নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ০৮ জানুয়ারী, ২০১৯
কার্ল মার্কসের চিরস্মরণীয় উক্তি ‘সর্বহারার হারাবার কিছু নেই, জয় করবার জন্য আছে গোটা বিশ্ব।’ মহান দার্শনিকের এই অমর বানিকে একটু পাল্টে বলা যায় ‘শেখ হাসিনার হারাবার কিছু নেই, জয় করবার আছে গোটা বিশ্ব।’ তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। চতুর্থ মেয়াদে শপথ নিয়েছেন। তাঁর সাফল্য নিয়ে মহাকাব্য রচনা করা যাবে। একজন রাজনীতিবিদের যা স্বপ্ন, তাঁর সবই তিনি পূরণ করেছেন। জাতির পিতা হত্যার পর দিকভ্রান্ত একটি দলকে তিনি সংগঠিত করেছেন। ক্ষমতায় এনেছেন। পিতার হত্যার বদলা নেননি, করেছেন ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে, শহিদদের রক্তের ঋণ শুধেছেন। বাংলাদেশকে নিয়েছেন অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতির ধারায়। মানুষের জীবন মান পাল্টে গেছে। জনসংখ্যায় ঠাসা এক দেশকে তিনি দিয়েছেন ঈর্ষণীয় উন্নতির ছোঁয়া। ৩৮ বছর ধরে একটি দলের অবিসংবিদিত নেতা। ৪৭ বছর বয়সী দেশে তিনিই শাসন করেছেন ১৫ বছর। এর মাঝেও জনগণের কাছে জনপ্রিয়তা গ্রাফ সবসময়ই ঊর্ধ্বমুখী। একজন মানুষের জীবনে আর কি চাই। একজন রাজনীতিবিদের পূর্ণতার উপমা তিনি। তার আর হারাবার কি আছে? ৭৫ এর ১৫ আগস্ট হারিয়েছেন প্রিয় পিতা, মা সহ প্রায় সব নিকট আত্মীয়কে। একমাত্র সঙ্গী তাঁর বোন। সুখ দুঃখে তাকে ধরেই পাড়ি দিয়েছেন প্রতিকুলতার সাগর। নিজের বলতে বোন শেখ রেহানা আর দুই সন্তান। এখন যদি রাজনীতি থেকে অবসরও যান তবুও অনেক কাজ এর জন্যই ইতিহাসে ইতিমধ্যেই তিনি অমরত্ব পেয়েছেন। আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার তিনি। কেউ বলে তিনি মাহাথীরের মতো। কিন্তু না, কারো মতোই নন তিনি। তিনি শুধুই শেখ হাসিনার মতো। চতুর্থ মেয়াদে কি অর্জন করতে চান তিনি? সম্ভবত কিছুই না। বরং দিতে চান। জীবনের সব অভিজ্ঞতা নিংড়ে দিতে চান, প্রিয় মাতৃভূমিকে। যে মাতৃভূমির প্রতিষ্ঠাতা পিতা হলেন তারই জনক। সম্ভবত তিনি চতুর্থ মেয়াদে বাংলাদেশের মানুষকে এক অনন্য উচ্চতায় নিতে চান। এক অসমান্য সাফল্য গাঁথার নেতৃত্ব নিতে চান। সেখান থেকে বাংলাদেশের আর বিপর্যয়ের আশংকা থাকবে না। যেখানে এদেশের মানুষ আর অজানা আশংকায় থাকবে না। পন্ডিতরা বলেন, আমরা উন্নয়ন করেছি বটে কিন্তু তাতো এখনো টেকসই নয়। কথায় কথায় আমাদের শুধু দুর্ভাবনার গল্প শোনান সুশীলরা, আতংক ছড়িয়ে দেন। একজন মানুষ আমাদের শুধু আশার পথ দেখান, স্বপ্ন দেখানো শেখান আর স্বপ্ন পূরনের পথ দেখান, আর সেই পথের তিনিই নেতা। চতুর্থ দফায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেবল একজন প্রধানমন্ত্রী নন, একজন নেতা নন, একজন রাষ্ট্রনায়ক নন। তিনি যেন এক রুপকথার রাজকন্যা। তিনি হতে পারেন সারা বিশ্বের নারী জাগরনের গল্প। তিনি হতে পারে বিশ্বের দরিদ্র মানুষের আশার আলো। বাংলাদেশকে তিনি বদলে দিয়েছেন, বিশ্বকে বদলে দেয়ার তিনিই হতে পারেন নেতা, আলোকবর্তিকা। চতুর্থ দফায় প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি বাংলাদেশকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন যেখান থেকে বিশ্ব শিখবে। তিনিই হতে পারেন, বিশ্বের পথ প্রদর্শক প্রধান নেতা। তাঁর নেতৃত্বেই রচিত হতে পারে বাংলাদেশের সাফল্যের বিশ্বজয়। ধরা যাক, কিছুই হলো না, গতানুগতিক এক ৫ বছরের শাসনকালই কাটলো, তাহলেও কি তিনি কিছু হারাবেন? কিছুই না। ইতিমধ্যে তাঁর যে অর্জন তাই তাঁকে বাংলাদেশের ইতিহাসে অমরত্ব দিয়েছে। শেখ হাসিনা কি পারবেন বিশ্বজয়ী হতে। এ জয় মানে বিশ্ব দখল নয়। এ জয় মানে বিশ্ববাসীর হৃদয় জয়। বিপন্ন মানুষের আশাবাদ এ জয় মানে দারিদ্র্যের সাথে যুদ্ধ করা মানুষের সামনে উদাহরণ।
পৃথিবীর অর্ধেক গোলার্ধ আজ দারিদ্রের সাথে সংগ্রাম করছে, তারা যখন বলবে আমরা বাংলাদেশের মতো হতে চাই। এখন সেটাই হবে বাংলাদেশের বিশ্বজয়। চতুর্থ মেয়াদে শেখ হাসিনার সাফল্য তাই শুধু বাংলাদেশের সাফল্য গাঁথা হবে না, হবে মানবিক বিশ্বের আশাবাদ।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।