নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৫ এএম, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৯
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল থেকে অন্তত দুইজনকে মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে পারেন। জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবেই থাকবে। সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
১৪ দল দীর্ঘদিন ধরে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনীতি করছে এবং সরকার গঠনে অংশ নিয়েছিল। এজন্য ১৪ দলকে বিলম্বে হলেও মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে। তবে এটা কবে, কখন করা হবে সে সম্পর্কে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মহিলা সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের পর এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।
আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে যে, ১৪ দলের যারা গত দুই মেয়াদে মন্ত্রী ছিলেন তাদের বাদ দিয়ে নতুন মুখ মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। প্রথম মেয়াদে মন্ত্রিসভায় ছিলেন সাম্যবাদী দলের দিলীয় বড়ুয়া এবং পরে হাসানুল হক ইনুকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি এবং রাশেদ খান মেনন মন্ত্রিসভায় ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু তার দলের মধ্যেই সিনিয়র নেতাদের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিয়েছেন, সেজন্য এসব সিনিয়র নেতাদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা খুবই কম। তাদের বদলে অপেক্ষাতকৃত তরুণ এবং যারা কাজ করতে পারবে এমন নেতৃত্বকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তা ভাবনা চলছে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আক্তার এবং ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ফজলে হোসেন বাদশার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে যে, মহিলা আসনে নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভার অবয়ব আরেকটু পরিবর্তন হবে। আরও কিছু নতুন মুখ অন্তর্ভুক্ত হবে। এবং তখন ১৪ দলকে মন্ত্রিসভায় আনার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।