নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১১ জানুয়ারী, ২০১৯
জুলাইয়ের মধ্যে লন্ডনে পলাতক দণ্ডিত আসামী তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকৌশলের মধ্যে রয়েছে তারা ফ্রেব্রুয়ারীর মধ্যে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডিপ্লোমেটিক নেগোসিয়েশন শেষ করতে চায়। দুই দেশের একটি চুক্তি স্বাক্ষর চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বন্দি বিনিময় চুক্তি। যেখানে একটি দেশে দণ্ড পেলে তাকে ওই দেশে ফেরত দেয়া হয়। সেই চুক্তিটি তারা মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে সম্পন্ন করতে চায়। জুলাইয়ের মধ্যে তারেকের দেশে আসা নিশ্চিত করতে চায়। জুলাই নাগাদ তারেককে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে। যোগাযোগ করা হলে নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘তারেককে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য যা যা করার দরকার। আমরা সবই করছি। এরকম দণ্ডিত ব্যাক্তির বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার।’
আওয়ামী লীগ সরকার নতুন করে দায়িত্ব গ্রহণের পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনেকগুলো কাজ দেখছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে তালিকা তৈরীরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে তারেক জিয়াসহ দণ্ডিত পলাতকদের ফিরিয়ে নিয়ে আসা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্যতম ইস্যু বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আব্দুল মোমেন বলেছেন, যে সমস্ত দণ্ডিতরা দণ্ড এড়াতে বিদেশে পালিয়ে আছে। তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসাটা আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন যে, শুধু তারেক জিয়া নয়। ১৫ আগষ্টের যারা খুনি, তারা বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছেন। তাদের নিয়ে আসার জন্য আমরা বিভিন্ন সময়ে তৎপরতা চালিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা সফল হতে পারিনি। এবার নিশ্চয়ই আমরা সফল হবো।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, একটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একটি মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। তিনি যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেছেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে গত বছরের জুন মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে তারেককে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে তারেক জিয়া বলেছিল, তাকে দেশে নিয়ে গিয়ে মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত করা হবে। এজন্য তিনি দেশে যেতে আগ্রহী নন। তার এই বক্তব্যের সমর্থনে তিনি ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলার মামলার যে কার্যক্রম, সে কার্যক্রমের তথ্যাদি ব্রিটিশ হোম ডিপার্টমেন্টের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন। কিন্তু এই মামলায় তারেকের মৃত্যুদণ্ড হয়নি, যাবজ্জীবন হয়েছে।
এই মামলার রায়ের পর সরকার আবার যুক্তরাজ্যের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে। গত ১৯ ডিসেম্বর এ ব্যাপারে একটি শুনানি শুরু হয়েছে। যে শুনানিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে তারেকের আইনজীবি একটি লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে অঙ্গিকার করেছিলেন, তিনি আরেকবার ক্ষমতায় এলে দণ্ডিত আসামী তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার দণ্ড কার্যকর করা হবে। সেই প্রত্যয় অনুযায়ী নতুন করে দায়িত্ব গ্রহণের পরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে যে, ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এটাকে প্রথম কাজ বিবেচনা করছেন। কিন্তু ব্রিটেনে এখন বেক্সিট এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হওয়া নিয়ে টালমাতাল অবস্থা চলছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, ব্রিটেনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটু ভালো হলেই তারা, বিটিশ সরকারের সঙ্গে তারেকের ফিরিয়ে আনা নিয়ে আলাপ আলোচনা করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, তারেককে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এবং এর পক্ষে তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ দলিল এবং তথ্যাদি আছে। তারা মনে করছেন ৫টি কারণে ব্রিটেন বাংলাদেশের কাছে তারেক জিয়াকে ফেরত দিতে বাধ্য:
১. তারেক জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন। তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্থ রয়েছে। ব্রিটেনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং ল’ অনুযায়ী অর্থিকভাবে অস্বচ্ছ এবং আর্থিকভাবে দুর্নীতিগ্রস্থ কেউ রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার অধিকার রাখেন না।
২. তারেক জিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদের যোগাযোগ রয়েছে। ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাধের বিরুদ্ধে তাদের কঠোর নীতি। যারা এ ধরনের জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাদেরকে ব্রিটেনে আশ্রয় দেয়া হয় না। তাকে ব্রিটেনে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়।
৩. তারেক ব্রিটেনে থেকে একটি দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি, নাশকতার পরিকল্পনা এবং নানা রকম সহিংসতা ঘটানোর জন্য ষড়যন্ত্র করেছে। এ ধরনের প্রমান বাংলাদেশ সরকারের কাছে আছে। এই প্রমাণের প্রেক্ষিতে ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী সে দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থেকে কেউ যদি দেশে সহিংসতা বা নাশকতা সৃষ্টি করতে চায়। তাহলে তার রাজৈনৈতিক আশ্রয় লাভের অধিকার খর্ব হয়ে যায়।
৪. তারেক জিয়া যেহেতু দুটি মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন। দুটি মামলার একটাতেও তার মৃত্যুদণ্ড হয়নি। তার এই দণ্ডটা কার্যকরের জন্য সর্ব্বোচ্চ আদালতের বিচার এখনো বাকি আছে। কাজেই ন্যায় বিচারের স্বার্থেই তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল করে তাকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে ফেরত দেওয়া উচিত।
৫. তারেক জিয়ার রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের যে প্রক্রিয়াটা হয়েছিল। সেই প্রক্রিয়ায় তারেক জিয়া অনেকগুলো মিথ্যে এবং ভুল তথ্য দিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেছিল।
কাজেই, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা মনে করেন যে ৫টি যুক্তি দেখানো হয়েছে। এই যুক্তিগুলো সঠিকভাবে যদি যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে উপস্থাপন করতে পারেন। তাহলে তারেক জিয়াকে ফেরানো সময়ের ব্যাপার মাত্র। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই পররাষ্ট্র দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে তারেককে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বৈঠক করেছেন। সেখানে তারা কৌশলগত প্রক্রিয়া নির্ধারণ করেছেন। তারা টার্গেট নির্ধারণ করছেন যে, আগামী জুলাই নাগাদ তারেককে যেন বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।