০৭:১৫ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র যে কথা বলেছিল, নির্বাচনের পরেও একই কথাই বলেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

শুক্রবার (১৭ মে) কারামুক্ত বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবীর বাসায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মঈন খান বলেন, সরকার যদি ভাবে মার্কিন প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে এসে কথা বলেছে আর সব সমস্যার সমাধান হয়েছে, তাহলে সরকারের ধারণা ভুল। নির্বাচনে আগে যুক্তরাষ্ট্র যে কথা বলেছিল, নির্বাচনের পরেও সেই কথা বলেছে।

তিনি বলেন, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও আটকের একমাত্র উদ্দেশ্য এ দেশের মানুষকে কথা বলতে দেবে না। মানুষকে ভিন্নমত পোষণ করতে দেওয়া হবে না। গণতন্ত্র দেওয়া হবে না। সরকার জানে সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।

এই সরকার সব অধিকার হরণ করেছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের (সরকার) কোনো ভিত্তি নেই। এদেশের ৯৭ শতাংশ জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। এ জন্য সরকার ভীতু। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

মঈন খান বলেন, সরকার এদেশের রাজনীতি অনেক আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে আর সুস্থ ধরার রাজনীতি নেই। এখন আছে পরহিংসার রাজনীতি। সংঘাতের রাজনীতি।

তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ বলে দেবে এ সরকারের পরিণতি কি হবে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্বৈরাচারী সরকারের কি পরিণতি হয়ে ছিল। এ দেশের সরকারের বেলায় যে ভিন্ন কিছু হবে এটা কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় না।

বিএনপি   ড. আব্দুল মঈন খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কেন জোট করতে চায় না বিএনপি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না। 

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে একটি বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যারা বিএনপির সঙ্গে এতদিন ছিল এবং আন্দোলন করেছে, তারা এখন নতুন করে আন্দোলনের আগে একটি লিয়াজোঁ কমিটি করতে চায়। আর আন্দোলনের লক্ষ্য এবং পথ পরিক্রমা চূড়ান্ত করতে চায়। লিয়াঁজো কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হোক, সেটিও তারা চায়। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয়নি। নানা বাস্তবতার কারণে বিএনপির জোটবদ্ধ আন্দোলন করতে চায় না। লিয়াঁজো কমিটিও করতে চায় না। 

বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার সাথে আলাপ করে দেখা গেছে, তারা যে সমস্ত শরিক দলগুলো এখন বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে আগ্রহী, তাদের সঙ্গে কোন আনুষ্ঠানিক ঐক্যে যেতে চায় না। এমনকি লিয়াঁজো কমিটির করতে চায় না। এর কারণ হিসেবে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য বলছেন, যে সমস্ত শরিক রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করতে চায়, আন্দোলনের মাধ্যমে তারা অনেকেই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরকারের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করা বা রাজনৈতিক ডিগবাজি দেওয়ার মাধ্যমে তারা আন্দোলনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। এটি শুধু এই স্থায়ী কমিটির সদস্য নয়, বিএনপি অনেকের ধারণা।

গত বছরের আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে আন্দোলন করার কারণে যারা পরিচিতি পেয়েছিল তারাই সরকারের সঙ্গে প্রকাশ্যে এবং গোপনে যোগাযোগ করেছেন। এদের মধ্যে জেনারেল ইব্রাহিমের কথা বিএনপির অনেক নেতাই বলছেন। তারা বলছেন, তিনি রাজনৈতিকভাবে একেবারে এতিম ছিলেন। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করার কারণেই তাঁর রাজনৈতিক পরিচিতি হয়েছিল। আর সেই পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে তিনি সরকারের সাথে গোপনে আঁতাত করেছেন। 

এর আগেও অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে বিকল্পধারা প্রসঙ্গটিও বিএনপির অনেক নেতা বলে থাকেন। তাছাড়া ২৮ অক্টোবরের পর আকস্মিকভাবে মাহমুদুর রহমান মান্নার নীরবতাকেও বিএনপির নেতারা সন্দেহ করছেন। 

বিএনপির কাছে এরকম তথ্য আছে যে, আন্দোলন বানচালের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনেকগুলো দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল এবং তাদেরকে নানা রকম টোপ দেওয়া হয়েছিল। ভবিষ্যতেও আন্দোলন যদি বেগবান হয় তাহলে আবার টোপ দেওয়া হবে। এই সমস্ত লোভ পরিত্যাগ করে শরিকরা কতটুকু আন্দোলনের ব্যাপারে অটল থাকতে পারবে এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। আর কারণেই বিএনপি এখন আনুষ্ঠানিক ভাবে জোটে যেতে চায় না।

বিএনপি মনে করে তারা আন্দোলন করবে। তাদের কর্মসূচির সঙ্গে যদি কেউ একমত পোষণ করে তাহলে তারা যুগপৎ আন্দোলন করবে। তবে আন্দোলন তাদের নিজেদেরই করতে হবে এমনটি মনে করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। আর এ কারণে বিএনপি কোন রকম জোট বা লিয়াঁজো কমিটির পক্ষে নয়।

বিএনপি   যুগপৎ আন্দোলন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন